পুরুলিয়া শহরে বিচারকের আবাসনে ভয়াবহ চুরি।
পুরুলিয়া শহরে বিচারকের সরকারি আবাসনে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। রাঁচি রোড সংলগ্ন মাগুড়িয়া এলাকায় অবস্থিত ওই আবাসনটি কিছুদিন ধরে ফাঁকা ছিল।
সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। আবাসনের ভেতরে ঢোকার জন্য একাধিক দরজার তালা ভেঙে চোরেরা ঘরে তোলপাড় করে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারিয়ে গেছে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং প্রায় ৪০ হাজার টাকা নগদ।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বাড়িতে এভাবে চুরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
ঘটনার খবর পেয়েই পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুরো আবাসন চত্বর ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা।
শুধু আবাসনের ভেতরেই নয়, আশপাশের রাস্তাঘাটও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাঁচি রোড, মাগুড়িয়া মোড় এবং আশপাশের সংযোগস্থলগুলির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা শুরু করেছে পুলিশ।
ফুটেজে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি, আবাসনের দিকে আসা-যাওয়ার সময়, তাদের ব্যবহৃত গাড়ি বা পালানোর পথ—সবকিছু বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের অনুমান, চুরি খুব পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আবাসন দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকা এবং এলাকায় রাতের বেলায় লোকজনের চলাফেরা কম থাকার সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল কি না, তারা স্থানীয় না বাইরের—সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, ঘটনায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে চোরেরা পেশাদার।
এদিকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিচারকের বাড়িতে এভাবে চুরি হওয়া সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় অপরিচিত লোকজনের ঘোরাফেরা চোখে পড়ছিল। পুলিশ সেই তথ্যও খতিয়ে দেখছে।
পুরুলিয়া সদর থানার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিভিন্ন কোণ থেকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণই এখন তদন্তের প্রধান ভরসা।
ঘটনাটি শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুললেও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে—এই চুরির রহস্য খুব শীঘ্রই উন্মোচিত হবে।
