ডিএসকে ডিএভির সোনার ছেলেরা পুরুলিয়ার গৌরব।

🏆ওড়িশার ভুবনেশ্বরে সিবিএসই অ্যাথলেটিক মিটে ডিএসকে ডিএভি পাবলিক স্কুলের তিন ছাত্র জিতল স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক। পুরুলিয়ার গৌরব বাড়াল সোনার ছেলেরা।


dsk dav sonar chelera purulia victory


🏆 ডিএসকে ডিএভির সোনার ছেলেরা: ভুবনেশ্বরে অ্যাথলেটিকসে নজরকাড়া জয়

০৭/০৮/২০২৫ থেকে ১০/০৮/২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ওড়িশ্যা রাজ্যের ভুবনেশ্বর শহরে কিট ইউনিভার্সিটির অ্যাথলেটিকস্ মাঠে অনুষ্ঠিত হল সিবিএসই অথল্যাটিক মিট ক্লাস্টার-২। 

সেখানে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশ্যা ও ছত্তিশগড় রাজ্যের সমস্ত সিবিএসই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যাথলেটিকস্-এ অংশগ্রহণ করে। 

সেই প্রতিযোগিতায় পুরুলিয়া শহরে অবস্থিত ডিসকে ডিএভি পাবলিক স্কুলের তিন জন ছাত্র সাফল্য অর্জন করেছে। শুভাশীষ মাহাত (দ্বাদশ শ্রেণী) স্বর্ণপদক (২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়), প্রতিক বেসরা (সপ্তম শ্রেণী) স্বর্ণপদক (১০০ মিটার); রৌপ্যপদক (২০০ মিটার), বীপেন্দ্রনাথ বেসরা (অস্টম শ্রেণী) রৌপ্যপদক (উচ্চ লম্ফন); ব্রোঞ্জ পদক (৪০০ মিটার)। 

শুভাশীষ মাহাত ভারতবর্ষের সুপরিচিত অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত মহিলা অ্যাথলিট মিস দূতী চাঁদের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ অ্যাথলিট এর পুরস্কার গ্রহণ করে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যক্ষ শ্রী জয়ন্ত বিশ্বাস মহাশয় ছাত্রদের সাফল্যে ঘুবই আনন্দিত ও তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যে আশাবাদী।


🎯 পুরুলিয়ার গর্ব: শুরু হয়েছিল ভুবনেশ্বরে

৭ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ওড়িশার ভুবনেশ্বর শহরের কিট ইউনিভার্সিটির অ্যাথলেটিকস মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সিবিএসই অ্যাথলেটিক মিট ক্লাস্টার-২ 🏟️। 

পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের অসংখ্য সিবিএসই স্কুলের মেধাবী ছাত্রছাত্রী অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়।

এ যেন পূর্ব ভারতের সেরা তরুণ অ্যাথলেটদের এক মহামিলন মেলা। দর্শকাসনে ছিল উচ্ছ্বাস, মাঠে ছিল দৌড়ের ঝড়, আর প্রতিটি খেলোয়াড়ের চোখে ছিল শুধু জয়ের স্বপ্ন


🥇 ডিএসকে ডিএভি পাবলিক স্কুলের সাফল্যের ঝলক

পুরুলিয়া শহরের ডিএসকে ডিএভি পাবলিক স্কুল এবার সত্যিই ইতিহাস গড়ল। তাদের তিন জন ছাত্র শুধু অংশ নেয়নি, বরং একাধিক পদক জিতে সবার নজর কাড়ল।

নাম শ্রেণী ইভেন্ট পদক
শুভাশীষ মাহাত দ্বাদশ ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার দৌড় স্বর্ণ 🥇 + স্বর্ণ 🥇
প্রতিক বেসরা সপ্তম ১০০ মিটার, ২০০ মিটার দৌড় স্বর্ণ 🥇 + রৌপ্য 🥈
বীপেন্দ্রনাথ বেসরা অষ্টম উচ্চ লম্ফন, ৪০০ মিটার দৌড় রৌপ্য 🥈 + ব্রোঞ্জ 🥉

