নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগে উত্তাল পুরুলিয়া।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি ও বৈষম্যের অভিযোগে রাস্তায় নামলেন পুরুলিয়ার নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। লিখিত পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউ কল না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
লিখিত পরীক্ষায় ৭০ নম্বরের মধ্যে ৭০ পেয়েও ইন্টারভিউ কল নেই—এই অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরুলিয়া।
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং বৈষম্যের অভিযোগে শুক্রবার আন্দোলনে নামে পুরুলিয়া জেলা এসএলএসটি ফ্রেসার্স ঐক্যমঞ্চ।
সকাল থেকেই পুরুলিয়া শহরের একাধিক প্রার্থী জেলা শিক্ষা দপ্তরের সামনে জড়ো হন। হাতে পোস্টার, ব্যানার নিয়ে তারা শহরের রাস্তায় মিছিল করেন।
পরে দাবিদাওয়ামূলক স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় জেলাশাসকের দপ্তরে।
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, লিখিত পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পাওয়ার পরও তাঁদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক দেওয়া হয়নি।
তাদের দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পুরোনো প্রার্থীদের ইন্টারভিউ হওয়ার আগেই ‘অভিজ্ঞতার’ নামে ১০ নম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত মার্কস দেওয়া হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে একতরফা এবং বৈষম্যমূলক করে তুলেছে।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের দাবি—স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকা উচিত।
প্রার্থী নারায়ণী কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“আমরা লিখিত পরীক্ষায় সম্পূর্ণ নম্বর পেয়েছি। তবুও ইন্টারভিউতে ডাক এল না। এটা কীভাবে সম্ভব? অভিজ্ঞতার নামে পুরোনো প্রার্থীদের আগেই বাড়তি নম্বর দিয়ে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বৈষম্য মানি না। সমান সুযোগ চাই। তাই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।”
প্রার্থীদের দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থার জন্য সরকার দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিক। তাদের আন্দোলন চলবে, যতদিন না ন্যায়সঙ্গত সমাধান পাওয়া যায়।
পুরুলিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনোবল ভেঙে যাবে।
যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার করেছেন—ন্যায্য বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না।
