পুরুলিয়া পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট!
🚨পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট খুলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা!
বিষয়টি জানাজানি হতেই সাইবার থানার তরফ থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত। পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট।
📰 ভুয়ো ফেসবুক একাউন্টে পুলিশ সুপারের নাম
📍 পুরুলিয়া, ৩০ জুলাই:
পুলিশ সুপার মানেই জেলার নিরাপত্তা ও আইনের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার সেই পুলিশ সুপারের নামেই তৈরি হল ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট! 😲
পুরুলিয়া জেলার পুলিশ প্রশাসনে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। একাউন্টটি কে বা কারা তৈরি করেছে, কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে—তা জানতে এখন কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে সাইবার থানার পুলিশ।
🕵️♂️ কীভাবে ধরা পড়ল ভুয়ো একাউন্ট?
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সাইবার থানার তরফ থেকে সুয়ো মটো (Suo-Motu) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ না করেও পুলিশ নিজে থেকে মামলা শুরু করেছে।
👤 পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট দেখতে পান জেলারই কয়েকজন আধিকারিক। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি পুলিশ সুপারের দপ্তরে জানানো হয়।
🛑 তদন্তে জানা যায়, সেটি আসল একাউন্ট নয়, বরং একটি ভুয়ো (ফেক) প্রোফাইল।
📲 কেন এমন একাউন্ট তৈরি করা হয়?
ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করে সাধারণত নানা রকম বেআইনি কাজ করা হয়ে থাকে।
যেমন:
-
✅ সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলা বা প্রতারণা।
-
✅ ভুয়ো তথ্য বা গুজব ছড়ানো।
-
✅ প্রশাসনিক বিভ্রান্তি তৈরি করা।
-
✅ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তার ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
এক্ষেত্রেও ঠিক এই ধরনের কোনও অপকর্মের চেষ্টা করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সাইবার পুলিশ।
📌 কী বলছে পুলিশ প্রশাসন?
পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন:
"আমাদের পুলিশ সুপারের নামে যে ফেসবুক একাউন্টটি তৈরি হয়েছে, সেটি একেবারেই ভুয়ো। পুলিশ সুপার মহাশয় এরকম কোনও প্রোফাইল চালান না। আমরা এর তদন্ত শুরু করেছি এবং দোষীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।"
👨💻 সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে
বর্তমানে সাইবার অপরাধ এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের যুগে এখন নকল প্রোফাইল তৈরি করে প্রতারণা করাটা যেন জলভাত হয়ে গেছে। 😓
তবে এভাবে জেলার শীর্ষ পুলিশ অফিসারের নামেই একাউন্ট তৈরি হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
🔍 কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
সাইবার থানার বিশেষজ্ঞ টিম ইতিমধ্যেই:
-
ভুয়ো একাউন্টটি রিপোর্ট করেছে।
-
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে সেটি ডাউন করার আবেদন জানিয়েছে।
-
যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে একাউন্টটি তৈরি হয়েছে, তা ট্র্যাক করার কাজ শুরু করেছে।
-
ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।
📣 সাধারণ নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা
👉 এই ধরনের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাকেও সতর্ক হতে হবে:
✅ ফেসবুকে কোনও প্রশাসনিক ব্যক্তির প্রোফাইল দেখলে প্রথমে সেটি ভেরিফায়েড কিনা তা দেখে নিন।
✅ অচেনা প্রোফাইল থেকে আসা মেসেজ বা লিংকে ক্লিক করবেন না।
✅ সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সাইবার থানায় অভিযোগ করুন।
✅ নিজের প্রোফাইল ও তথ্য নিরাপদে রাখার জন্য দুই স্তরের নিরাপত্তা (2FA) ব্যবহার করুন।
🔒 আইনগত দৃষ্টিভঙ্গি
ভারতের আইনে এই ধরনের ভুয়ো একাউন্ট খুলে প্রতারণা করলে আইটি অ্যাক্ট 2000 (Section 66C & 66D) ও ভারতীয় দণ্ডবিধি 419/420/468/471 অনুযায়ী জেল ও জরিমানা—দুটোই হতে পারে।
🧠 উপসংহার
পুরুলিয়ার মতো শান্ত জেলা এখন ডিজিটাল অপরাধেরও শিকার হচ্ছে। পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইল খুলে যাঁরা প্রতারণা করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকলেও, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব—এই ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
🛡️ নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখুন, সন্দেহজনক কিছু দেখলেই রিপোর্ট করুন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সবকিছু বিশ্বাস করবেন না।
🔁 আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন। আর খবরটি শেয়ার করে সচেতনতা বাড়ান। 🗣️📢
এইরকম আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন 👉 আজকের পুরুলিয়া ব্লগে।