নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম-এর অবস্থান বিক্ষোভ।

🚩পাড়া ব্লকের নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম-এর উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজ চালু ও এলাকার উন্নয়নের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। উপস্থিত ছিলেন সুনীল মাহাতো, সুব্রত ব্যানার্জি সহ নেতারা।


nadiha surulia gram panchayet cpim obosthan

📰 নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম-এর জোরালো অবস্থান বিক্ষোভ 🚩

📅 তারিখ: বুধবার, ১৩/০৮/২০২৫
📍 স্থান: পাড়া ব্লক, নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত

সিপিআইএম এর পাড়া ৩ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন দাবিতে পাড়া ব্লকের নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হলো। 

বুধবার দুপুর ৩ টে থেকে ৪ টে পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন নডিহা সিপিআইএম এর কার্যালয় থেকে মিছিল করে গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে এসে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। 

তাদের দাবি গুলি ছিল অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ চালু করা সহ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। 

উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য জেলা কমিটির সদস্য সুনীল মাহাতো, সুব্রত ব্যানার্জি, এরিয়া কমিটির সদস্য চিন্ময় ব্যানার্জি, বাসুদেব মন্ডল, সভাপতি ফনিভূষণ মাহাতো সহ অন্যান্যরা। 


🚩 ঘটনার সূচনা

বুধবার দুপুর ৩টা বাজতে না বাজতেই পাড়া ব্লকের নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে জমতে শুরু করে মানুষের ঢল। 

সিপিআইএম-এর পাড়া ৩ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়।

সেদিন দুপুরে আকাশ ছিল মেঘলা 🌥, তবে আন্দোলনকারীদের চোখে-মুখে ছিল দৃঢ় প্রত্যয় ও উত্তেজনা।  

লাল পতাকা হাতে, গলায় স্লোগান, আর মুখে দাবির ভাষা — এই দৃশ্য যেন এক নতুন লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছিল।


🚶‍♂️ মিছিলের উচ্ছ্বাস

দুপুর ৩টায় নডিহা সিপিআইএম কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য মিছিল শুরু হয়। 

পুরুষ, মহিলা, যুবক-যুবতী — সবার হাতে লাল পতাকা 🚩, মুখে একটাই কথা —
"আমরা কাজ চাই, উন্নয়ন চাই!"

মিছিল এগিয়ে যায় গ্রামের রাস্তা ধরে, চারপাশে কৌতূহলী গ্রামবাসীরা দাঁড়িয়ে দেখে। দোকানের সামনে, বাড়ির বারান্দা থেকে, এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারাও উঁকি দিয়ে দেখছিল এই দৃশ্য।

অবশেষে মিছিল এসে থামে গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে, সেখানেই শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ


📜 দাবি গুলোর তালিকা

বিক্ষোভে নেতারা তাদের দাবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। মূল দাবিগুলো ছিল —

  1. ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করা।

  2. এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন

  3. পানীয় জল সরবরাহ ও রাস্তার সংস্কার।

  4. রোজগারের সুযোগ বৃদ্ধি

  5. সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে প্রশাসনিক উদ্যোগ।


👥 উপস্থিত নেতৃত্ব

এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন —

  • সুনীল মাহাতো — সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য।

  • সুব্রত ব্যানার্জি — জেলা কমিটির সদস্য।

  • চিন্ময় ব্যানার্জি — এরিয়া কমিটির সদস্য।

  • বাসুদেব মন্ডল — এরিয়া কমিটির সদস্য।

  • ফনিভূষণ মাহাতো — সভাপতি।

এছাড়া এলাকার আরও বহু নেতা ও কর্মী এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।


🗣 জনগণের বক্তব্য

গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান —

"১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার রোজগার হারিয়েছে। বাজারদর বাড়ছে, সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে গেছে।"

আরেকজন বলেন —

"সরকার বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু মাটিতে নামিয়ে কাজ করে না। আমাদের রুটি-রুজির জন্য আন্দোলন করতেই হবে।"


🏛 রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

এই আন্দোলন শুধুমাত্র স্থানীয় সমস্যা ঘিরে নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বার্তাও বটে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে —

"সিপিআইএম এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ ভোটারদের কাছে নিজেদের উপস্থিতি ও প্রাসঙ্গিকতা আবার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।"


🌟 মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা

এই আন্দোলনে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া। তারা হাতে লাল পতাকা, কাঁধে শিশু, তবুও স্লোগানে সমানতালে আওয়াজ তুলেছেন। 

এটি প্রমাণ করে যে আন্দোলনটি কেবল পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সমগ্র গ্রামবাসীর অন্তরের কথা প্রকাশ করেছে।


📊 ঘটনার সারসংক্ষেপ টেবিল

বিষয় বিস্তারিত
তারিখ বুধবার, ১৩/০৮/২০২৫।
সময় দুপুর ৩ টে – ৪ টে।
স্থান নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, পাড়া ব্লক।
আয়োজক সিপিআইএম এর পাড়া ৩ নং এরিয়া কমিটি।
প্রধান দাবি ১০০ দিনের কাজ চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জল।
উপস্থিত নেতৃত্ব সুনীল মাহাতো, সুব্রত ব্যানার্জি, চিন্ময় ব্যানার্জি, বাসুদেব মন্ডল, ফনিভূষণ মাহাতো।
অংশগ্রহণকারী স্থানীয় বাসিন্দা, মহিলা, যুবক-যুবতী।


ঠিক আছে, আমি এই নিউজের শেষে “উপসংহার/মন্তব্য” অংশ যোগ করছি, যাতে পাঠকের কাছে পুরো ঘটনাটির সারমর্ম ও প্রভাব স্পষ্ট হয় এবং খবরটি আরও প্রভাবশালী হয়।


📝 উপসংহার

নডিহা সুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম-এর এই অবস্থান বিক্ষোভ শুধু কয়েকটি দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি গ্রামের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। 

১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে কর্মহীনতা ও আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা প্রতিটি পরিবারকে প্রভাবিত করছে।

এই আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন — “আমরা চুপ থাকব না, আমাদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করেই ছাড়ব।”

এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও সরকার এই দাবিগুলিকে কতটা গুরুত্ব দেয় এবং বাস্তবে এর সমাধানে কত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। 

যদি এই আন্দোলনের জবাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে গ্রামীণ উন্নয়নের পথে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। 

আর যদি দাবিগুলি উপেক্ষিত হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 🚩


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url