পুরুলিয়ায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল বিজেপি বিরোধী বার্তা।
📝বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পুরুলিয়ার পাকবিড়রায় বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজারো কর্মীর উপস্থিতিতে মিছিলটি ভাষা ও বাঙালির স্বাধিকারের দাবিতে গর্জে ওঠে।
📣 তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল পুরুলিয়ায় – বাঙালির অপমানে গর্জে উঠল জেলা
📍 আজকের পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর, ২৭ জুলাই:
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর লাগাতার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রতিবাদের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ল পুরুলিয়াতেও 🌊।
২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭শে জুলাই রবিবার পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানার পাকবিড়রা এলাকায় আয়োজন করা হয় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল 🚩।
👥 কে কে ছিলেন এই প্রতিবাদ মিছিলে?
এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যা রানি টুডু,
জেলার তৃণমূল সভাপতি রাজীব লোচন সরেন,
চেয়ারপার্সন শান্তিরাম মাহাত,
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত,
সহকারী সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী,
এছাড়াও ২০টি ব্লকের ব্লক সভাপতি ও সহস্রাধিক তৃণমূল কর্মী।
🎈 একটি মিলিত, সংগঠিত প্রতিবাদ—যেখানে ছিল দলীয় শৃঙ্খলা, আবেগ আর দায়িত্ববোধ।
🪧 প্ল্যাকার্ডের ভাষা ছিল প্রতিবাদের আগুন 🔥
প্রতিটি হাতে হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড যেন বাংলার বুকে জ্বলে উঠা ক্ষোভের আগুন।
🔹 "বাংলাভাষীদের হেনস্থা মানছি না, মানব না!"
🔹 "বাংলাদেশী তকমা কেনো? বাঙালি অপমান সহ্য করব না!"
🔹 "বিজেপি জবাব দাও!"
এইসব স্লোগান আর প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট হয়ে ওঠে মানুষের ক্ষোভ 😠।
🎶 রবীন্দ্র সংগীত আর প্রতিবাদের স্লোগান – একাত্মতার সুরে গর্জন
প্রতিবাদ মিছিলের শুরুর মুহূর্তে মাইকে ভেসে আসে রবীন্দ্র সংগীত—
"জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক মানবের..."
তার সঙ্গে মিশে যায় স্লোগান:
📢 “মোদি হাটাও, দেশ বাঁচাও!”
📢 “বাংলা বিরোধী বিজেপি হুঁশিয়ার!”
এই আবহে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। পঞ্চায়েত স্তর থেকে জেলা নেতৃত্ব—সকলের কণ্ঠে একসুরে বাংলার দাবি।
🗣️ জেলা সভাপতির বার্তা: দ্বিতীয় ভাষা আন্দোলনের সূচনা?
জেলার তৃণমূল সভাপতি রাজীব লোচন সরেন বলেন—
"মাতৃভাষা আন্দোলনের পীঠস্থান পাকবিড়রা আজ ইতিহাস গড়ল। এই মিছিল কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি দ্বিতীয় ভাষা আন্দোলনের শুরু।"
তিনি আরও বলেন,
"বাংলা ও বাংলাভাষার উপর আক্রমণ হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে। এখন সময় এসেছে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হতে।"
🙏 তাঁর আহ্বান—বাংলার স্বার্থে দলমত ভুলে এক হওয়ার।
📜 এই প্রতিবাদের প্রেক্ষাপট কী? কেন বিক্ষোভ?
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী—
🔹 বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের বিদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে।
🔹 NRC ও CAA-র নামে বাঙালিদের নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
🔹 কাজের জায়গায় বাংলাভাষীদের হয়রানি বাড়ছে।
এই অপমানের বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে চলছে প্রতিবাদের ঝড়।
তৃণমূল বলছে—এটা শুধুমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, এটা বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ✊।
📸 মিছিলের মুহূর্তগুলি – এক নজরে
📍স্থান | 🧭 পুঞ্চা থানার পাকবিড়রা এলাকা |
---|---|
📅 তারিখ | ২৭শে জুলাই |
👥 উপস্থিতি | প্রায় ১০০০+ কর্মী |
🎤 স্লোগান | মোদি হাটাও, দেশ বাঁচাও |
🖼️ বার্তা | বাংলা অপমান মানব না |
🎶 সংগীত | রবীন্দ্র সংগীত ও প্রতিবাদ স্লোগান |
❓ সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
❓ কেন এই প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল?
🟢 বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর চলতে থাকা অত্যাচারের প্রতিবাদে এই মিছিল সংগঠিত হয়।
❓ কোথায় হয় এই মিছিল?
🟢 পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানার পাকবিড়রা গ্রামে।
❓ কে কে ছিলেন এই মিছিলে?
🟢 মন্ত্রী, জেলা নেতৃত্ব, ব্লক সভাপতি সহ সহস্রাধিক তৃণমূল কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
❓ এই মিছিলের মূল বার্তা কী ছিল?
🟢 বাংলাভাষা ও বাঙালির সম্মানের জন্য লড়াই।
🧾 শেষ কথা:
এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়—এ এক আত্মপরিচয়ের যুদ্ধ, এক ভাষার সম্মান রক্ষার লড়াই।
পুরুলিয়ার পাকবিড়রা থেকে যে আওয়াজ উঠেছে, তা শুধু রাজ্যে নয়, সারা দেশজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে 📣।
বাংলা ও বাঙালির সম্মানের প্রশ্নে আজ এক হয়েছে হাজারো কণ্ঠ। সেই কণ্ঠ বলছে—
👉 “বাংলা অপমান মানি না, মানব না!”