গড়পঞ্চকোটে পঞ্চরত্ন মন্দির ঘিরে বাঁশের বেড়া: পর্যটনে ভাটার আশঙ্কা!

🛕গড়পঞ্চকোটের ঐতিহ্যবাহী পঞ্চরত্ন মন্দিরের সামনে বাঁশের বেড়া দেওয়ায় পর্যটন কমে যাওয়ার আশঙ্কা। স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব। জানুন পুরো ঘটনা।


gorponchokot panchoratno mondir


🌄 গড়পঞ্চকোটে বাঁশের বেড়া: পর্যটন কি মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে?

পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থল কে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। 

গরপঞ্চকোট ধারা কল্যাণ সমিতির তরফ থেকে প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে।  

জানা যায়, সরজমিনে দেখে গেছেন মহকুমা শাসক ও নিতুড়িয়া ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। তবে ধীরে ধীরে পর্যটক কমছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।  

🛕 এক ঐতিহ্যের সামনে বাঁশের বেড়া 😟

পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার গড়পঞ্চকোট — পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র। 

সবুজ পাহাড় আর প্রাচীন স্থাপত্যের সংমিশ্রণ এখানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে এখানকার পঞ্চরত্ন মন্দির, যা রাজা কাশীপুরের শাসনকালের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।

কিন্তু সম্প্রতি মন্দির চত্বরের সামনের এক বিঘারও বেশি জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। 😨 

এই দৃশ্য দেখে হতচকিত পর্যটকরা, চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে।


⚖️ জমি নিয়ে বিতর্ক: চাষাবাদ বনাম পর্যটন 🧑‍🌾🆚🧳

ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা। দাগ নম্বর ৮৪৬ নামক জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল কৈবর্ত, পৈরাগ বাউরি, হরিপদ বাউরি সহ আরও ১৮ জন জানান, এই জমি তাদের নামে পাট্টা করা। 

দীর্ঘদিন চাষ না হলেও, তারা জায়গাটি মন্দির দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য খালি রেখেছিলেন। 😇

কিন্তু গড়পঞ্চকোট ধারা কল্যাণ সমিতি জমিটিকে পুরোপুরি পর্যটন উন্নয়নের আওতায় আনতে চাইছে, যা নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষকরা। তাই বাধ্য হয়ে তারা ফের চাষ শুরু করেছেন এবং বেড়া দিয়েছেন।


📉 পর্যটক সংখ্যা কমছে! ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা 😰

পর্যটন স্থল ঘিরে যদি বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়ে সেখানকার স্থানীয় অর্থনীতিতে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী অসিত কৈবর্ত বলেন,

“আমরা দিন আনি দিন খাই। মন্দিরের সামনে বেড়া দেওয়ার পর থেকে পর্যটক কমছে। যদি পর্যটক বিমুখ হন, তাহলে আমরা না খেতে পেয়ে মরব।”

🧵 কাপড়, 🎭 মুখোশ, 🥤 খাবার-পানীয়, 🧸 সুভেনির — এমন নানা জিনিস বিক্রি করেন এখানকার বহু মানুষ। পর্যটক কমলে, তাদের জীবিকাও বিপন্ন হবে।


🏛️ গড়পঞ্চকোট: ইতিহাসের ঐশ্বর্য 💎

গড়পঞ্চকোট শুধু প্রকৃতি বা সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং ইতিহাসপ্রেমীদের কাছেও এক অসাধারণ স্থান।
 

এই স্থানে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দেউল, প্রাচীন মন্দির, দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, এবং পঞ্চরত্ন মন্দির — যা অন্যতম আকর্ষণ।

ভ্রমণপিপাসুরা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকেও এই জায়গায় আসেন। অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড়, বামনি ফলস, বড়ন্তি — সবই গড়পঞ্চকোট ঘিরে একটা পর্যটন সার্কিট গড়ে তুলেছে।


🧾 প্রশাসনের পদক্ষেপ কি? 📋

গড়পঞ্চকোট ধারা উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন রায় জানান,

“মন্দিরের সামনে হঠাৎ করে চাষ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”

এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়েও চলছে আলোচনা।
রঘুনাথপুর মহকুমা শাসক বিবেক পঙ্কজ বলেন,

“জমিটি বহু আগে পাট্টা দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন চাষ হচ্ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


🧩 সমস্যা সমাধানে সম্ভাব্য পথ 🌈

✅ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার

  • জমির বৈধতা যাচাই করে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

  • উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে স্থায়ী সমাধান খোঁজা উচিত।

✅ পর্যটন ও কৃষক — দু'পক্ষের উপকারে স্থায়ী সমাধান

  • জমির মালিকানা যাদের, তাদের স্বার্থও দেখা দরকার।

  • পার্কিং এর জায়গা তৈরি করে চাষের জায়গা সীমিত করা যেতে পারে।

✅ সচেতনতা ও সমঝোতা দরকার

  • স্থানীয় মানুষদের পর্যটনের গুরুত্ব বোঝানো প্রয়োজন।

  • পর্যটন আয় দিয়ে স্থানীয়দেরও লাভ হতে পারে — এই বোঝাপড়া গড়ে তুলতে হবে।


📣 পর্যটকদের জন্য পরামর্শ 🧭

যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা অনিশ্চিত, তবুও গড়পঞ্চকোট এখনো পর্যটকদের জন্য মনোমুগ্ধকর স্থান। 

মন্দিরে প্রবেশে এখনো বাধা নেই, তবে বেড়ার কারণে পার্কিং ও যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে।
সাবধানে চলাচল করুন, স্থানীয়দের সাথে সহানুভূতির সাথে কথা বলুন।


🙏 স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষের কাছে অনুরোধ ❤️

এই ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার স্থানে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি যদি স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়, তা কারো জন্যই শুভ হবে না।

গড়পঞ্চকোট শুধু পুরুলিয়ার নয়, পশ্চিমবঙ্গেরও গর্ব।
আসুন — সংরক্ষণ করি, সমাধান খুঁজি, ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করি। 🌱


📌 উপসংহার

গড়পঞ্চকোটে পঞ্চরত্ন মন্দিরের সামনে বাঁশের বেড়া দেওয়া — একদিক থেকে জমির অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা হলেও, অপরদিকে পর্যটনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।

✅ সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই পারবে এই পরিস্থিতির সমাধান করতে।

✅ পর্যটন যেন বিরক্ত না হয়, কৃষকেরাও যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন — এই ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন সবার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।


🔖 এই প্রতিবেদন আপনার ভালো লেগে থাকলে, শেয়ার করুন।
📣 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!

🗨️ আপনি কি কখনও গড়পঞ্চকোট গেছেন? কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল? নিচে কমেন্টে জানান!


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url