পুরুলিয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে প্রথম গণেশ পূজার আয়োজন।

🎉পুরুলিয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে প্রথমবার গণেশ পূজা অনুষ্ঠিত হলো ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। উদ্বোধন করলেন ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী নিত্যশুদ্ধানন্দজী মহারাজ। 


purulia ganesh puja vhp

🕉️ পুরুলিয়ায় প্রথমবারের মতো গণেশ পূজা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে জমকালো আয়োজন 🎉

পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে আজ এক বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকল পুরুলিয়াবাসী। 

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে এবং বজরং দলের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো গণেশ পূজার সূচনা হলো। 

ভক্তিমূলক পরিবেশ, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি আর হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে শহর জুড়ে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে।


উদ্বোধনী মন্ত্রোচ্চারণ ও শুভ সূচনা 🙏

"ওঁ বক্রতুণ্ড মহাকায়, সূর্যকোটি সমপ্রভা।
নির্বিঘ্নম্ কুরু মে দেব, সর্বকার্যেষু সর্বদা।।
"

এই মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়েই শুরু হয় এই শুভ অনুষ্ঠান। পূজার শুভ উদ্বোধন করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী নিত্যশুদ্ধানন্দজী মহারাজ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।


কে কে উপস্থিত ছিলেন?

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—

✔️ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)-এর বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
✔️ বজরং দল-এর সক্রিয় সদস্যরা।
✔️ পুরুলিয়া বিধানসভার সম্মানীয় বিধায়ক মাননীয় সুদীপ মুখার্জী মহাশয়

তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের মর্যাদা আরও বাড়িয়ে দেয়।


গণেশ পূজার তাৎপর্য ও পুরুলিয়ার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এর স্থান

গণেশ পূজা সাধারণত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকসহ পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় উৎসব। 

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় এই পূজার প্রচলন তেমন দেখা যায় না। তাই এই আয়োজনটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেল পুরুলিয়ায়।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে। এই পূজা সেই প্রচেষ্টারই অংশ।


উৎসবের আবহে শহর মাতোয়ারা 🎶

এই অনুষ্ঠানে শুধু পূজাই নয়, ছিল নানা রকম সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ভক্তিগীতি, আরতি, এবং প্রসাদ বিতরণ। 

স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমায় ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকায়। ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ভক্তদের প্রতিক্রিয়া 💬

অনেক ভক্তই জানিয়েছেন, এই পূজা পুরুলিয়ায় নতুন এক সংস্কৃতির সূচনা করল।

➡️ কারও কারও বক্তব্য—“এত সুন্দর আয়োজন আগে পুরুলিয়ায় দেখিনি। আশা করি, আগামী বছর আরও বড় আকারে হবে।”
➡️ কেউ আবার বলেছেন—“গণেশ পূজা শুরু হওয়ায় শহরে ভক্তিমূলক আবহ তৈরি হয়েছে।”


purulia ganesh puja 01

গণেশ পূজার ধর্মীয় গুরুত্ব 🕉️

হিন্দু ধর্মে গণেশ দেবতাকে বিঘ্নহর্তা বলা হয়। যেকোনো শুভ কাজের আগে তাঁর পূজা করা হয়। 

ব্যবসা, শিক্ষা, নতুন কাজের সূচনায় গণেশের আরাধনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই পূজার মূল উদ্দেশ্য হলো শহরবাসীর কল্যাণ ও অগ্রগতি কামনা


VHP এবং বজরং দলের বার্তা

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই পূজা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করার একটি প্রয়াস। তাঁদের মতে,

✅ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাজে ঐক্য গড়ে তোলে।
✅ মানুষকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করে।
✅ আগামী প্রজন্মকে হিন্দু ঐতিহ্য শেখায়।


পুরুলিয়ার মানুষ কী আশা করছে?

অনেকেই আশা করছেন, আগামী বছর এই পূজা আরও বড় আকারে হবে এবং পুরুলিয়ার ক্যালেন্ডারে নতুন উৎসব হিসেবে জায়গা করে নেবে।


সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল চমক ✨

পূজার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ভক্তিমূলক গান ও নাচে অনুষ্ঠান জমে ওঠে। সন্ধ্যায় আরতির সময় পুরো এলাকা আলোকসজ্জায় ঝলমল করে ওঠে।


আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল সকল ভক্ত, পুরুলিয়ার মানুষ এবং প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায় সহযোগিতা করার জন্য।


purulia ganesh puja 02

উপসংহার

পুরুলিয়ায় এই প্রথমবার গণেশ পূজা শুধু একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐক্যের নতুন সূচনা। 

আগামী বছর আরও বড় আয়োজনের প্রত্যাশায় এখন থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে শহরে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url