বলরামপুর গোশালাপাড়ায় নতুন মন্দির নির্মাণের সূচনা।
বলরামপুর গোশালাপাড়ায় কালী পূজা কমিটির উদ্যোগে নতুন মন্দির নির্মাণের শুভ সূচনা। ঘট শোভাযাত্রা, পূজা-অর্চনা এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় শুরু হলো এই ঐতিহাসিক কাজ।
বলরামপুর শহরের গোশালাপাড়া এলাকায় নতুন কালী মন্দির নির্মাণের শুভ সূচনা হলো বৃহস্পতিবার সকালে।
গোশালাপাড়া সর্বজনীন কালী পূজা কমিটির উদ্যোগে এই নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় খুশির আবহ তৈরি হয়েছে।
বহুদিন ধরেই স্থায়ী মন্দিরের অভাব অনুভব করছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে স্থানীয়দের প্রচেষ্টা এবং কমিটির সিদ্ধান্তে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বলরামপুর বড়ো বাঁধ এলাকা থেকে শুরু হয় কলস শোভাযাত্রা। এলাকার বহু মহিলা মাথায় ঘটকলশ নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শঙ্খধ্বনি, ঢাক এবং উলুধ্বনিতে চারিদিক উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। কলস যাত্রার পর মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করা হয়।
কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, গোশালাপাড়ায় কালীপুজো শুরু হয় ২০০৮ সালে। তবে এতদিন স্থায়ী মন্দির না থাকায় প্রতিবারই অস্থায়ী মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হত।
স্থানীয় মানুষ এবং কমিটির সদস্যরা বহুদিন ধরেই স্থায়ী মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হলো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই মন্দির নির্মাণ শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, সামাজিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এলাকায় সামাজিত উন্নয়ন এবং মিলনমেলা তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, “এটা শুধু মন্দির নয়, আমাদের বহু বছরের স্বপ্ন।”
এদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে এলাকায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল। ছোট-বড় সকলেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সবাই আশা প্রকাশ করেন খুব শিগগিরই মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে এবং আগামী দিনে আরও বৃহৎ পরিসরে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হবে।
কমিটির সদস্যরা জানান, ভবিষ্যতে মন্দিরকে কেন্দ্র করে নানা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও রয়েছে।
সব মিলিয়ে গোশালাপাড়ার এই নতুন মন্দির স্থানীয় মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা।
