অনলাইনে জুতো বদলাতে গিয়ে কাশিপুরের বৃদ্ধের দেড় লাখ টাকা প্রতারণা।
কাশিপুরে আবার সাইবার প্রতারণা! অনলাইনে জুতো পরিবর্তন করতে গিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ হারালেন দেড় লাখ টাকা। কীভাবে ঘটল প্রতারণা? পড়ুন বিস্তারিত।
কাশিপুরে ফের ঘটল সাইবার প্রতারণার ঘটনা। এবার প্রতারণার শিকার হলেন কাশিপুর থানা এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী।
অনলাইনে জুতো বদলাতে গিয়ে তিনি এমন এক ফাঁদে পড়েন, যা মুহূর্তের মধ্যে খালি করে দেয় তাঁর দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। শনিবার তিনি কাশিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তিনি অনলাইনে একটি জনপ্রিয় বিপণনী সংস্থা থেকে জুতো কিনেছিলেন। জুতোটি মাপমতো না হওয়ায় তিনি সেটি পরিবর্তনের জন্য অনলাইনে সার্চ করেন।
সেই সময়ই তিনি এক প্রতারণামূলক নম্বরে ফোন করেন, যা আসলে সাইবার প্রতারকদের ফাঁদ ছিল।
ওই নম্বরে ফোন করার পর প্রতারক নিজেকে কোম্পানির কর্মচারী বলে পরিচয় দেয় এবং জুতো বদলানোর নামে কিছু ‘ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া’ করতে বলে।
প্রতারক প্রথমে একটি লিঙ্ক পাঠায় এবং সেটিতে ক্লিক করতে বলেন। ওই বৃদ্ধ কিছুই সন্দেহ না করে লিঙ্কটি খুলে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক তথ্য সহ বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে প্রদান করেন।
এরপর প্রতারক তাকে একটি ‘রিফান্ড’ পাওয়ার নাম করে একটি ওটিপি দিতে বলে। বৃদ্ধ ওটিপি দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাঁর দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিকবার টাকা কেটে নেওয়া হয়। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড় লাখ টাকা।
টাকা কেটে যাওয়ার পর বৃদ্ধ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। আতঙ্কে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের হেল্পলাইন এবং কাশিপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু করে সাইবার টিমের সাহায্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথা থেকে কল এসেছিল, কোন অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, অনলাইন প্রতারণা বৃদ্ধদের বিশেষ লক্ষ করে বাড়ছে।
তাই এ ধরনের লিঙ্ক, অচেনা নম্বর বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইলেই তা কখনও শেয়ার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
মানুষকে আরও সতর্ক করার পাশাপাশি পুলিশও অনুরোধ করেছে—অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করা, ব্যাংকের গোপন তথ্য কাউকে না দেওয়া এবং যেকোনো সমস্যায় সরাসরি অফিসিয়াল হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার জন্য।
