পাড়া বিজেপির উদ্যোগে উদয়পুরে তিরঙ্গা যাত্রা।

🚩পাড়া ব্লকের উদয়পুর অঞ্চলে বিজেপির ৩ নং মন্ডলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো তিরঙ্গা যাত্রা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মানুষের উচ্ছ্বাসে দেশপ্রেমের স্রোত বয়ে গেল, উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব।


para udaypur bjp triranga jatra

🇮🇳 পাড়া উদয়পুরে বিজেপির তিরঙ্গা যাত্রা: স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশপ্রেমের আবেগে ভাসলো এলাকা

পাড়া বিধানসভা বিজেপির ৩ নং মন্ডলের উদ্যোগে বুধবার বিকেল চারটায় পাড়া ব্লকের উদয়পুর অঞ্চলের উদয়পুর বাজারে তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয়। 

এদিন হড়োকতোড় মোড় থেকে যাত্রা শুরু হয়ে উদয়পুর মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হর ঘর তিরঙ্গার ডাক দিয়েছেন। তারই একটি অঙ্গ হিসেবে এই তিরঙ্গা যাত্রা। 

উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, জেলা বিজেপির এস সি মোর্চার সভাপতি সদানন্দ বাউরী, বিধানসভা কো কনভেনার সনাতন মাহাতো,মন্ডল সভাপতি জয়দেব মন্ডল,মন্ডল সাধারণ সম্পাদক দীনেশ চৌধুরী,জেলা সম্পাদিকা রাধিকা মন্ডল, মন্ডল সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎস্না বাউরী সহ অন্যান্যরা। এদিন মিছিলে মানুষের উপস্থিতি ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। 


🌅 দেশপ্রেমের রঙে রঙিন উদয়পুর

পাড়া বিধানসভার বিজেপির ৩ নং মন্ডলের উদ্যোগে বুধবার বিকেল চারটায় পাড়া ব্লকের উদয়পুর অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য তিরঙ্গা যাত্রা 🚩।

এই যাত্রা শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় ঐক্যের বার্তা ছড়ানোর এক প্রাণবন্ত উদ্যোগ ছিল।

মিছিলটি শুরু হয় হড়োকতোড় মোড় থেকে, যা স্থানীয়ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। সেখান থেকে উদয়পুর মোড় পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার জুড়ে মিছিলের ঢল নামে।

চারপাশে শোনা যাচ্ছিল “ভারত মাতা কি জয়”“বন্দে মাতরম” ধ্বনি, যা প্রত্যেকের মনে দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাস জাগিয়ে তুলছিল।


🎯 তিরঙ্গা যাত্রার মূল উদ্দেশ্য

এই তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজনের পেছনে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর "হর ঘর তিরঙ্গা" আহ্বান।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের লক্ষ্য—

  • প্রতিটি ঘরে তিরঙ্গা উত্তোলনকে উৎসাহিত করা।

  • জাতীয় পতাকার মর্যাদা ও তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

  • দেশের প্রতি ঐক্য ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের আগে মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা আরও দৃঢ় করা এবং জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানোই ছিল এই কর্মসূচির আসল উদ্দেশ্য।


👥 নেতৃত্ব ও উপস্থিতি

এই তিরঙ্গা যাত্রায় ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিজেপি নেতৃত্ব, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

  • বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী – বিজেপির রাজ্য নেতা।

  • সদানন্দ বাউরী – জেলা বিজেপির এস সি মোর্চার সভাপতি।

  • সনাতন মাহাতো – বিধানসভা কো-কনভেনার।

  • জয়দেব মন্ডল – মন্ডল সভাপতি।

  • দীনেশ চৌধুরী – মন্ডল সাধারণ সম্পাদক।

  • রাধিকা মন্ডল – জেলা সম্পাদিকা।

  • জ্যোৎস্না বাউরী – মন্ডল সাধারণ সম্পাদিকা।

এছাড়া আরও বহু কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দেন।


📸 দৃশ্যপট: উৎসবের আমেজ

যাত্রার দিনে উদয়পুর এলাকা যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশে ভরে উঠেছিল। 

রঙিন তিরঙ্গা পতাকা হাতে শিশু, যুবক, প্রবীণ—সবাই অংশ নিয়েছিলেন এই পদযাত্রায়। 

পথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে মানুষ উল্লাসে মেতে ওঠেন এবং স্লোগানে সাড়া দেন।

তিন রঙের পতাকার নীচে মানুষের হাঁটা, দেশপ্রেমের গান, এবং চারপাশে সজ্জিত রাস্তা—সব মিলিয়ে দৃশ্যটি ছিল স্মরণীয়।

অনেকেই মোবাইলে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন, যা পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।


🗣 স্থানীয়দের অনুভূতি

মিছিলে অংশ নেওয়া এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন—
"এই ধরনের আয়োজন আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেম শেখায়।"

একজন কলেজ ছাত্রীর মতে—
"তিরঙ্গা শুধু পতাকা নয়, এটি আমাদের গর্ব, ঐক্য ও ত্যাগের প্রতীক।"

এই প্রতিক্রিয়াগুলি প্রমাণ করে, মিছিলটি মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে।


📅 স্বাধীনতা দিবসের আগে এই উদ্যোগের তাৎপর্য

স্বাধীনতা দিবসের আগে তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজনের গুরুত্ব অনেক—

  1. ইতিহাসের সঙ্গে সংযোগ – স্বাধীনতার সংগ্রামের স্মৃতি জীবন্ত রাখা।

  2. দেশপ্রেমের চেতনা জাগানো – তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম বাড়ানো।

  3. সামাজিক ঐক্য বৃদ্ধি – ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার মানুষকে একই পতাকার তলে একত্রিত করা।

তিরঙ্গা তিনটি রঙ—

  • গেরুয়া: সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক।

  • সাদা: শান্তি ও সত্যের প্রতীক।

  • সবুজ: উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
    মধ্যের চাকা: ন্যায়, গতি ও ধারাবাহিকতার প্রতীক।


🏁 উপসংহার

উদয়পুরে অনুষ্ঠিত এই তিরঙ্গা যাত্রা শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, বরং তা ছিল দেশপ্রেম, ঐক্য এবং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার এক অনন্য প্রকাশ। 

স্বাধীনতা দিবসের আগে এই ধরনের আয়োজন মানুষকে একত্রিত করে এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। 

তিরঙ্গার তিনটি রঙ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সাহস, শান্তি ও ঐক্যের কথা। 

আমরা যদি এই মূল্যবোধগুলি জীবনে ধারণ করি, তবেই সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব হবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url