কন্যাশ্রী প্রকল্পের ১২তম বর্ষপূর্তি: পুরুলিয়ায় বিশেষ পুরস্কার প্রদান।

🎉পুরুলিয়ায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের দ্বাদশ বর্ষপূর্তি উদযাপন। জেলা স্তরে এক স্কুল ও তিন কলেজকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন পুরুলিয়ার রবীন্দ্র ভবনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের খবর।🏆✨


kanyashree 12 borsho purulia

🎉 কন্যাশ্রী প্রকল্প: নারীর শিক্ষার আলোকবর্তিকা

২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে 🌍। 

এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো— কন্যাদের স্কুলে ধরে রাখা, অল্পবয়সে বিয়ে রোধ করা এবং উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করা 📚।

১২ বছর পূর্ণ করে এই প্রকল্প আজ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সমগ্র দেশ ও বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।


📍 পুরুলিয়ায় দ্বাদশ বর্ষপূর্তির বিশেষ আয়োজন

১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পুরুলিয়ার রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হয় জেলা স্তরের কন্যাশ্রী উৎযাপন অনুষ্ঠান। হল ভর্তি অতিথি, কন্যাশ্রী ছাত্রীরা এবং শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর 🎊।

উপস্থিত বিশিষ্টজনরা 👥

  • জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো

  • জেলাশাসক রজত নন্দা

  • রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু

  • জেলা তৃণমূল সভাপতি রাজীব লোচন সরেন

  • পৌরসভার পৌরপিতা নবেন্দু মাহালি

সবাই একসাথে মেয়েদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন।


🏆 পুরস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলি

জেলা স্তরে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ এক স্কুল ও তিন কলেজকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

স্থান প্রতিষ্ঠান পুরস্কারের বিশেষ দিক
🥇 প্রথম রঘুনাথপুর কলেজ প্রকল্পে সেরা বাস্তবায়ন।
🥈 দ্বিতীয় পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়, নিতুড়িয়া টানা তিন বছর দ্বিতীয় স্থান অর্জন।
🥉 তৃতীয় নিস্তারণী কলেজ, পুরুলিয়া ছাত্রীদের সর্বাধিক অংশগ্রহণ।
🎓 বিশেষ সম্মান একটি স্কুল ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য সম্মাননা।

 পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চক্রবর্তী আনন্দ প্রকাশ করে জানান—
👉 “টানা তিন বছর আমরা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছি, এটি আমাদের জন্য গর্বের।”


🌟 কন্যাশ্রীর সাফল্যের গল্প

১২ বছরের এই যাত্রায় কন্যাশ্রী প্রকল্প বদলে দিয়েছে হাজার হাজার কন্যার জীবন। অনেকেই আজ স্কুল থেকে কলেজে পৌঁছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। 

কেউ কেউ আবার চাকরি, কেউ গবেষণা কিংবা শিল্প-সংস্কৃতির জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে 🎨🎶।

উল্লেখযোগ্য প্রভাব 📌

  • ✅ কিশোরীবিবাহের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

  • ✅ স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি ও ফলাফলে উন্নতি হয়েছে।

  • ✅ আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার থেকেও মেয়েরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।

  • ✅ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে প্রকল্পটি (UN Award)।


🎤 অতিথিদের বক্তব্য: উৎসাহ ও প্রেরণা

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অতিথিরা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন—

✨ শিক্ষা হলো নারীর ক্ষমতায়নের একমাত্র হাতিয়ার।
✨ কন্যাশ্রী প্রকল্প মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ।
✨ গ্রামের মেয়েদেরও যেন শিক্ষা থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়।


💬 সমাজে কন্যাশ্রীর ভূমিকা

পুরুলিয়া জেলা বরাবরই আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা এক অঞ্চল। এখানে কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, মেয়েদের মনে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছে ✨।

একজন ছাত্রী বলেন—
👉 “আগে হয়তো আমাকে ক্লাস নাইনে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হত, কিন্তু কন্যাশ্রী ভাতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছি।”


❓প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

1. কন্যাশ্রী প্রকল্প কী?

👉 কন্যাশ্রী হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প, যা ২০১৩ সালে চালু হয়। এর মাধ্যমে কন্যাদের স্কুলে ধরে রাখা, অল্পবয়সে বিয়ে রোধ করা এবং উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করা হয়।

2. কন্যাশ্রী প্রকল্পে কারা সুবিধা পায়?

👉 পশ্চিমবঙ্গের ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী অবিবাহিত ছাত্রী যারা স্কুল, কলেজ বা ভোকেশনাল প্রশিক্ষণে যুক্ত রয়েছে, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পায়।

3. কন্যাশ্রী প্রকল্পে কী ধরনের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়?

👉 ছাত্রীদের বার্ষিক স্কলারশিপ (K1) এবং এককালীন অনুদান (K2) দেওয়া হয়। এতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আর্থিক সাপোর্ট মেলে।

4. কন্যাশ্রী প্রকল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে কি?

👉 হ্যাঁ ✅, কন্যাশ্রী প্রকল্প জাতিসংঘ (UN) থেকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

5. পুরুলিয়ায় কন্যাশ্রী প্রকল্প কীভাবে প্রভাব ফেলেছে?

👉 পুরুলিয়ার মতো পিছিয়ে থাকা জেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্প মেয়েদের স্কুলে ধরে রাখতে, কিশোরীবিবাহ রোধ করতে এবং উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

6. কন্যাশ্রী দ্বাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কোন প্রতিষ্ঠানগুলো পুরস্কৃত হয়েছে?

👉 রঘুনাথপুর কলেজ (প্রথম), পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয় (দ্বিতীয়), নিস্তারিণী কলেজ (তৃতীয়) এবং একটি স্কুলকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।


🙌 উপসংহার

কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ শুধু এক ভাতা প্রকল্প নয়, বরং সমাজ বদলের এক আলোকবর্তিকা 🌟। 

পুরুলিয়ার মেয়েরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন স্বপ্ন দেখতে শিখছে। শিক্ষা, সম্মান ও স্বাধীনতাই হচ্ছে তাদের আসল পুরস্কার।


👉 এই খবরের মাধ্যমে পরিষ্কার যে কন্যাশ্রী শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সমগ্র ভারতের নারীর উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখছে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url