পুকুরগড়িয়া স্কুলে সচেতনতা কর্মশালা ও বৃক্ষরোপণ।

📚পুরুলিয়ার পুকুরগড়িয়া বিভূতিনাথ বিদ্যাপীঠে এনএসএস ইউনিট ও মেরা যুব ভারতের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা হলো। বিস্তারিত পড়ুন আজকের পুরুলিয়ায়।🌱


pukurgariya school kormoshala brikkhoropon

📍 পুরুলিয়ার পুকুরগড়িয়া বিদ্যালয়ে সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষার বার্তা 💬🌿

৩০ জুলাই, বুধবার — এক অনন্য উদ্যোগে পুকুরগড়িয়া বিভূতিনাথ বিদ্যাপীঠের এনএসএস ইউনিট ও মেরা যুব ভারত একত্রে আয়োজন করল একটি গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতা মূলক কর্মশালা

উপস্থিত ছিলেন – 

👩‍💼 মাধুরী টোপ্পো (ডিস্ট্রিক্ট ইউথ অফিসার, মেরা যুব ভারত)।
👨‍🏫 হেমন্ত রজক (প্রধান শিক্ষক)।
👨‍🏫 শ্রীকান্ত গরাই ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
🎓 বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও এনএসএস সদস্যরা।


🧩 কী বিষয়ে হলো এই কর্মশালা?

এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ফ্র্যাগশিপ প্রকল্প সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

আলোচনা হয় যে স্কিমগুলি নিয়ে:

  • আয়ুষ্মান ভারত – সবার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা।

  • 🌐 ডিজিটাল ইন্ডিয়া – ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

  • 🧼 স্বচ্ছ ভারত মিশন – পরিচ্ছন্ন ভারত গড়ার লক্ষ্য।

  • 📜 পিএম যোজনা – বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সহায়তা মূলক প্রকল্প।

🎤 মাধুরী টোপ্পো বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে এই প্রকল্পগুলির সম্পর্কে অবগত করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি সচেতন হয়, তবেই তারা নিজেরাই সমাজে পরিবর্তন আনতে পারবে।”


🌱 কর্মশালার সূচনা বৃক্ষরোপণ দিয়ে 🌳

সচেতনতার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। 

ছাত্রছাত্রীরা উৎসাহের সঙ্গে এই কাজে অংশ নেয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষকরা।


🎯 এই কর্মশালার তাৎপর্য ও প্রভাব

এই ধরনের কর্মশালাগুলি ছাত্রছাত্রীদের শুধু বইয়ের পড়ার বাইরে বাস্তব জীবনের নানা দিক সম্পর্কে ধারণা দেয়। 

তারা জানতে পারে কীভাবে সরকারী সুবিধাগুলি পেতে হয় এবং সেগুলি সমাজে কীভাবে প্রভাব ফেলে।

কিছু মূল দিক:

  • 🧠 জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি

  • 👥 সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা

  • 🌏 পরিবেশ সচেতনতা

  • 💬 জনমুখী প্রকল্প সম্পর্কে বোঝাপড়া


💬 ছাত্রছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া

অনেক ছাত্রছাত্রী এই প্রথম এইসব প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানল। 

তারা কর্মশালার শেষে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে এবং প্রশ্নোত্তর পর্বেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

👧 একজন ছাত্রী বলে,
“আমি আগে শুধু টিভিতে শুনেছি আয়ুষ্মান ভারত, কিন্তু আজ বুঝলাম এটা কীভাবে আমাদের গ্রামের মানুষের কাজে লাগে।”


🛠️ মেরা যুব ভারতের ভূমিকা

মেরা যুব ভারত কেবলমাত্র একটি সংগঠন নয়, এটি যুব সমাজকে শক্তিশালী ও সচেতন করে তুলতে কাজ করছে। 

এই ধরনের জেলা স্তরের কর্মশালা সেই বৃহত্তর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


📌 উপসংহার

এই কর্মশালা শুধু কিছু তথ্য ভাগ করে নেওয়া নয়, বরং এটি ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এক প্রয়াস। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেরা যুব ভারতের এই উদ্যোগ পুরুলিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এক ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গেল।

📢 এরকম আরও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অন্যান্য বিদ্যালয়েও হলে ভালো হয় — এই মত প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও।


📣 সংক্ষিপ্ত তথ্য এক নজরে 📊

বিষয় বিবরণ
🔖 কর্মসূচির নাম সচেতনতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মশালা।
🏫 স্থান পুকুরগড়িয়া বিভূতিনাথ বিদ্যাপীঠ।
📅 তারিখ ৩০ জুলাই, বুধবার।
🧑‍🤝‍🧑 আয়োজক এনএসএস ইউনিট ও মেরা যুব ভারত।
🎯 উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় ফ্র্যাগশিপ প্রকল্প নিয়ে সচেতনতা।
🌱 বিশেষ আয়োজন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
👩‍🏫 বিশিষ্ট অতিথি মাধুরী টোপ্পো, হেমন্ত রজক, শ্রীকান্ত গরাই।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url