শিক্ষক দিবস উদযাপন দিশা একাডেমি কোচিং সেন্টারে।

পুরুলিয়ার পাড়া থানার দুবড়া গ্রামে দিশা একাডেমি কোচিং সেন্টারে শিক্ষক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো। 

ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে সাজানো হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, আবৃত্তি ও বক্তব্য। 

প্রিয় শিক্ষকদের সম্মান জানিয়ে কেক কাটা হয় এবং শুভেচ্ছা কার্ড ও উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 

শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার আবহে দিনটি পরিণত হয় আনন্দময় উৎসবে।


shikkhok dibosh disha academy coaching center

🎓 শিক্ষক দিবস পালিত হলো দিশা একাডেমি কোচিং সেন্টারে

📍 স্থান: দুবড়া, পাড়া, পুরুলিয়া | 📅 তারিখ: ৫ সেপ্টেম্বর

পুরুলিয়ার পাড়া থানার দুবড়া গ্রামে দিশা একাডেমি কোচিং সেন্টারে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হলো। ছাত্রছাত্রীদের উচ্ছ্বাস ও সৃজনশীলতা চোখে পড়ার মতো ছিল। 


🌟 অনুষ্ঠান শুরুর আবহ ও দিনের গুরুত্ব

৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস – দিনটি শিক্ষার আলোকে উদযাপনের প্রতীক। প্রতি বছর এই দিনটি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয়। 

তিনি ছিলেন একজন মহান শিক্ষক ও ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। দিশা একাডেমি কোচিং সেন্টারের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের প্রিয় শিক্ষকদের সম্মান জানানোর জন্য দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করে। 

সকালে থেকেই কোচিং সেন্টারের পরিবেশ ছিল আনন্দমুখর। ফুলের মালা, রঙিন ফিতে, পোস্টার দিয়ে গোটা কোচিং সাজানো হয়েছিল। 

ছাত্রছাত্রীরা সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল, কারণ এই দিনটি শুধুমাত্র আনন্দের নয়, শিক্ষকের গুরুত্ব বোঝার এক মহৎ উপলক্ষ।

অনুষ্ঠান শুরু হয় ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান দিয়ে। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। 

শিক্ষার্থীরা বক্তব্যের মাধ্যমে জানায়, শিক্ষক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শিক্ষকদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক বিশেষ মুহূর্ত। 

তাঁদের মতে, শিক্ষকরা শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান দেন না, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দেন। 

এই উপলক্ষে কোচিং সেন্টারের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকার মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল, কারণ ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসাই তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।


🎭 ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সৃজনশীলতা

শিক্ষক দিবসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

গোটা সেন্টার মুখরিত হয়ে উঠেছিল তাঁদের পরিবেশনায়। অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, নাটিকা এবং বক্তব্য। 

প্রতিটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছিল শিক্ষকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আবৃত্তির সময় ছাত্রছাত্রীদের চোখেমুখে ছিল এক অদ্ভুত আবেগের ছোঁয়া। 

কেউ কেউ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে রচিত বিশেষ কবিতা শোনায়। নাটিকা ছিল ‘শিক্ষকের আশীর্বাদ’, যেখানে দেখানো হয় কীভাবে একজন শিক্ষকের দিকনির্দেশনা একজন ছাত্রের জীবন গড়ে দেয়।

গানের সুরে সুরে মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিটি সুর যেন শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার ভাষা। 

ছাত্রছাত্রীরা বলেন, এই দিনটি তাঁদের জন্য খুব বিশেষ কারণ সারা বছর জুড়ে শিক্ষকরা তাঁদের যেভাবে সাহায্য করেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। 

তাই এই কয়েক ঘণ্টার অনুষ্ঠান তাঁদের প্রতি ভালোবাসার ক্ষুদ্র প্রতীক। সেন্টারের প্রতিটি কোণ ভরে উঠেছিল হাততালি ও উল্লাসের শব্দে।


🎂 কেক কাটা ও শিক্ষকদের সম্মাননা

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর ছিল কেক কাটার মুহূর্ত, যা অনুষ্ঠানের অন্যতম আনন্দঘন অংশ। ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে তাঁদের প্রিয় শিক্ষকদের সঙ্গে কেক কাটে। 

প্রতিটি শিক্ষকের হাতে শুভেচ্ছা কার্ড ও ছোট ছোট উপহার তুলে দেওয়া হয়। এই ছোট্ট উপহারগুলো শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক। 

তাঁদের প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাসিমাখা মুখ দেখে ছাত্রছাত্রীরাও আনন্দে আপ্লুত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারা – রামকৃষ্ণ পাণ্ডে, সুবর্ণ মাজি, বিপ্লব মুখার্জি, ফরিদ খাতুন, নাগমা খাতুন ও আশফাক আলম। 

তাঁরা সবাই ছাত্রছাত্রীদের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। শিক্ষকরা বলেন, “শিক্ষার্থীদের সাফল্যই আমাদের আসল পুরস্কার।” 

এই বক্তব্যে বোঝা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকার জীবনে ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসা কত বড় জিনিস। এমন অনুষ্ঠান শিক্ষকদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তাঁদের অনুপ্রেরণার জায়গা শক্ত করে তোলে।


💬 শিক্ষকদের বার্তা ও শিক্ষার্থীদের অনুভূতি

শিক্ষক দিবসের শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা সবাই জীবনে বড় হও, সাফল্য পাও – এটাই আমাদের স্বপ্ন।” 

অপরদিকে ছাত্রছাত্রীরাও জানান, তাঁদের জীবনের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের অবদান রয়েছে।

শিক্ষক দিবসের এ ধরনের অনুষ্ঠান শুধু একটি দিন উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি শিক্ষকদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। 

ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে শেখে, একজন শিক্ষকের ভূমিকা সমাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা যেমন আলো ছড়িয়ে আমাদের অন্ধকার থেকে মুক্তি দেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্বও শিক্ষকদের মর্যাদা অটুট রাখা।


🌈 অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশের আবেগঘন রেশ

পুরো অনুষ্ঠান শেষে সেন্টারের পরিবেশ ছিল আনন্দময় ও আবেগঘন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কেক কাটা, শিক্ষকদের বক্তব্য – সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল এক অসাধারণ স্মৃতি। 

ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসা ও সম্মানের এই আয়োজন সবার মন জয় করে নেয়। শিক্ষকদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে আনন্দ ও গর্বের ঝলক। 

এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url