পুরুলিয়ায় কৃষি ও বাস্তু জমির পাট্টা বিতরণ।

🌾পুরুলিয়ায় ১১২ জন উপভোক্তার হাতে কৃষি ও বাস্তু জমির পাট্টা তুলে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালে ঘোষণা করলেন জমির আজীবন স্বত্ব।


purulia krishi bastu jomi patta bitoron

🌾 পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা: কৃষি ও বাস্তু জমির পাট্টা পেলেন শতাধিক পরিবার

পুরুলিয়া, ২৬ আগস্ট: 

পুরুলিয়া জেলায় আবারও হাসি ফুটল বহু পরিবারের মুখে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আজ ১১২ জন উপভোক্তার হাতে কৃষি পাট্টা, বন পাট্টা ও বাস্তু জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান থেকে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের মোট ১৩টি জেলায় একযোগে ৭০৩৩টি পাট্টা বিতরণের ঘোষণা করেন।

👉 এই পদক্ষেপ রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়নে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,

"প্রত্যেকের মাথার উপরে ছাদ ও পায়ের নিচে জমি থাকবে – এটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।"


পাট্টা মানে কী? কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে – পাট্টা কী এবং এর গুরুত্ব কী?

  • পাট্টা হল সরকারের তরফে প্রদত্ত জমির মালিকানার স্বীকৃতি।

  • একবার পাট্টা পেলে সেই জমির আজীবন স্বত্ব আপনার হাতে চলে আসে।

  • কৃষি পাট্টা মানে কৃষিকাজের জন্য জমি।

  • বন পাট্টা মানে বনাঞ্চলের জমি চাষ বা বসবাসের জন্য প্রদান।

  • বাস্তু জমি পাট্টা মানে বাড়ি তৈরির জন্য জমি।

রাজ্য সরকারের দাবি, এই প্রকল্প গরিব ও ভূমিহীন মানুষদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের এক নতুন দিশা।


🌟 পুরুলিয়ায় আজকের বিতরণের মূল পরিসংখ্যান

আজকের অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া সার্কিট হাউস থেকে মূল অনুষ্ঠানটি হয়। সেখান থেকে পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লক অফিসে পাট্টা বিতরণ করা হয়েছে।

📊 সংখ্যার হিসাবে পাট্টা বিতরণ:

  • পুরুলিয়া জেলার মোট উপভোক্তা: ১১২ জন।

  • পুরো রাজ্যে বিতরণকৃত পাট্টার সংখ্যা: ৭০৩৩টি।

  • অন্তর্ভুক্ত জেলা: দক্ষিণবঙ্গের ১৩টি জেলা।

  • বিতরণ করা পাট্টার ধরন:

    • কৃষি পাট্টা।

    • বন পাট্টা।

    • বাস্তু জমির পাট্টা।

    • উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত দলিল।


🏛 পুরুলিয়ায় কোথায় কোথায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে?

আজকের পাট্টা বিতরণের স্থানগুলির মধ্যে ছিল:

  • পুরুলিয়া সার্কিট হাউস।

  • হুড়া ব্লক অফিস।

  • পুরুলিয়া ১ ও পুরুলিয়া ২ ব্লক অফিস।

  • পুঞ্চা ব্লক অফিস।

  • নিতুড়িয়া ব্লক অফিস।

  • সাঁতুড়ি ব্লক অফিস।

  • বলরামপুর ব্লক অফিস।

  • রঘুনাথপুর মহকুমা শাসকের দপ্তর।

এছাড়া অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকেও আজ পাট্টা দেওয়া হয়েছে।


👩‍⚖️ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টরা

পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:

  • মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু।

  • জেলা শাসক রজত নন্দা।

  • জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো।

  • জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

     এছাড়া আরও অনেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন।


🌱 কেন এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ?

এই পদক্ষেপ শুধু কাগজে-কলমে জমি দেওয়া নয়, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য অনেক বেশি।

  • ভূমিহীন মানুষদের নিরাপত্তা: জমি হাতে পেলে আর ভিটেহারা থাকার ভয় নেই।

  • কৃষকদের উন্নতি: চাষের জন্য জমি পেলে কৃষকের আয় বাড়বে।

  • বসবাসের নিশ্চয়তা: পাট্টা মানে নিজের বাড়ি গড়ার স্বপ্ন পূরণ।

  • অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: জমি থাকলে ঋণ পাওয়া সহজ হয়, ব্যবসার সুযোগ বাড়ে।


🗣 উপভোক্তাদের মুখে আনন্দের ঝলক

আজ যেসব মানুষ পাট্টা পেয়েছেন, তাঁদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
একজন উপভোক্তা বললেন,

“আমাদের এতদিন নিজের কোনো জমি ছিল না। আজ সরকারের জন্যই সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।”

অন্য এক জনের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া,

“এই জমি মানে শুধু মাটি নয়, আমাদের বাঁচার ভরসা।”


📌 রাজ্য সরকারের বার্তা

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন –

“রাজ্যের প্রত্যেক মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। কেউ ভূমিহীন থাকবে না।”

এই প্রতিশ্রুতি রাজ্যের উন্নয়নের নয়া রূপরেখা গড়ছে।


ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

রাজ্য সরকার জানিয়েছে:

  • পাট্টা বিতরণের প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলবে

  • ভবিষ্যতে আরও মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

  • জমি ছাড়া কেউ রাজ্যে থাকবে না – এটাই সরকারের টার্গেট।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url