মাত্র ৫ টাকায় মানবাজারে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু।
পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের ডুমুরিয়া গ্রামে মাত্র ৫ টাকায় মহিলা ও পুরুষদের জন্য আত্মরক্ষা ও ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা।
রাজপুত কল্যাণ সমিতি ও রেনবো মার্শাল আর্ট একাডেমির উদ্যোগে নতুন উদ্যোগ।
পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের ডুমুরিয়া গ্রামে মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে শুরু হলো ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবির।
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি—মাসে মাত্র ৫ টাকায় মহিলাদের আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়ার লক্ষ্যে এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকেলে এক ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শিবিরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
সমাজমুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজপুত কল্যাণ সমিতি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং রেনবো মার্শাল আর্ট একাডেমির যৌথ প্রচেষ্টায় এই প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাজার ১ ব্লকের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র। তাঁর উপস্থিতি আয়োজকদের উৎসাহ বাড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য সংস্থার কর্তারা জানান, মাত্র ৫ টাকার নামমাত্র ফি রেখে তারা চেয়েছেন গ্রামাঞ্চলের মহিলারা যেন সহজে আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে পারেন এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারেন।
যদিও মূল লক্ষ্য ছিল মহিলাদের আত্মরক্ষা শেখানো, তবে শুধুমাত্র মহিলারাই নয়—পুরুষেরাও চাইলে একই ফি-তে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
আয়োজকদের বক্তব্য, সমাজে আত্মরক্ষার দক্ষতা প্রত্যেকের থাকা প্রয়োজন। তাই লিঙ্গভেদ না করে সকলের জন্যই প্রশিক্ষণের দরজা খোলা রাখা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ শিবিরটি সপ্তাহে একদিন করে ডুমুরিয়া আপার প্রাইমারি স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। রেনবো মার্শাল আর্ট একাডেমির প্রশিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের ক্যারাটের মৌলিক কৌশল থেকে শুরু করে আত্মরক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পাঠ শেখাবেন।
এই উদ্যোগে এলাকার মানুষ অত্যন্ত খুশি। কম খরচে মানসম্মত প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ সচরাচর মেলে না।
বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের জন্য এই শিবির যেন আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।
আয়োজকরা আশা করছেন, আগামী দিনে আরও বেশি মানুষ এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন এবং সমাজে আত্মরক্ষার সংস্কৃতি আরো মজবুত হবে।
এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে মানবাজারের মতো অঞ্চলে আত্মরক্ষার শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
মাত্র ৫ টাকার নামমাত্র ফি-তে এমন প্রশিক্ষণের সুযোগ মানুষকে যেমন আকৃষ্ট করছে, তেমনি সমাজের সুরক্ষার ধারণাকেও আরও শক্তিশালী করছে।
