রেলের বিরুদ্ধে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন!
🌩️আদ্রা রেল শহরে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। 🚉✊
ক্রসিং বন্ধ, দীর্ঘ সময় মালগাড়ি দাঁড় করানো, ও বিকল্প রাস্তার দাবিতে ডেপুটেশন। পড়ুন বিস্তারিত প্রতিবেদন।
📰 আদ্রা রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঝড় 🌩️
🔍 ঘটনাস্থল: আদ্রা, পুরুলিয়া
📅 তারিখ: ৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার।
🏢 স্থান: ডিআরএম অফিস, দক্ষিণ-পূর্ব রেল, আদ্রা ডিভিশন।
👥 উদ্যোক্তা: রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন।
🔥 কী ঘটেছিল আজ আদ্রায়?
পুরুলিয়া জেলার আদ্রা রেল শহর যেন আজ সকাল থেকেই উত্তাল। 🚧
সাধারণ মানুষের নিত্য সমস্যা ও রেলের গাফিলতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন।
তারা বাঙালি সমিতি মোড় থেকে বিশাল মিছিল করে পা বাড়ায় ডিআরএম অফিসের দিকে। তারপর সেখানেই বসে পড়ে ধর্নায়।
🚫 অভিযোগের খতিয়ান 📋
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের তরফ থেকে যে দাবি ও অভিযোগগুলি জানানো হয়েছে, তা একেবারেই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চলুন দেখে নিই মূল অভিযোগগুলি 👇
📌 অভিযোগ/দাবি | 📝 বর্ণনা |
---|---|
🚧 ক্রসিং বন্ধ রাখা | রেলের তরফে বহু সময় ধরে ক্রসিং বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে স্কুল পড়ুয়া, অফিসযাত্রী ও রোগীদের চরম সমস্যা। |
🚂 মালগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা | দীর্ঘ সময় ধরে মালগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ক্রসিংয়ে, যেটা সাধারণ যাতায়াত ব্যহত করে। |
🚦 বিকল্প রাস্তা নেই | এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত আন্ডারপাস বা ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হোক। |
🗣️ রেলের দায়িত্বহীনতা | রেলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ শোনার পরও কোনও স্থায়ী সমাধান আসছে না। |
🧓 নেতা-নেত্রীদের কণ্ঠে ক্ষোভের সুর 🎤
এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা তুফান কুমার রায়, যিনি রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি। তিনি বলেন:
"রেল যেভাবে সাধারণ মানুষের সাথে অন্যায় করে চলেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি, সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।"
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
📍 সৌমেন বেলথরিয়া – প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক।
📍 স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে।
🗓️ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত: বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি?
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে,
👉 এই ডেপুটেশন যদি অগ্রাহ্য করা হয়,
👉 রেল যদি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়,
👉 তাহলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
এতদিন ধরে রেলের প্রতি যে ধৈর্য রাখা হয়েছিল, তা আজ চরমে উঠেছে। এখন সময় এসেছে প্রশাসনের সজাগ হওয়ার।
🙋♂️ সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন –
❝ রেল আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ১০ মিনিটের রাস্তা পেরোতে কখনও ৩০ মিনিট, কখনও এক ঘণ্টা লেগে যায়। ❞
ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী – সবাই এই সমস্যায় নাজেহাল। তাই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল অত্যন্ত জরুরি।
🔚 উপসংহার: সমাধান হবে তো?
আদ্রা রেলের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ শুধু একটি মিছিল নয়, এটি একটি দীর্ঘদিনের অবহেলার প্রতিক্রিয়া। মানুষ আর চুপ থাকতে চায় না।
📢 প্রশ্ন হচ্ছে — রেল কতটা দ্রুত সাড়া দেবে?
📢 এই ডেপুটেশনের পর আদ্রার মানুষ সত্যি কি পাবে স্বস্তি?
এখন সকলের নজর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তৃপক্ষের দিকে।
👉 তাঁরা যদি সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেন,
👉 তবে ভবিষ্যতের আন্দোলন আরও বড়, আরও জোরদার হতে পারে।