পুরুলিয়ায় দুই কোক ফ্যাক্টরিতে ইডির অভিযান।
পুরুলিয়ায় একযোগে দুটি কোক ফ্যাক্টরিতে ইডির তল্লাশি। বেআইনি কয়লা সরবরাহ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত। ঘটনায় শিল্পমহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুরুলিয়ায় ফের নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার সকালে প্রায় একই সময়ে জেলার দুটি কোক ফ্যাক্টরিতে আচমকা হানা দেয় ইডির বিশেষ দল।
এই অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিল্পমহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও জল্পনা।
প্রথম অভিযান চালানো হয় পাড়া থানার রঘুনাথপুর–সাঁওতালডিহি রোডের দুবড়া এলাকার একটি কোক ফ্যাক্টরিতে। তিনটি গাড়িতে পৌঁছান ইডির আধিকারিকরা, সঙ্গে ছিলেন CISF জওয়ানরা।
ফ্যাক্টরির ভিতরে ঢুকেই নথি, লেনদেনের খাতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারী দল।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই কারখানাটি ঝাড়খণ্ডের এক প্রভাবশালী কয়লা ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন এবং বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক অনিয়ম ও বেআইনি কয়লা সরবরাহ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠছিল।
দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় খুব কাছেই রুকনি এলাকায় আরেকটি কোক ফ্যাক্টরিতে। এই কারখানার মালিকানা ঝাড়খণ্ডের পরিচিত ব্যবসায়ী অনিল গোয়েলের নামেই রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ফ্যাক্টরির অফিস ও স্টোরেজ ইউনিট ঘিরে CISF জওয়ানদের কড়া নজরদারির মধ্যে নথিপত্র খতিয়ে দেখেন ইডির আধিকারিকরা।
সন্দেহভাজন আর্থিক লেনদেন, বেআইনি কয়লা মজুত ও নথির অসঙ্গতি খুঁজতেই এই অভিযান বলে তদন্তকারী সূত্রের দাবি।
একই দিনে, একই জেলার দুই কোক ফ্যাক্টরিতে সমন্বিত অভিযানকে কয়লা কাণ্ড তদন্তে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন শিল্পমহল।
অনেকেই ধারণা করছেন, এই অভিযান ভবিষ্যতে আরও বড় রাজনৈতিক ও আর্থিক সংযোগ উন্মোচন করতে পারে।
এদিকে, এই ঘটনার পর এলাকায় সাধারণ কর্মী থেকে ব্যবসায়ী—সবার মধ্যেই উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা গেছে।
যদিও ইডির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে তদন্ত চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুরুলিয়ার এই ডাবল অভিযান নিঃসন্দেহে কয়লা দুর্নীতি মামলার তদন্তে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