🌟 শুভাশীষ মাহাত – সেরা অ্যাথলেটের মুকুটধারী

শুভাশীষ মাহাত শুধু দুটি স্বর্ণপদকই জেতেননি, বরং ‘শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেট’ পুরস্কারও পেয়েছেন। 

এই সম্মান তিনি গ্রহণ করেছেন ভারতবর্ষের অন্যতম কিংবদন্তি মহিলা অ্যাথলিট ও অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত মিস দূতী চাঁদের হাত থেকে 🏅।

দূতী চাঁদের মতো একজন আন্তর্জাতিক তারকার হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া শুভাশীষের জীবনের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। এই মুহূর্তের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।


🏃‍♂️ প্রতিক বেসরার গতি যেন বজ্রপাত

সপ্তম শ্রেণির প্রতিক বেসরা ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সবার আগে ফিনিশিং লাইন ছুঁয়ে নেন। তার গতি এতটাই তীব্র ছিল যে দর্শকরাও অভিভূত হয়ে যায় ⚡। 

এছাড়া ২০০ মিটারে তিনি সামান্য ব্যবধানে দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্যপদক অর্জন করেন।


🏅 বীপেন্দ্রনাথ বেসরা – লাফের রাজা

অষ্টম শ্রেণির বীপেন্দ্রনাথ বেসরা উচ্চ লম্ফনে তার অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে রৌপ্য জিতে নেন। 

শুধু তাই নয়, ৪০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করে তিনি প্রমাণ করেছেন যে তিনি একাধিক ইভেন্টে পারদর্শী।


🎉 বিদ্যালয়ের আনন্দ ও গর্ব

বিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যক্ষ শ্রী জয়ন্ত বিশ্বাস মহাশয় এই সাফল্যে ভীষণ খুশি 😊। তিনি জানিয়েছেন,

“আমাদের ছাত্রদের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স শুধু বিদ্যালয়ের গৌরব বাড়ায়নি, পুরুলিয়া শহরকেও জাতীয় মানচিত্রে পরিচিত করেছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে ওরা আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে।”

শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবকেরাও তাদের সাফল্যে সমানভাবে গর্বিত।


💡 এই সাফল্যের পেছনে কী আছে?

  • কঠোর পরিশ্রম – প্রতিদিন ভোরে উঠে নিয়মিত অনুশীলন।

  • শৃঙ্খলা – পড়াশোনা ও খেলাধুলা দুটোকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া।

  • বিদ্যালয়ের সহায়তা – প্রশিক্ষণ সুবিধা, কোচিং ও মানসিক সমর্থন।

  • পারিবারিক উৎসাহ – বাবা-মায়ের অবিরাম সমর্থন ও অনুপ্রেরণা।


📌 ভবিষ্যতের লক্ষ্য

এখন লক্ষ্য শুধু রাজ্য বা জাতীয় স্তর নয়, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের হয়ে খেলা। শুভাশীষ, প্রতিক ও বীপেন্দ্রনাথ তিনজনেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে তারা একদিন দেশের পতাকা উঁচুতে ওড়াবে 🇮🇳।


❤️ পুরুলিয়ার মানুষের প্রতিক্রিয়া

পুরুলিয়ার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ক্রীড়া প্রেমী—সবার মুখে এখন একটাই কথা,

“এরা আমাদের গর্ব, আমাদের আশা।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা বয়ে যাচ্ছে, কেউ পোস্ট দিচ্ছেন 🏅, কেউ লিখছেন অনুপ্রেরণামূলক বার্তা।


📰 সারসংক্ষেপ

ডিএসকে ডিএভি পাবলিক স্কুলের এই তিন সোনার ছেলে দেখিয়ে দিয়েছে যে গ্রাম বা শহরের দূরত্ব, সম্পদের অভাব—কিছুই স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না, যদি থাকে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর সঠিক দিকনির্দেশনা।


📌 শেষ কথা: পুরুলিয়ার এই তরুণ অ্যাথলেটরা শুধু পদকই জেতেনি, বরং প্রমাণ করেছে—“স্বপ্ন দেখো, কঠোর পরিশ্রম করো, সাফল্য আসবেই”


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url