পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় শিশুসহ তিনজন আহত।
💔পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় একই পরিবারের শিশুসহ তিনজন আহত। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত খবর।
মাটির বাড়ির ধসে দুর্ঘটনা: এক পরিবারের তিন সদস্যের জীবনে আঘাত 💔
প্রকাশিত: ৬ আগস্ট, ২০২৫ | স্থান: রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ায় একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন।
এই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন একটি কন্যা সন্তান, যিনি এখনও শৈশবের স্বপ্ন দেখছেন।
এই ঘটনা ঘটেছে রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের দাঁন্দুয়া গ্রামে, যেখানে রবিবার রাতে হঠাৎ করেই মাটির বাড়ির একটি অংশ ধসে পড়ে। 😞
এই ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন:
বাবলু বাউরি।
পূজা বাউরি (গুরুতর আহত)।
তাদের কন্যা সন্তান।
এই পরিবারের জন্য এই দুর্ঘটনা একটি বড় ধাক্কা। মাটির বাড়ি, যা গ্রামীণ ভারতের অনেক পরিবারের জন্য আশ্রয়ের প্রতীক, সেই বাড়িই হয়ে উঠলো তাদের জন্য বিপদের কারণ। 😔
কী ঘটেছিল সেই রাতে? 🌙
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে দাঁন্দুয়া গ্রামের ওই পরিবার তাদের মাটির বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ মাটির দেয়ালের একটি অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
এই ধসে তিনজনই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করেন এবং দ্রুত রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। 🏥
পূজা বাউরির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বাবলু বাউরি এবং তাদের কন্যা সন্তানও চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 😢
রাজ্যের মন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শন 🩺
এই ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দপ্তরের মন্ত্রী সন্ধ্যারাণী টুডু রঘুনাথপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাকালীন হাসপাতালে ছুটে যান।
তিনি আহতদের সাথে দেখা করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের সঠিক চিকিৎসার নির্দেশ দেন। 🩹
মন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আহতদের পাশে আছি এবং তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে এই ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। 🙏
মাটির বাড়ির ঝুঁকি: একটি চলমান সমস্যা 🏚️
মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা পুরুলিয়া বা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নতুন নয়। গ্রামীণ এলাকায় অনেক পরিবার এখনও মাটির বাড়িতে বসবাস করে।
এই বাড়িগুলি সাশ্রয়ী হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ভারী বৃষ্টি বা মাটির ক্ষয়ের কারণে এগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। 🌧️
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির বাড়ির গঠন দুর্বল হয়ে পড়লে তা সহজেই ধসে পড়তে পারে। দাঁন্দুয়া গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা এই সমস্যার দিকে আরও একবার আলোকপাত করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে বাড়িটির পুরনো কাঠামোই হয়তো এই দুর্ঘটনার কারণ। 😞
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ধারকার্য 🚨
দাঁন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দারা এই ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “রাতের বেলা হঠাৎ শব্দ শুনে আমরা ছুটে আসি। দেখি বাড়ির একটা দিক পুরো ভেঙে পড়েছে। সবাই মিলে মাটি সরিয়ে তাদের বের করে আনি।” 🙌
এই ঘটনা গ্রামবাসীদের মধ্যে সংহতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। তবে, তারা এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কাছে আরও সহায়তা চেয়েছেন। 🛠️
প্রশাসনের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ 📋
রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি রাখা হবে না।
পূজা বাউরির অবস্থা গুরুতর হলেও, চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। 🩺
স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার পর গ্রামের অন্যান্য মাটির বাড়ির নিরাপত্তা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে।
এছাড়া, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দপ্তরের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সন্ধ্যারাণী টুডু জানিয়েছেন, “আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। তাদের পুনর্বাসন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” 🏘️
মাটির বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ 🚫
এই ঘটনা পুরুলিয়ার গ্রামীণ এলাকায় মাটির বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। অনেক পরিবার এখনও ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়িতে বাস করে, যা পরিবেশবান্ধব হলেও দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন:
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ: মাটির বাড়ির দেয়াল এবং কাঠামো নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
বিকল্প উপকরণ: সাশ্রয়ী কিন্তু টেকসই উপকরণ ব্যবহার করে বাড়ি নির্মাণ করা যেতে পারে।
সরকারি সহায়তা: গ্রামীণ আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা বাড়ি নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা উচিত। 🏡
সমাজের সংহতি এবং ভবিষ্যৎ আশা 🌟
এই দুর্ঘটনা দাঁন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে একতার বার্তা নিয়ে এসেছে। স্থানীয়রা শুধু উদ্ধারকার্যে সাহায্য করেননি, বরং আহত পরিবারের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
এই ঘটনা আমাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রাকৃতিক বা কাঠামোগত দুর্যোগের মুখে একতাই আমাদের শক্তি। 🤝
আমরা আশা করি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা হবে।
পুরুলিয়ার এই ঘটনা আমাদের সবাইকে গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ আবাসনের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে। 🙏