বেহাল রাস্তার জলাশয়ে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ।
🚧 বেহাল ৬ কিমি রাস্তা! ধান ও গাছের চারা লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ শাঁকা অঞ্চলের গ্রামবাসীদের 🌾🌱
📍 ঘটনাস্থল — পুরুলিয়া, আদ্রা রেলশহরের সংযোগ রাস্তায় তীব্র ক্ষোভ
পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের শাঁকা আমতলা থেকে রেলশহর আদ্রা রেলগেট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা বছরের পর বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তাজুড়ে জমে যায় জল, তৈরি হয় কাদার স্তূপ। 🚱💦
এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন যাতায়াত, স্কুল-কলেজে যাওয়া, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা—সবকিছুই ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
😡 ক্ষোভে ফুঁসছে শতাধিক গ্রামবাসী
শাঁকা অঞ্চলের শতাধিক গ্রামবাসী এবার অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানালেন। রাস্তার গর্তে ও জল জমে থাকা স্থানে ধানের চারা ও ছোট গাছ লাগিয়ে তারা রাস্তায় অবরোধ করেন।
⏱️ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন।
🏫 🚑 যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে
গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী —
-
এই রাস্তা ছাড়া আদ্রা রেল হাসপাতাল ও নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর আর কোনো বিকল্প পথ নেই।
-
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাইকে কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
-
রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স প্রায়ই এই রাস্তায় আটকে পড়ে।
🏢 প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে স্মারকলিপি প্রদান
বিক্ষোভ চলাকালীন গ্রামবাসীরা রঘুনাথপুর মহকুমা শাসক (SDO)-এর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এতে তারা দাবি করেন—
-
জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার করতে হবে।
-
জলনিকাশির সঠিক ব্যবস্থা করতে হবে।
-
স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
📣 গ্রামবাসীদের বক্তব্য
একজন বিক্ষোভকারী বলেন —
“আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু শুধু আশ্বাস পেয়েছি। এবার নিজেদের কষ্ট নিজেরাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখালাম।”
অন্য একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন —
“ধান লাগানো প্রতীকী প্রতিবাদ। এর মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি, রাস্তা আর রাস্তা নেই, যেন চাষের জমি।” 🌾
📜 প্রতিবাদের মূল উদ্দেশ্য
এই অভিনব প্রতিবাদের মাধ্যমে গ্রামবাসীরা বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। তাদের আশা—এই পদক্ষেপ দ্রুত ফলপ্রসূ হবে এবং রাস্তার কাজ শুরু হবে।
🌦️ প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ
প্রতিবছর বর্ষায় এই রাস্তায় বন্যার মতো জল জমে। পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
গ্রামবাসীরা বলেন—বর্ষা শেষ হওয়ার পরও কাজ শুরু হয় না, ফলে বর্ষার আগে-পরে একই দুরবস্থা থেকে যায়।
📅 পরবর্তী পদক্ষেপ
গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—
“অতিসত্ত্বর রাস্তার কাজ শুরু না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।” ✊
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি প্রকৌশল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। তবে গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন, আবারও যেন সময়ক্ষেপণ না হয়।
📌 উপসংহার
পুরুলিয়ার শাঁকা অঞ্চলের এই রাস্তার দুরবস্থা শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং গ্রামীণ অবকাঠামো অবহেলার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
যদি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই রাস্তাটি আগামী দিনে আরও অচল হয়ে পড়বে এবং জনজীবনে গভীর প্রভাব ফেলবে।