ঝালদায় দুই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজের সূচনা।
ঝালদার হেঁসাহেতু গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হল দুটি নতুন রাস্তার নির্মাণকাজ। বিধায়ক সুশান্ত মাহাতের উদ্বোধনে এলাকায় যোগাযোগ ও উন্নয়নে আসবে নতুন গতি।
ঝালদা এলাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। পুরুলিয়ার ঝালদা এক ব্লকের হেঁসাহেতু গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঢালাই রাস্তার নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
রবিবার এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন বাঘমুন্ডি বিধায়ক সুশান্ত মাহাত। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝালদা এক নম্বর ব্লকের বিডিও অভিককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সারতি মুড়া এবং জেলা পরিষদের সদস্য নরেশচন্দ্র মাহাতো।
অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ থেকে বরাদ্দ পাওয়া অর্থে এই দুটি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই রাস্তা দু’টি বিশেষ ভূমিকা নেবে। প্রথম প্রকল্পটি মুরাডি থেকে ডিগারডি হয়ে রানিবাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত রাস্তা।
এই কাজের জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ২৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৪১৬ টাকা। দ্বিতীয় প্রকল্পটি কলমা গ্রাম থেকে পাটুব গ্রামের বিশ্বনাথ মাঝির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। এই অংশের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৮০৭ টাকা।
প্রশাসনের মতে, ইতিমধ্যেই দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু এগোলে আগামী এক মাসের মধ্যেই এই দুটি রাস্তার নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে।
রাস্তা দু’টি পুরোপুরি তৈরি হলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত মাহাত বলেন, “এলাকার মানুষের বহু বছরের দাবি পূরণ করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্ব অনুভব করছি। এই রাস্তা তৈরি হলে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হবে এবং দৈনন্দিন অসুবিধা অনেকটাই কমে যাবে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও দেখা গেছে আনন্দের স্রোত। পাটুব গ্রামের বাসিন্দা জিতেন মাহাত জানান, “এই রাস্তা তৈরি হলে শুধু পাটুব ও কলমা নয়, আশপাশের আরও গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের উন্নতি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যও বাড়বে এবং মানুষের যাতায়াতে স্বস্তি আসবে।”
এই দুটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নতুন পরিবর্তনের অপেক্ষায় তাকিয়ে রয়েছেন।
