পুরুলিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ অবস্থা!
🏥পুরুলিয়ার সরকারি হাসপাতালে বেড সংকট, করিডোরে চিকিৎসা, ডাক্তার সংকট – জেনে নিন বাস্তব চিত্র ও সমাধানের দাবি।
📢 পুরুলিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ চিত্র – করিডোরে চিকিৎসা!
আপনি কি জানেন, আজও জঙ্গলমহলের অনেক মানুষের চিকিৎসা মানেই বাঁচা-মরার লড়াই?
পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার অন্যতম প্রধান হাসপাতাল – দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল – যেখানে রোগীদের অবস্থা আজ একেবারে অসহায়।
এটা কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, কোনো ক্লাবঘরের ছবি নয় – এটা হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের করিডোর।
যেখানে রোগীরা বেডের অভাবে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভাবুন তো, করিডোরের এই চিত্র যদি এতটাই ভয়াবহ হয়, তবে ভেতরের ওয়ার্ডের ভিড় কেমন হতে পারে?
🏥 কেন করিডোরে চিকিৎসা চলছে?
হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। অতিরিক্ত রোগীর চাপ, অবকাঠামোগত ঘাটতি, এবং ডাক্তার সংকট – এই তিনটি বড় সমস্যার কারণে রোগীদের এমন অপমানজনক অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
✅ বাস্তব চিত্র:
-
👩🍼 মাতৃত্বকালীন রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত বেড নেই। অনেক সময় ২-৩ জন মাকে একই বেডে শেয়ার করতে হয়।
-
💉 স্যালাইন লাগলে বোতল হাতে ধরে রাখতে হচ্ছে। কারণ স্ট্যান্ডেরও অভাব।
-
🚶 করিডোর, বারান্দা, সিঁড়ি – সব জায়গাই মিনি ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে।
⚠️ ডাক্তার সংকট – সবচেয়ে বড় সমস্যা
পুরো হাসপাতাল চলছে জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন ও হাউস স্টাফদের উপর ভর করে।
-
👨⚕️ সিনিয়র ডাক্তাররা নিয়মিত আসেন না। কেউ কেউ সপ্তাহে এক-আধবার আসেন, তাও মূলত ডেথ সার্টিফিকেটে সিগনেচার করার জন্য।
-
🕐 জরুরি অবস্থায় রোগীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেককে মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে।
🔍 এটা শুধু পুরুলিয়ার সমস্যা নয়
পুরুলিয়া একা নয় – একই চিত্র দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতেও।
এই এলাকা জঙ্গলমহল নামে পরিচিত। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি প্রায় হয়নি।
❓ আমাদের প্রশ্ন – সরকার কি করছে?
👉 কতদিন এই অবস্থা চলবে?
👉 মানুষের জীবনের মূল্য কি এত কম?
👉 কবে অবকাঠামো উন্নয়ন হবে?
স্বাস্থ্য মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু আজ সেই অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
✊ মানুষের আওয়াজ উঠছে
অম্বরিশ মহাতো, যিনি একজন সামাজিক আন্দোলনের নেতা, জানিয়েছেন –
"ন্যায়ের জন্য লড়াই চলবে। হাসপাতালের এই করুণ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে।"
আপনিও এই লড়াইয়ে শামিল হোন।
-
📢 সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
-
✍️ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।
-
🗣️ আপনার এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করার দাবি তুলুন।
🧾 সমাধান কী হতে পারে?
✅ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:
-
অতিরিক্ত বেড ও ওয়ার্ড তৈরি করা।
-
সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
-
যথেষ্ট নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা।
-
ওষুধ, স্যালাইন ও যন্ত্রপাতির পর্যাপ্ত মজুদ রাখা।
-
গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা।
🔔 আমাদের দায়িত্ব কী?
স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করা শুধু সরকারের কাজ নয় – আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
-
❗ সমস্যার ছবি তুলুন ও সচেতনতা ছড়ান।
-
💡 RTI দাখিল করুন, তথ্য সংগ্রহ করুন।
-
🤝 NGO ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিন।
📸 ঘটনার বাস্তব ছবি
এই চিত্র কোনো গল্প নয়। করিডোরে রোগীর লাইন, মায়েরা মেঝেতে শুয়ে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন – এই বাস্তবতাকে বদলাতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
✅ সারসংক্ষেপ :
-
🏥 পুরুলিয়ার হাসপাতালে বেড সংকট তীব্র।
-
👩⚕️ ডাক্তার সংকট ভয়াবহ।
-
🧍 করিডোরে রোগীর চিকিৎসা চলছে।
-
📌 এই সমস্যা শুধু পুরুলিয়ায় নয় – বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরেও একই ছবি।
-
✊ নাগরিক আন্দোলন ছাড়া এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব নয়।
❤️ শেষ কথা
পুরুলিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ অবস্থা আমাদের সকলের লজ্জার কারণ। আজই আওয়াজ তুলুন, কারণ প্রতিটি জীবনের মূল্য আছে।