তেলকুপি বারনী ঘাটে বৃক্ষরোপণ।

🌳পুরুলিয়ার তেলকুপি-বারনী ঘাটে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের স্মৃতিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। পড়ুন বিস্তারিত। 🌿🌏


telkupi barani ghat brikkhoporon


🌱 তেলকুপি বারনী ঘাটে বৃক্ষরোপণ 🌳 — প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

পুরুলিয়া, আজকের পুরুলিয়া: 

কথায় আছে — "একটি গাছ, একটি প্রাণ" 🌿। প্রকৃতির সাথে মানুষের এই চিরন্তন সম্পর্ককে নতুন করে মনে করিয়ে দিল পুরুলিয়ার তেলকুপি-বারনী ঘাট। 

শুক্রবার এই ঐতিহাসিক স্থানে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ — ৮০টি বৃক্ষরোপণ, যা উৎসর্গ করা হলো ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রয়াত জননেতা শিবু সোরেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।

🌏 অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও আবেগ

প্রকৃতিকে বাঁচাতে এবং নতুন প্রজন্মকে সবুজ পরিবেশের বার্তা পৌঁছে দিতে তেলকুপী বারনী সমিতি এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে। 

তাদের উদ্দেশ্য ছিল, কেবল একটি স্মরণসভা নয় — বরং পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন। তিনি আবেগভরে বলেন —

"শিবু সোরেনজি সম্প্রতি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর প্রিয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই তেলকুপি-বারনী ঘাট। তাই তাঁর স্মৃতিতে এখানে বৃক্ষরোপণ করে আমরা শুধু শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম না, বরং পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দিলাম।"


🪴 কেন বৃক্ষরোপণ এত গুরুত্বপূর্ণ?

🌳 বৃক্ষরোপণ কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষা, অক্সিজেন উৎপাদন, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং মাটি সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

  • অক্সিজেন সরবরাহ: গাছ বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ছাড়ে।

  • প্রাণীর আবাসস্থল: পাখি, কাঠবিড়ালি, প্রজাপতির জন্য গাছ আশ্রয়স্থল।

  • জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: গাছ বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়ায় এবং গ্রীষ্মে তাপমাত্রা কমায়।


📜 শিবু সোরেন — এক নজরে জীবনী ও অবদান

শিবু সোরেন ছিলেন ঝাড়খণ্ড রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

  • জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৪৪।

  • মৃত্যু: ২০২৫ সালে (সম্প্রতি)।

  • পরিচিতি: ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM)-এর প্রতিষ্ঠাতা।

  • অবদান: আদিবাসী অধিকার, বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, খনিজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ।

তিনি সর্বদা গ্রামীণ উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার পক্ষে ছিলেন। তাই তাঁর স্মৃতিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনেকের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে।


🌿 তেলকুপি-বারনী ঘাট — ইতিহাস ও গুরুত্ব

পুরুলিয়ার তেলকুপি-বারনী ঘাট কেবল একটি নদীর ধারের জায়গা নয়, এটি স্থানীয়দের কাছে আবেগ ও স্মৃতির কেন্দ্র। 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চল বহু বছর ধরে পর্যটক, প্রকৃতিপ্রেমী ও ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।


📸 অনুষ্ঠানের ঝলক

অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই এলাকায় ভিড় জমতে থাকে। উপস্থিত সকলের হাতে ছিল চারা গাছ 🌱। কেউ আম, কেউ কাঁঠাল, কেউ আবার ফুলের গাছ রোপণ করছিলেন।

রাজীবলোচন সোরেন নিজে হাতে প্রথম চারা রোপণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। শিশুরা আনন্দের সাথে গাছ লাগানোর কাজে অংশ নেয়। 

সকলের মুখে হাসি, চোখে গর্ব — পরিবেশ রক্ষার প্রতিজ্ঞায় ভরা সেই দিনটিকে মনে রাখবে তেলকুপি-বারনী ঘাট।


❤️ জনমানসে প্রতিক্রিয়া

📢 স্থানীয়দের মতে, এমন উদ্যোগ বছরে একবার নয়, বহুবার হওয়া উচিত।

"গাছ লাগালে শুধু পরিবেশ বাঁচবে না, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে," — বললেন এক স্থানীয় বাসিন্দা।


📌 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তেলকুপী বারনী সমিতি জানিয়েছে, তারা প্রতি বছর এই ধরনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে এবং কমপক্ষে ৫০০টি গাছ লাগানোর লক্ষ্য নিয়েছে। 

এছাড়া লাগানো গাছের যত্ন নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলও গঠন করা হবে।


🌟 সমাপনী কথা

একটি গাছ লাগানো মানে একটি প্রাণকে রক্ষা করা। শিবু সোরেনের স্মৃতিতে আয়োজিত এই বৃক্ষরোপণ কেবল তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী উপহার দেওয়ার শপথ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url