কাশীপুরে দুটি বিধানসভা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর বুথ সম্মেলন।
কাশীপুরে বিজেপির বুথ সম্মেলনে উপস্থিত হলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের ভিড়ে মুখরিত হল বিবেকানন্দ লাইব্রেরি। জানুন তাঁর বক্তব্য, আবেগ আর রাজনৈতিক বার্তা।
✨ কাশীপুরে মিঠুনের আগমন: উচ্ছ্বাসে ভাসল শহর
পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর বৃহস্পতিবার দুপুরে এক অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী থাকল। কাশীপুর ও পাড়া বিধানসভাকে কেন্দ্র করে বিজেপির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বুথ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর সেই সম্মেলনকে ঘিরেই দেখা গেল বিরাট উৎসাহ ও আবেগ।
👉 মানুষের ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কাশীপুরের রাস্তাগুলো জনসমুদ্রে ভরে ওঠে। শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষও ভিড়ে সামিল হন অভিনেতাকে একঝলক দেখার জন্য।
🎤 অভিনেতা থেকে রাজনীতিক: মিঠুনের বার্তা
বিবেকানন্দ লাইব্রেরি হলে পৌঁছেই মিঠুন চক্রবর্তী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
🔸 অভয়া প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন:
“অভয়ার সাথে হওয়া ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যতদিন না দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে, ততদিন প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।”
👉 তাঁর এই মন্তব্যে উপস্থিত জনতা আবেগে গর্জে ওঠে।
⚔️ শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ
তৃণমূলকে নিশানা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন:
“যদি শাসকদল ভয় না পেয়ে থাকেন, তাহলে হামলা করছেন কেনো? ভয় আপনারাই পেয়েছেন। সনাতনী জাগা মানেই তৃণমূলের বিসর্জন।”
💬 তাঁর এই বক্তব্য বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি করে।
🗳️ ভোটের আগে হিন্দু ঐক্যের ডাক
এদিন মিঠুন আরও বলেন, “এসআইআর হলে বাংলায় ভুয়ো ভোটার সাফ হয়ে যাবে। ভোট এখনও আসতে দেরি আছে, তার আগে হিন্দু মা, ভাই, বোনেরা একজোট হয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। ভোটের ফল বিজেপির পক্ষেই যাবে।”
👉 তাঁর এই উক্তি বিজেপি সমর্থকদের আরও একবার সংগঠিত হতে অনুপ্রাণিত করে।
👥 নেতৃত্বের উপস্থিতি
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
-
পুরুলিয়া লোকসভা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
-
কাশিপুর বিধানসভার বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা।
-
পাড়া বিধানসভার বিধায়ক নদীয়ারচাঁদ বাউরি।
-
জেলা সভাপতি শংকর মাহাতো।
-
বিজেপি নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, রাজেশ চিন্না সহ বহু নেতৃত্ব।
🚦 যানজটের চ্যালেঞ্জ
মিঠুনের আগমন ঘিরে এতটাই ভিড় হয়েছিল যে কাশীপুরের রাস্তায় কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে কাশীপুর থানার পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
🙌 সাধারণ মানুষের আবেগ
এই অনুষ্ঠানে শুধু বিজেপি কর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষও ভিড় জমিয়েছিলেন।
🌟 কেউ মিঠুনকে একবার কাছ থেকে দেখতে চেয়েছেন, কেউবা তাঁর বক্তব্য শুনতে।
👉 রাজনৈতিক সম্মেলন হলেও এদিন কাশীপুরে যেন উৎসবের আবহ তৈরি হয়।
📌 রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
এই বুথ সম্মেলনকে ঘিরে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একাধিক বার্তা উঠে আসে—
-
বিজেপির সংগঠনকে চাঙ্গা করা 👉 বুথ স্তর থেকে কর্মীদের উজ্জীবিত করা।
-
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি বার্তা 👉 শাসকদলকে আক্রমণ করে রাজনৈতিক লড়াইকে আরও তীব্র করা।
-
সাধারণ মানুষের আবেগকে টেনে আনা 👉 তারকাখ্যাতি কাজে লাগিয়ে ভিড় বাড়ানো।
🎯 উপসংহার
কাশীপুরে মিঠুন চক্রবর্তীর বুথ সম্মেলন প্রমাণ করল, রাজনীতি আর আবেগের মেলবন্ধনেই আজকের পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মাঠ গড়ে উঠছে।
বিজেপি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বার্তা দিল, তারা বুথ পর্যায় থেকে শক্তি সঞ্চয় করছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও দেখাল—রাজনীতির প্রতি আগ্রহ কতটা গভীর।
👉 আগামী দিনে এই আবেগ ভোটের ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেই দিকেই নজর।