বিদেশ থেকে আরেক জলপরী যোগ দিচ্ছেন পুরুলিয়ার রাসমেলায়।
পুরুলিয়ার রাসমেলায় এবার নতুন আকর্ষণ জলপরী শো। বিদেশি শিল্পীসহ দুই পারফর্মারের দুর্দান্ত জল-নাচ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো দর্শক। প্রবেশমূল্য মাত্র ১০০ টাকা।
পুরুলিয়ার রাসমেলা মানেই প্রতিবছর কিছু না কিছু নতুন চমক। কিন্তু এবারের মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে জলপরী প্রদর্শনী।
বিশাল একটি জলভর্তি অ্যাকোয়ারিয়ামের ভেতর যখন রূপকথার মতো সাজে জলপরী সাঁতার কাটতে কাটতে নাচ শুরু করেন, তখন দর্শকদের চোখ যেন বিশ্বাসই করতে চায় না — এটা বাস্তব!
ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রশিক্ষিত মহিলা শিল্পী পারফর্ম করা শুরু করেছেন। তাঁর নাচ, সাঁতার আর নিখুঁত শরীরী ভঙ্গিমা দেখে ছোট-বড় সবাই মুগ্ধ।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, খুব শিগগিরিই আরও এক বিদেশি জলপরী পারফর্মার দলে যুক্ত হতে চলেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসাহ আরও বেড়েছে দর্শকদের মধ্যে।
মানুষের মনে কৌতূহল—জলের নিচে এতক্ষণ কীভাবে শ্বাস না নিয়েও তারা শো করেন? উদ্যোক্তাদের দাবি, দুই শিল্পীই সমুদ্রের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
টানা তিন বছর ধরে সমুদ্রের গভীরে অভ্যাস করতে করতে জলের নিচে থাকা এবং স্টান্ট করা তাদের কাছে এখন খুব সহজ ব্যাপার। তাই পুরুলিয়ার শীতল আবহাওয়াতেও শো করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
উদ্যোক্তা বাবলু আনসারী জানিয়েছেন,
“আমাদের জলপরীরা সমুদ্র-প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই এতক্ষণ জলে থাকা ও পারফর্ম করা তাদের কাছে স্বাভাবিক। দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
দর্শকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। চাকড়া থেকে আসা দর্শক মাধুরী পরামানিক বলেন,
“এত অসাধারণ শো আগে কোনও দিন দেখিনি। যেন সিনেমা বা রূপকথার গল্প চোখের সামনে জীবন্ত!”
পরিবার-সহ যাতে সবাই সহজে শো উপভোগ করতে পারেন, তাই প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা।
ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শকের ভিড়। অনেকেই বলছেন, এই জলপরী প্রদর্শনী রাসমেলার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করল।
পুরুলিয়ার মানুষের কাছে এই মেলা শুধু বিনোদন নয়—এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে এখন এই জাদুকরী জলপরী শো।
