পুরুলিয়ায় বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব।

বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর উপলক্ষে পুরুলিয়ায় চলছে বিশেষ উৎসব। ৩১ ডিসেম্বর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সমাপন অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে দেওয়া হবে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার।

purulia bandemataram utsav

দেশাত্মবোধক গান ‘বন্দেমাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে চলছে বিশেষ উদ্‌যাপন। 

এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে পুরুলিয়া জেলায় এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে 'পুরুলিয়া বন্দেমাতরম উৎসব কমিটি'। 

যুবসমাজের মধ্যে দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনা এবং সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটানোই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। 

স্থানীয় শ্যাম ধর্মশালায় গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পর্ব।

উৎসবের প্রথম দিনে আয়োজিত হয়েছিল নৃত্য প্রতিযোগিতা। এই বিভাগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১৪২ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। 

অত্যন্ত কড়া টক্করের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের পর চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য বেছে নেওয়া হয় প্রায় ৩০ জন প্রতিযোগীকে। 

বিচারপ্রক্রিয়া যাতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয়, তার জন্য উদ্যোক্তারা বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিলেন। 

এরপর রবিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ নেন জেলার ৯২ জন প্রতিযোগী। 

পরবর্তী ধাপে থাকছে দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতা, যেখানে সুরের মূর্ছনায় বন্দেমাতরমের আদর্শকে ফুটিয়ে তোলা হবে।

প্রতিটি প্রতিযোগিতাই নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। 

যদিও প্রতিযোগিতার ফলাফল ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু পুরস্কার বিতরণীর জন্য রাখা হয়েছে বছরের শেষ দিনটিকে। 

এই প্রতিযোগিতায় জয়ীদের জন্য রয়েছে বড় অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। প্রথম স্থানাধিকারী পাবেন ১৫,০০০ টাকা, দ্বিতীয় স্থানের জন্য রয়েছে ১০,০০০ টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী পাবেন ৫,০০০ টাকা।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ বিকেলে পুরুলিয়ার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে আয়োজিত হবে এই উৎসবের গ্র্যান্ড ফিনালে বা সমাপন অনুষ্ঠান। 

এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

কমিটির আহ্বায়ক গৌতম সিনহা জানান, পুরুলিয়ায় এই প্রথমবার এমন বৃহৎ পরিসরে বন্দেমাতরম উৎসব পালিত হচ্ছে। 

তাঁর মতে, বন্দেমাতরম কেবল একটি গান নয়, এটি ভারতীয়দের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। 

নাচ, গান এবং ছবির মাধ্যমে এই আদর্শকেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের উদ্দেশ্য। উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url