বিশ্বমন্দির বিশ্বমঙ্গল থিমে ভামুরিয়া বাথানেশ্বর পুজো।

পুরুলিয়ার ভামুরিয়া বাথানেশ্বর পুজো ২০২৫ উদ্বোধন করলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এবছর পুজোর থিম “বিশ্বমন্দির- বিশ্বমঙ্গল” নিয়ে এসেছে নতুনত্ব ও ভক্তিমূলক বার্তা। থিম সঙে স্থানীয় শিল্পীরা, গায়ক ও সুরকাররা মণ্ডপের কারুকাজ, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে তুলে ধরেছেন। 

গান ও আলোকসজ্জা দর্শকদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত করছে এবং ভক্তি, শান্তি ও মানবতার আলো ছড়াচ্ছে। 

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজো কেবল উৎসব নয়, এটি স্থানীয় ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক সৃজনশীলতা এবং সার্বজনীন ঐক্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা দর্শক ও স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আনন্দ ও ভক্তির এক নতুন অনুভূতি তৈরি করেছে।


bhamuria bathaneshwar puja

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজো ২০২৫ থিম বিশ্বমন্দির বিশ্বমঙ্গল 🎉🙏

পুরুলিয়ার প্রতিটি পুজোই বিশেষ, তবে ভামুরিয়াবাথানেশ্বর সর্বজনীন দুর্গোৎসব তার মধ্যে এক অনন্য পরিচয় বহন করে। 

এবছর পুজোর থিম নির্বাচিত হয়েছে “বিশ্বমন্দির - বিশ্বমঙ্গল”, যা শুধু স্থানীয় মানুষদের মধ্যে নয়, বরং ভ্রমণকারী এবং দর্শকদের মাঝেও বড় আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। 

পুজোর উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। 

উদ্বোধনের পর থেকেই পুজোর মণ্ডপ ও থিম সঙ দর্শকদের আকর্ষণ করছে। 

স্থানীয় গায়ক ও শিল্পীরা যেমন গান এবং পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত করেছেন, তেমনি মণ্ডপের কারুকাজ এবং আলোকসজ্জা দর্শকদের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলছে। 

পুরো পুজোটি ভক্তি, আনন্দ এবং ঐক্যের এক অনন্য মেলবন্ধন। প্রতিটি দর্শক এখানে ভক্তি ও আনন্দের এক নতুন অনুভূতি অনুভব করছেন।


থিম সঙ মাটির ছোঁয়া এবং স্থানীয় আবেগ 🎶🌾

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো থিম সঙ। সাধারণত পুরুলিয়ার পুজোতে থিম সঙ খুব কম শোনা যায়, কিন্তু এই বছর কমিটি ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে। 

থিম সঙের মাধ্যমে মণ্ডপের ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পুজোর আনন্দ দর্শকদের কাছে জীবন্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে। 

এই গান তৈরি হয়েছে অর্ঘ্যদীপ সিনহার তত্ত্বাবধানে, যেখানে শুভম জমাদার গানের কথা লিখেছেন এবং ইন্দ্রজিৎ দে, মধুবন চক্রবর্তী, অর্ঘ্যদীপ সিনহা ও শুভম জমাদার গানটি পরিবেশন করেছেন।

থিম সঙে যেমন স্থানীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং প্রান্তিক গ্রামের জীবন ফুটে উঠেছে, তেমনি মণ্ডপের বিগত বছরের পুজোর অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়েছে। 

গানটি দর্শকদের মধ্যে আবেগের সঞ্চার করছে এবং পুজোর অর্থকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করাচ্ছে। 

গায়ক অর্ঘ্যদীপ সিনহার মতে, দর্শক যদি গানটি ভালোভাবে উপভোগ করেন, সেটিই তাদের মূল সাফল্য। 

এই থিম সঙ শুধু গান নয়, এটি ভক্তি, সংস্কৃতি এবং মানবতার এক অনন্য প্রকাশ।


ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজোর উদ্দেশ্য ভক্তি ও মানবতার আলো 🕉️💖

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজোর মূল উদ্দেশ্য হলো ভক্তি এবং মানবতার আলো ছড়ানো। পুজো কমিটির কর্মকর্তা হীরালাল মাঝি বলেছেন, মন্দিরের আসল পরিচয় শুধুমাত্র প্রাচীর বা গম্বুজে নয়। 

বরং ভক্তির সেই অনুভূতি যা মানবকে একত্রিত করে, সেটিই প্রকৃত মন্দির। এবছরের থিম “বিশ্বমন্দির- বিশ্বমঙ্গল” এই ভাবনাকে কেন্দ্র করে তৈরি। 

