রঘুনাথপুরে আইনজীবীদের কর্মবিরতি।
😡🚰রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে রাস্তার বেহাল অবস্থা ও পানীয় জলের অভাবে আইনজীবীদের সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি। জানুন বিস্তারিত।
রঘুনাথপুরে আইনজীবীদের সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি: রাস্তার বেহাল অবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে ক্ষোভ 😡🚰
📅 তারিখ: ১৩ আগস্ট, রঘুনাথপুর।
📍 স্থান: রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত চত্বর।
রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত চত্বরে অবকাঠামোগত সমস্যাগুলি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হওয়ায় আইনজীবীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।
রাস্তার বেহাল অবস্থা, পানীয় জলের অভাব এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধার অপ্রতুলতাকে সামনে রেখে রঘুনাথপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। 📢⚖️
সমস্যার মূল কারণ 🕵️♂️
1️⃣ রাস্তার করুণ দশা 🛑🛣️
আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের প্রধান অভিযোগ আদালত চত্বরে প্রবেশের রাস্তার অবস্থা।
-
সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাদায় পরিণত হয় 💦।
-
কাদা ও গর্তের কারণে প্রতিদিন শত শত মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
-
শুধু আইনজীবী নন, দূরদূরান্ত থেকে আসা মামলাকারী, সাক্ষী এবং সাধারণ মানুষকেও এই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
2️⃣ পানীয় জলের মারাত্মক অভাব 🚱
-
আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই।
-
পৌরসভার দেওয়া একটি মাত্র নলকূপ রয়েছে, কিন্তু তা প্রায় সময় অকেজো হয়ে থাকে।
-
আইনজীবী ও মামলাকারীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল সংগ্রহ করা প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
3️⃣ ক্যান্টিনের অভাব 🍽️
-
আদালত চত্বরে একটি ক্যান্টিন চালুর দাবি বহুদিনের।
-
জেলা জজের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হলেও এখনো সেই দাবি পূরণ হয়নি।
-
দূরদূরান্ত থেকে আসা আইনজীবী ও মামলাকারীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেই।
আইনজীবীদের বক্তব্য 🎙️
রঘুনাথপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোপালকৃষ্ণ আচারিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান:
“আমরা বারবার প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। জেলা জজ সাহেব মৌখিকভাবে আশ্বাস দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ১৩ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির পথে হেঁটেছি, যা চলবে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত।”
তিনি আরও বলেন—
-
রাস্তার সমস্যার কারণে প্রতিদিন আদালতের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
-
পানীয় জলের সমস্যায় অসংখ্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন।
-
প্রশাসন যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আন্দোলনের পথে হাঁটতে হতে পারে।
কর্মবিরতির প্রভাব 📉
কর্মবিরতির কারণে—
-
মামলা শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে।
-
বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে।
-
প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ❓
আইনজীবীদের অভিযোগ—
-
জেলা জজ সমস্যার কথা জেনেও তা সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।
-
পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
-
আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা না থাকা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
জনগণের প্রতিক্রিয়া 🙋♂️🙋♀️
আদালতে আসা অনেক সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন—
-
“রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না, বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়।”
-
“জল খাওয়ার জন্য বাইরে দোকান খুঁজতে হয়।”
-
“আদালতে এত মানুষ আসেন, অথচ ক্যান্টিন নেই—এটা অবিশ্বাস্য।”
সম্ভাব্য সমাধান ✅
বিশেষজ্ঞদের মতে—
-
রাস্তা মেরামত: অবিলম্বে টেন্ডার ডেকে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা দরকার।
-
জল সরবরাহ উন্নত করা: নলকূপ মেরামত এবং বিকল্প পানীয় জলের উৎস তৈরি।
-
ক্যান্টিন চালু: সরকারি তত্ত্বাবধানে স্থায়ী ক্যান্টিন স্থাপন।
-
মনিটরিং কমিটি: সমস্যা নিয়মিত পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন।
উপসংহার 🏁
রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা নিজেদের স্বার্থে নয়, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থেই এই কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন।
তাদের দাবিগুলি পূরণ হলে আদালতের পরিবেশ উন্নত হবে, এবং বিচার ব্যবস্থার গতি বৃদ্ধি পাবে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন কত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।