শিশু দিবসে গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শিশু দিবস উপলক্ষে গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় এক রঙিন ও বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনের শুরুতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং শিশুদের প্রিয় ‘চাচা নেহরু’-র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
এই মুহূর্তটি শিশুদের মধ্যে জাতীয় নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এরপরই শুরু হয় দিনভর নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গান, নাচ, আবৃত্তি ও ছড়ার গান পরিবেশন করে মঞ্চ মাতিয়ে তোলে। ছোটদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-অভিভাবক সকলকেই অভিভূত করে।
শিশুদের এই অভিনয় প্রমাণ করে তারা কতটা আগ্রহ নিয়ে উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শ্রীমদ রাজচন্দ্র মিশনের ‘লাভ অ্যান্ড কেয়ার’ শাখার উদ্যোগে নতুন জামা, প্যান্ট ও ফ্রক বিতরণ।
এই বিশেষ উদ্যোগে পড়ুয়ারা নতুন পোশাক হাতে পেয়ে মুখে আনন্দের হাসি ফোটায়। অনেকে খুশিতে লাফিয়ে ওঠে, কেউ আবার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানায়।
শিশুদের এই আনন্দঘন অভিব্যক্তি অনুষ্ঠানের পরিবেশকে আরও উচ্ছ্বসিত করে তোলে।
চুঁচুড়ার অমিয় কুমার রায় ও আরতী রায়ের সাহায্যে আয়োজিত হয় সুস্বাদু তিথিভোজ। মেনুতে ছিল স্যালাড, বাসন্তী পোলাও, কাশ্মীরি আলুর দম, মাংস, চাটনি, মিষ্টি ও পাঁপড়।
এই খাবারের আয়োজন শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদেরই নয়, অভিভাবক ও অতিথিদেরও সমানভাবে আনন্দ দেয়। শিশুদের সঙ্গে বড়রাও এই ভোজ উপভোগ করে।
অনুষ্ঠানে ডাক্তার মথন চন্দ্র মাহাতো, শিক্ষিকা সুজাতা খান, ঝিনুক পাত্র, বাণী মণ্ডল, মঞ্জরী দত্ত, প্রিয়াঙ্কা রায়, বাপ্পা রায়, দীপু প্রামাণিকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের মর্যাদা আরও বাড়িয়ে তোলে।
অনুষ্ঠানের শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানান যে শিশু দিবস কেবল উৎসবের দিন নয়, বরং শিশুদের অধিকার, স্বপ্ন ও নিরাপত্তার গুরুত্ব বোঝানোরও একটি বিশেষ উপলক্ষ।
তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সুন্দরভাবে সমাপ্তি ঘটে।