এটি প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি মন্দির স্থাপন করে এবং প্রতিটি ভক্তি সেই মন্দিরের পূজারীর সমান। 

ভক্তির মাধ্যমে শক্তি, শান্তি এবং আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে, যা সমাজে সার্বজনীন ঐক্য গড়ে তোলে। ভক্তির এই বার্তা সমাজে বিভেদ, হিংসা এবং দ্বন্দ্ব দূর করতে সক্ষম। 

পুজোর প্রতিটি কার্যক্রম, গান এবং মণ্ডপের সাজানো কারুকাজই এই বার্তাকে সমর্থন করে। 

এটি শুধুমাত্র স্থানীয়দের জন্য নয়, বরং দর্শনার্থীদের মধ্যে ভক্তি ও মানবিকতার এক অনন্য অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

bhamuria bathaneshwar durga puja


পুজোর থিম ও গান নতুনত্ব এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন 🌏🎤

পুজোর থিম “বিশ্বমন্দির- বিশ্বমঙ্গল” নতুনত্ব এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। 

মণ্ডপের কারুকাজ, আলোকসজ্জা, থিম সঙ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সংমিশ্রণ দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। 

গানটির মাধ্যমে যেমন স্থানীয় প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে, তেমনি গ্রামের জীবন, নদী, পাহাড় এবং মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্যও প্রতিফলিত হয়েছে। 

থিম সঙের প্রতিটি লাইন ভক্তি, শান্তি এবং মানবতার বার্তা বহন করছে। এটি দর্শকদের মধ্যে একটি অনন্য আনন্দ এবং আবেগ সঞ্চার করছে। 

পুজো কমিটি লক্ষ্য করেছে, দর্শকরা থিমের মাধ্যমে পুজোর আসল উদ্দেশ্য উপলব্ধি করছেন এবং সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা আরও গভীর হচ্ছে। 

মণ্ডপের প্রতিটি কোণ, গানের সুর এবং আলো-সজ্জা একত্রিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা তৈরি করছে, যা দর্শককে মুগ্ধ করছে।


স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস 😊🎊

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজোর প্রতি স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত উচ্ছ্বাসমূলক। দর্শকরা থিম সঙ শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন, কেউ কেউ গান এবং সুরের সঙ্গে নাচাচ্ছেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, এই পুজো ভক্তি এবং আনন্দের এক অনন্য মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে। 

নতুন প্রজন্মও এই পুজোর মাধ্যমে স্থানীয় সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। 

দর্শকরা অনুধাবন করছেন যে, এই পুজো কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি মানবিক সংহতি, ভালোবাসা এবং সামাজিক ঐক্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। 

হীরালাল মাঝি বলেছেন, দর্শক যদি পুজোর বার্তা অনুভব করে, সেটিই তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।


থিমের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব 🌍🤝

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজোর থিম শুধুমাত্র আনন্দ বা গান নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সচেতনতার বার্তাও দেয়। 

থিম প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে মানবতার আলো পৌঁছে দেয় এবং সার্বজনীন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে। স্থানীয় গান, নাচ এবং কারুকাজের মাধ্যমে সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। 

থিম সঙ, মণ্ডপের সাজানো কারুকাজ এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করছেন। 

এটি প্রমাণ করে যে উৎসব শুধুমাত্র আনন্দ নয়, বরং এটি মানুষের ভক্তি, মানবিকতা এবং সৃজনশীল শক্তিকে একত্রিত করার মাধ্যম। 

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজো সামাজিক সংহতি এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।


উপসংহার ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজো আনন্দ এবং ঐক্যের উৎসব ✨🙏

ভামুরিয়াবাথানেশ্বর পুজো কেবল একটি স্থানীয় উৎসব নয়। এটি পুরুলিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভক্তি এবং মানবিক সংহতির এক শক্তিশালী প্রতীক। 

থিম “বিশ্বমন্দির- বিশ্বমঙ্গল” দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। দর্শকরা পুজো দেখার সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করছেন ভক্তির শক্তি। 

স্থানীয় শিল্পীরা, গায়ক-সুরকার এবং পুজো কমিটি মিলেমিশে এই আনন্দ সৃষ্টি করেছেন। 

প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে প্রেম, শান্তি ও আনন্দের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। এই পুজো প্রমাণ করছে, সংস্কৃতি, ভক্তি এবং সমৃদ্ধি একত্রিত হয়ে কিভাবে সমাজকে আনন্দ এবং ঐক্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url