পাড়া ব্লক অফিসে সিপিআইএম-এর ডেপুটেশন কর্মসূচি।
পাড়া ব্লক অফিসে সিপিআইএম-এর ডাকা মিছিল ও ডেপুটেশন কর্মসূচি, মূল দাবিগুলি কী ছিল এবং কেন উত্তেজনা ছড়াল জানুন বিস্তারিত।
📰 পাড়া ব্লক অফিসে সিপিআইএম-এর ডেপুটেশন কর্মসূচি: উত্তেজনা ও দাবির লড়াই
📅 ঘটনার তারিখ ও স্থান
২৬/০৮/২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে পাড়া ব্লক চত্বরে শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনার এক অধ্যায়। সিপিআইএম-এর পাড়া ১, ২ ও ৩ নং এরিয়া কমিটি নানা দাবিতে পাড়া ব্লক অফিস অভিযান ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করল।
মিছিল শুরু হয় পাড়া সিপিআইএম দলীয় কার্যালয় থেকে এবং গন্তব্য ছিল পাড়া ব্লক অফিস।
🔍 কেন এই আন্দোলন?
পাড়া ব্লক এলাকায় বহু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সিপিআইএম-এর অভিযোগ—
-
১০০ দিনের কাজ বন্ধ।
-
পানীয় জলের সংকট।
-
স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি।
-
গ্রামীণ রাস্তার খারাপ অবস্থা।
স্কুলে মিড-ডে মিল চালু না হওয়া।
এই সমস্ত বিষয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
✅ সিপিআইএম-এর প্রধান দাবির তালিকা
👉 ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করা।
👉 প্রতি অঞ্চলে পতঙ্গবাহিত রোগ দমনে কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে।
👉 বিকল সৌরচালিত পানীয় জলের পাম্পগুলি দ্রুত মেরামত করতে হবে।
👉 পলমা এমএসকে স্কুল পুনরায় চালু করতে হবে।
👉 জোড়বেড়িয়া জুনিয়র হাই স্কুলে মিড-ডে মিল চালু ও শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
👉 বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ রাস্তাগুলি মেরামত করতে হবে।
👉 অকেজো সৌরচালিত সোলার লাইটগুলি মেরামত করতে হবে।
👉 নতুন তালিকা তৈরি করে সমস্ত গরিব মানুষকে পাকা ঘর দিতে হবে।
এই দাবিগুলি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
🚩 মিছিলের দৃশ্য ও উত্তেজনা
দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া মিছিল ধীরে ধীরে পাড়া ব্লক অফিসের গেটে পৌঁছায়। চারিদিক লাল পতাকার ঢেউ, গর্জনধ্বনি স্লোগান—
"দুর্নীতি হটাও, কাজ চালু করো!"
কিন্তু গেটের সামনে পুলিশি ব্যারিকেড। আন্দোলনকারীরা সামনে এগোতে চাইলে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
⛔ পুলিশি বাধা ও সমাধান
সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলেও বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে পড়ে এবং প্রশাসনের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার দাবি জানায়।
🗣️ ডেপুটেশন প্রদান ও বৈঠক
সিপিআইএম-এর ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ব্লকের বিডিওর সঙ্গে বৈঠক করে। আলোচনায় তারা প্রতিটি দাবির বিস্তারিত তুলে ধরে এবং দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি চান। ডেপুটেশন আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হয়।
👥 কারা ছিলেন উপস্থিত?
-
সুনীল মাহাতো (জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য)।
-
সুব্রত ব্যানার্জি।
-
অলোক বাউরী (এরিয়া কমিটির সম্পাদক)।
-
তন্ময় ব্যানার্জি।
-
সঞ্জয় ঘোষ (সিপিআইএম নেতা)।
-
কাজি জসিম সহ আরও অনেকে।
📌 দাবির সামাজিক গুরুত্ব
এই দাবিগুলির প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে—
✔ গ্রামীণ শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পাবে।
✔ পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে।
✔ গ্রামীণ আলো ব্যবস্থা ঠিক হবে।
✔ স্কুলে শিক্ষার মান উন্নত হবে।
🔮 আগামী দিনের পরিকল্পনা
নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন—
"দাবি না মানলে আরও বড় আন্দোলন হবে।"
এখন নজর প্রশাসনের দিকে, তারা কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।
❓ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
পাড়া ব্লকে বিভিন্ন সমস্যা যেমন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, পানীয় জলের সংকট, স্কুল সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলন হয়।
২. প্রধান দাবিগুলি কী কী ছিল?
১০০ দিনের কাজ চালু, পানীয় জলের পাম্প মেরামত, স্কুলে মিড-ডে মিল চালু, রাস্তা মেরামত, সোলার লাইট মেরামত ইত্যাদি।
৩. আন্দোলনের সময় কি কোনো বড় সংঘর্ষ হয়েছিল?
না, সামান্য উত্তেজনা হলেও পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
৪. প্রশাসন কী আশ্বাস দিয়েছে?
বিডিওর সঙ্গে বৈঠকে সিপিআইএম-এর প্রতিনিধি দল সমাধানের দাবি জানায়, তবে প্রশাসন থেকে তৎক্ষণাৎ কোনো লিখিত আশ্বাস মেলেনি।
৫. ভবিষ্যতে কী হতে পারে?
দাবি পূরণ না হলে সিপিআইএম আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।