পাড়া বিধানসভায় বিজেপির তিরঙ্গা যাত্রা।
🇮🇳 পাড়া বিধানসভায় বিজেপির ৪ নং মন্ডলের উদ্যোগে দুবড়া বাজারে অনুষ্ঠিত তিরঙ্গা যাত্রায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের উচ্ছ্বাস। নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দেশপ্রেমে মুখরিত পরিবেশ।
🇮🇳 পাড়া বিধানসভায় বিজেপির তিরঙ্গা যাত্রা: দেশপ্রেমে ভাসল দুবড়া বাজার
🗓️ তারিখ: মঙ্গলবার, বিকেল ৪টা
📍 স্থান: দুবড়া বাজার, পাড়া বিধানসভা, পুরুলিয়া
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পাড়া বিধানসভা বিজেপির ৪ নং মন্ডলের উদ্যোগে দুবড়া বাজারে এক বর্ণাঢ্য তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
দুবড়া ফুটবল মাঠ থেকে শুরু হয়ে যাত্রা কাঁকডিহা মোড় পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অংশগ্রহণকারীরা হাতে তিরঙ্গা নিয়ে ও বাজনার তালে পদযাত্রা করেন।
“ভারত মাতা কি জয়” ও “বন্দে মাতরম” ধ্বনিতে মুখরিত হয় পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নদীয়ার চাঁদ বাউরী, রাজ্য নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, বিকাশ ব্যানার্জি, জেলা সভাপতি সদানন্দ বাউরীসহ বহু নেতৃবৃন্দ।
বক্তৃতায় নেতারা স্বাধীনতার ইতিহাস, পতাকার মর্যাদা ও ঐক্যের বার্তা দেন। নারী-পুরুষ-শিশুসহ গ্রামাঞ্চলের মানুষ দেশপ্রেমে উচ্ছ্বাসিত হয়ে অংশ নেন।
এই যাত্রা প্রমাণ করে— দেশপ্রেমকে কোনো বাধা থামাতে পারে না।
✨ দেশপ্রেমের রঙে রঙিন পাড়া
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার সময় পাড়া বিধানসভায় বিজেপির ৪ নং মন্ডলের উদ্যোগে দুবড়া বাজারে এক মনোমুগ্ধকর তিরঙ্গা যাত্রা 🚩 অনুষ্ঠিত হয়।
দুবড়া ফুটবল মাঠ থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রা দুবড়া বাজার হয়ে কাঁকডিহা মোড় পর্যন্ত পৌঁছায়।
চারদিক জুড়ে বাজনার তালে, মানুষের কণ্ঠে দেশাত্মবোধক স্লোগান আর হাতে হাতে ভারতীয় তিরঙ্গা 🇮🇳— যেন এক চলমান দেশপ্রেমের মিছিল।
🌧️ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দেশপ্রেমের বার্তা
যাত্রার দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলেও অংশগ্রহণকারীরা থেমে থাকেননি।
মাথার উপর আকাশ কালো হলেও, সবার চোখে মুখে ছিল দেশপ্রেমের দীপ্তি ❤️। ভেজা কাপড়, কাদা মাটি, ভিজে রাস্তা— কিছুই থামাতে পারেনি এই পদযাত্রাকে।
বরং বৃষ্টির ফোঁটা যেন অংশগ্রহণকারীদের উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
👥 নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
-
নদীয়ার চাঁদ বাউরী – পাড়া বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক।
-
বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী – বিজেপির রাজ্য নেতা।
-
বিকাশ ব্যানার্জি – বিজেপির বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
-
সদানন্দ বাউরী – বিজেপির এস সি মোর্চার জেলা সভাপতি।
-
শীতল নাগ – বিজেপির বিধানসভা কনভেনার।
-
শিব শম্ভু বাউরী – বিজেপির মন্ডল সভাপতি।
-
জয়দেব গঁরাই, টোটন মুখার্জি, বৃন্দাবন মন্ডল, সহদেব বাউরী সহ আরও বহু বিজেপির নেতৃবৃন্দ।
বিজেপির নেতারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, জাতীয় পতাকার মর্যাদা এবং সাধারণ মানুষকে দেশ গঠনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তাদের কণ্ঠে উঠে আসে একতা, দেশপ্রেম ও সামাজিক উন্নয়নের বার্তা।
🎶 সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক স্লোগানে মুখরিত পরিবেশ
পদযাত্রার সময় ড্রাম, ঢোল, তাশা, শঙ্খধ্বনি এবং দেশাত্মবোধক গান 🎵 বাজতে থাকে। “ভারত মাতা কি জয়” ও “বন্দে মাতরম” ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়।
শিশু থেকে বৃদ্ধ— সকলে তিরঙ্গা হাতে উল্লাসে অংশ নেন। অনেকেই গলায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি সহ ব্যাজ পরে এসেছিলেন, যা অনুষ্ঠানকে আরও আবেগময় করে তোলে।
📜 তিরঙ্গা যাত্রার তাৎপর্য
এই যাত্রা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল না— এটি ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।
তিরঙ্গা শুধু একটি পতাকা নয়; এটি ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। এ ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে।
বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে এই ধরনের পদযাত্রা অত্যন্ত কার্যকর।
📸 মানুষের অংশগ্রহণ
স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ এই যাত্রায় অংশ নেন।
মহিলারা শাড়ি পরে, পুরুষেরা সাদা কুর্তা-পাজামা পরে, মাথায় গামছা বা টুপি বেঁধে এসেছিলেন।
শিশুরা স্কুলের ইউনিফর্মে এসে হাতের তিরঙ্গা নাড়াতে থাকে। অনেকেই মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন, ফলে তিরঙ্গা যাত্রার ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
📅 আগামী দিনের পরিকল্পনা
অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির মন্ডল সভাপতি ঘোষণা করেন যে, এ ধরনের দেশপ্রেমমূলক কর্মসূচি ভবিষ্যতেও চলবে।
আগামী দিনে শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আরও বড় আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
💬 অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য
-
এক অংশগ্রহণকারী বলেন— “আজকের এই যাত্রা আমাদের গর্বিত করেছে। বৃষ্টিও আমাদের থামাতে পারেনি।”
-
অন্য একজন জানান— “তিরঙ্গা আমাদের প্রাণ। এই পতাকা আমাদের ঐক্যের প্রতীক।”
-
একজন যুবক বলেন— “আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি, আর সেই ভালোবাসা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি।”
🌟 উপসংহার
পাড়া বিধানসভায় বিজেপির এই তিরঙ্গা যাত্রা প্রমাণ করেছে যে— প্রকৃত দেশপ্রেম কখনো থেমে থাকে না।
আবহাওয়া খারাপ হলেও, মানুষ যখন জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নামে, তখন প্রতিটি পদক্ষেপে বেজে ওঠে স্বাধীনতার গান।
দুবড়া বাজার থেকে কাঁকডিহা মোড় পর্যন্ত এই যাত্রা শুধু একটি পদযাত্রা নয়— এটি ছিল একতার, ভালোবাসার এবং গর্বের অঙ্গীকার।