আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে সিপিআইএমের অবস্থান কর্মসূচি।

🚩✊আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে সিপিআইএম পাড়া ২ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজ পুনরায় চালু, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সম্প্রসারণ ও আবাস যোজনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।


anara cpim obosthan kormosuchi

আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে সিপিআইএমের অবস্থান কর্মসূচি 🚩✊

আনাড়া, পুরুলিয়া:

মঙ্গলবার দুপুরে আনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এক জোরালো প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।  

সিপিআইএম-এর পাড়া ২ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলি প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা ধরে চলে এই অবস্থান কর্মসূচি। 

তপ্ত রোদের মধ্যেও আন্দোলনকারীদের মুখে ছিল দৃঢ় সংকল্পের ছাপ, হাতে লাল পতাকা, আর কণ্ঠে স্লোগানের ধ্বনি – "জনগণের দাবি মানতে হবে!" 🌾🏠


📌 প্রধান দাবিসমূহ

এই কর্মসূচিতে যে সব দাবি উত্থাপিত হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল –

  1. অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ পুনরায় চালু করা 🛠️

    • গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তার জন্য ১০০ দিনের কাজ অত্যন্ত জরুরি। বহু পরিবার এই কাজের আয়ের উপর নির্ভরশীল।

  2. সমস্ত গ্রামে ভ্যাট সহ আধুনিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু ♻️

    • গ্রামাঞ্চলের পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

  3. প্রতিটি গরিব পরিবারকে আবাস যোজনার আওতায় আনা 🏠

    • গৃহহীনদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

  4. স্থানীয় উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা 📊


📍 উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারীরা

এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন –

  • তন্ময় ব্যানার্জি – এরিয়া কমিটির সম্পাদক।

  • নীতিশ রায় – স্থানীয় নেতৃত্ব।

  • পরমেশ্বর সাহাবাবু – প্রবীণ কমিউনিস্ট কর্মী।

  • এবং আরও বহু পার্টি সদস্য ও সমর্থকরা।


🌟 আন্দোলনের তাৎপর্য

এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, বরং গ্রামীণ মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক দৃঢ় বার্তা

বর্তমান সময়ে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার অবস্থায় রয়েছেন। 

সেইসঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে গ্রামীণ পরিবেশের অবনতি হচ্ছে। আবাস যোজনায় অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে সিপিআইএমের এই অবস্থান কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে, যে তাদের দাবি এবার প্রশাসনের কাছে পৌঁছাবে।


📷 আন্দোলনের পরিবেশ

সকাল থেকেই পঞ্চায়েত চত্বরে লাল পতাকার সমুদ্র তৈরি হয়।

নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন। হাতে ব্যানার, পোস্টার, আর স্লোগান – "শ্রমিকের অধিকার ফেরত চাই!"

অংশগ্রহণকারীদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ, হতাশা, আবার একই সঙ্গে দৃঢ়তার আলো। 

স্থানীয় মানুষও দাঁড়িয়ে থেকে এই প্রতিবাদ প্রত্যক্ষ করেন, কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের জন্য জল ও নাস্তার ব্যবস্থা করেন – যা গ্রামীণ সংহতির এক সুন্দর উদাহরণ। 💪❤️


🗣️ নেতাদের বক্তব্য

তন্ময় ব্যানার্জি বলেন –

"১০০ দিনের কাজ চালু না হলে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য আরও বাড়বে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই প্রকল্প পুনরায় শুরু করা।"

নীতিশ রায় মন্তব্য করেন –

"পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গ্রাম গড়তে আধুনিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট চালু করতেই হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় এর বিকল্প নেই।"

পরমেশ্বর সাহাবাবু যোগ করেন –

"আবাস যোজনায় কেউ বঞ্চিত হলে তা বড় অন্যায়। প্রতিটি গরিব পরিবারকে এই সুযোগ দিতে হবে।"


💬 সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

গ্রামবাসীর একজন, রিনা দেবী বলেন –

"আমরা ১০০ দিনের কাজ না পেয়ে খুব কষ্টে আছি। আশা করি এই আন্দোলনের পর সরকার আমাদের কথা শুনবে।"

আরেকজন প্রবীণ বাসিন্দা, সুশান্ত মাহাতো, বলেন –

"আমাদের গ্রামে আবাস যোজনায় অনেক অনিয়ম হয়েছে। যাদের বাড়ি নেই, তারাই বঞ্চিত।"


📢 উপসংহার

এই অবস্থান কর্মসূচি শুধু এক দিনের ঘটনা নয়, বরং গ্রামীণ অধিকার আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। 

যদি প্রশাসন দ্রুত এই দাবিগুলি মান্য না করে, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে – এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url