শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় উচ্চপর্যায় কমিটির প্রথম বৈঠক।

পুরুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল জেলা প্রশাসন। 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে জেলায় গঠিত হলো একটি উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং কমিটি। 

বুধবার জেলাশাসক কোন্থাম সুধীরের নেতৃত্বে এই নবগঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

shikarthider manashik swasthya

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ), সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব, দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি, জেলা শিক্ষা আধিকারিক, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক এবং জেলার চারটি মহকুমার মহকুমাশাসকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক আধিকারিক। 

বৈঠকে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়।

প্রশাসনের মূল লক্ষ্য—জেলার কলেজ ও ছাত্রাবাসে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর বাড়ানো এবং সংকট ঘনিয়ে এলে তা দ্রুত মোকাবিলা করা। 

সেই কারণেই বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম—মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কলেজে বিশেষ কর্মশালা আয়োজন করা। 

শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাউন্সেলিং দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়েও জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি মহকুমাশাসককে তাদের এলাকার কলেজ ও ছাত্রাবাসে সরেজমিন পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের সমস্যা জানবেন এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তার উদ্যোগ নেবেন। 

পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক সমস্যা বা ব্যক্তিগত মানসিক সংকট—যে কোনো বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা যাতে সহজে সাহায্য পায়, প্রশাসন সেই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চায়।

জেলাশাসকের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে এবং আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত এড়ানো সম্ভব হবে। 

প্রশাসনের আশা, এই কমিটির সমন্বিত উদ্যোগ পুরুলিয়ার শিক্ষা পরিবেশকে আরও নিরাপদ, সহায়ক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

পুরুলিয়া জেলায় শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষা নিয়ে এই প্রথম এত বড় পরিসরে পদক্ষেপ নেওয়া হলো। 

প্রশাসন মনে করছে, এই কাজ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল মিলবে এবং শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা ও মানসিক স্থিতি উন্নত হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url