তামান্নার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা নিতুড়িয়ায়।

📝তামান্না খাতুনের জন্মদিনে নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি ও রঘুনাথপুরে আয়োজিত হল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। 

ছোট্ট মেয়েটির স্মৃতিকে ঘিরে ছিল আবেগ, ভালোবাসা ও সৃজনশীলতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন।


tamannar jonmodin upolokkhe bose ako neturia

📰 জন্মদিনে তামান্নার স্মৃতিতে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা

🙏 'এসো তামান্নার জন্য আঁকি' — এক ব্যতিক্রমী অনুভূতির আয়োজন

২৭ জুলাই, শনিবার। সকাল থেকেই সরবড়ি, রঘুনাথপুর, সাঁতুড়ি — প্রত্যেকটি এলাকায় যেন এক অদ্ভুত শূন্যতা আর আবেগের ছোঁয়া। 

নদীয়ার কালিগঞ্জের চতূর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, ছোট্ট তামান্না খাতুনের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত হল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। 🖌️🎨

তামান্না আর নেই, কিন্তু তার স্মৃতি আজও জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে। সে শুধু পরিবারের নয়, আজ সবার মেয়ের মতো হয়ে উঠেছে।


📍 আয়োজক সংস্থার সম্মিলিত প্রয়াস

এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের পেছনে ছিল একাধিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ।

নিতুড়িয়া এরিয়া কমিটির SFI, DYFI, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ABPTA এবং কিশোর বাহিনী — সকলেই একসাথে আয়োজন করে এ প্রতিযোগিতা।

আয়োজকদের ভাষায়,

“তামান্নার জন্মদিন আগামীকাল সোমবার। তাই রবিবার ছুটির দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয় এই আয়োজনের জন্য। শিশুরা যেন আনন্দের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করতে পারে, সেটাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”


🧒 প্রতিযোগিতায় ছোট ছোট শিল্পীদের অংশগ্রহণ

এই বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৯০ জন প্রতিযোগী

🔹 ক বিভাগ: ছোটদের জন্য।
🔹 খ বিভাগ: বড়দের জন্য।

শিশুদের হাতে ছিল রঙ-তুলির জাদু, ক্যানভাসে ফুটে উঠল তাদের কল্পনার রঙিন জগৎ। 

কেউ আঁকল সূর্য্য উঠা, কেউ আঁকল ফুলের বাগান, কেউ বা আঁকল হাসিমুখের একটি ছোট্ট মেয়ে — যেন তামান্নারই প্রতিচ্ছবি।


🏆 পুরস্কার ও অতিথিদের উপস্থিতি

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন –

👤 সুনীতি গাঁতাইত
👤 স্বপন মণ্ডল
👤 সৌমেন মণ্ডল
👤 গণেশ বাউরি
এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

তাঁরা বলেন,

“ছোট্ট তামান্নার স্মৃতিকে ঘিরে যে ভালোবাসা আজ আমরা দেখলাম, তাতে আমাদের চোখ ভিজে এলো। আগামী প্রজন্মের মধ্যে এই মূল্যবোধ ও মানবতা জিইয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য।”


🏫 সাঁতুড়ি ও রঘুনাথপুরেও একই আয়োজন

এই আয়োজন শুধু সরবড়িতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।
 

সাঁতুড়ির রামচন্দ্রপুর কমিউনিটি হল এবং রঘুনাথপুর শহরেও তামান্নার স্মৃতিতে একই রকম বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, তামান্নার ভালোবাসা শুধু তার পরিবারে সীমাবদ্ধ ছিল না — সে হয়ে উঠেছে একটি অঞ্চলের আবেগ, ভালোবাসা ও মানবতার প্রতীক। ❤️


🌟 মানবিক শিক্ষা ও সমাজের বার্তা

তামান্নার মতো ছোট্ট মেয়ের স্মরণে এমন আয়োজন সমাজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় —

📌 আমরা যেন প্রতিটি শিশুদের স্বপ্ন, সৃজনশীলতা ও অস্তিত্বকে সম্মান করি।

📌 মৃত্যুর পরেও কেউ যদি এমন ভালোবাসা পায়, তবে তার জীবনের পথচলা ছিল সত্যিই অর্থবহ।

📌 শিশুদের মধ্যে মানবিকতা, শিল্পচর্চা এবং দায়িত্ববোধের বীজ বপনের জন্য এমন আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


💬 স্মৃতির জগতে তামান্না চিরজীবী

তামান্না আজ নেই — কিন্তু তার স্মৃতি আজও বেঁচে আছে আঁকার রেখায়, রঙের ছোঁয়ায়, শিশুদের হাসিতে ও চোখের জল মেশানো আবেগে।

এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয় — এটি ছিল একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন। 🌈



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url