আন্তর্জাতিক ক্যারাটে মঞ্চে পুরুলিয়ার সাঁওতালডির তরুণদের জয়।
🥋নাইনথ ইন্টারন্যাশনাল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুলিয়ার সাঁওতালডির আটজন তরুণ প্রতিযোগীর অভূতপূর্ব সাফল্য জেলাকে এনে দিল আন্তর্জাতিক গর্ব। জানুন বিস্তারিত প্রতিবেদন।💫
🥋 আন্তর্জাতিক ক্যারাটে মঞ্চে পুরুলিয়ার সাঁওতালডির সোনার ছেলেমেয়েরা – গর্বের আলোয় আলোকিত জেলা! 💫
নাইনথ ইন্টারন্যাশনাল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুলিয়ার সাঁওতালডির ৮ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ এবং তাদের দুর্দান্ত সাফল্য গর্বিত করল গোটা জেলাকে।👧👦
📢 আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরুলিয়ার উজ্জ্বল উপস্থিতি
গত ২৫ জুলাই, কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল তিন দিনব্যাপী নাইনথ ইন্টারন্যাশনাল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ – ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ কাপ।
এই প্রতিযোগিতা ছিল এক অভিজাত আন্তর্জাতিক স্তরের ক্যারাটে টুর্নামেন্ট যেখানে অংশ নিয়েছিল ভারত সহ মোট ৮টি দেশের ক্যারাটে খেলোয়াড়রা।
এই বিশাল আন্তর্জাতিক আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করলেও সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলল পুরুলিয়ার সাঁওতালডি গ্রামের ৮ জন প্রতিযোগী। 🌟
তারা শুধু অংশগ্রহণ করেই থেমে থাকেনি, বরং নিজেদের দক্ষতা ও অধ্যবসায় দিয়ে ৫টি পদক ঘরে তুলেছে, যা নিঃসন্দেহে জেলার গর্ব এবং অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠেছে।
👧👦 সাঁওতালডির ৮ প্রতিযোগীর মধ্যে ৫ জনের পদক জয় – এক বিশাল সাফল্য
পুরুলিয়ার সাঁওতালডির যে ৮ জন ছেলে-মেয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল, তারা সকলেই “শিতোরিউ ক্যারাটে একাডেমি অফ পুরুলিয়া – সাঁওতালডি ব্রাঞ্চ” এর ছাত্র-ছাত্রী। তাদের মধ্যে ৫ জন প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে পদক জিতে ফিরে এসেছে। 🎖️
তাদের সাফল্যর তালিকা নিচে তুলে ধরা হল:
🏅 প্রতিযোগীর নাম | 🏆 অর্জিত স্থান |
---|---|
আশিস কুমার সিং | সেকেন্ড পজিশন (🥈 রূপ পদক) |
ত্রিশান চক্রবর্তী | একটিতে সেকেন্ড (🥈) ও অন্যটিতে থার্ড (🥉) |
যোগ্যতা সিং | থার্ড পজিশন (🥉 ব্রোঞ্জ পদক) |
অনন্যা গঁরাই | থার্ড পজিশন (🥉) |
অনুস্কা হালদার | থার্ড পজিশন (🥉) |
এছাড়াও বাকি তিনজনের প্রতিযোগিতা অভিজ্ঞতাও তাদের জীবনে ভবিষ্যতের জন্য এক বড় প্রেরণা হয়ে থাকবে।
🏡 সাফল্যের সংবাদে আনন্দে ভাসল সাঁওতালডি গ্রাম 🌺
রবিবার সকাল বেলা জয়লাভ করে তারা বাড়ি ফেরার পরই সাঁওতালডি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে খুশির হাওয়া। 🎉
গ্রামের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের লোকেরা তাদের বরণ করে নেয় এক গর্বময় সম্মানে।
🔸 শ্যামপুর মোড়ে আয়োজিত হয় ছোট্ট এক সংবর্ধনা সভা।
🔸 অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ী প্রতিযোগীদের ফুলের মালা, বিজয় তিলক এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
🔸 সেই মুহূর্তে কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি, এমন আবেগ ও গর্ব ছুঁয়ে যায় সবার হৃদয়। 😢❤️
👨👩👧👦 বাবা-মায়ের মুখে গর্বের হাসি
যে পরিবারের সন্তানেরা এত বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতে ফিরেছে, তাদের মুখে গর্ব ও সন্তুষ্টির ছাপ স্পষ্ট ছিল।
তারা জানান –
“আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধুমাত্র পড়াশোনায় নয়, খেলাধুলাতেও নিজেদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা চাই তারা ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।” 🇮🇳
এটাই তো সব অভিভাবকের স্বপ্ন – সন্তান যেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হয়, আর এই সাফল্য যেন অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।
🥋 প্রশিক্ষকের প্রশংসা ও বার্তা 🎙️
শিতোরিউ ক্যারাটে একাডেমির দুই প্রশিক্ষক – শুকদেব বাউরী ও অমিত গঁরাই জানান,
“এই প্রতিযোগীরা অত্যন্ত কঠোর অনুশীলন করেছে। তাদের আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও শৃঙ্খলা আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এনেছে। তারা আজ শুধুমাত্র নিজেদের নয়, জেলাকেও গর্বিত করেছে।”
তাঁরা বলেন –
🔹 “আজকের প্রজন্মকে মোবাইল ও গ্যাজেট থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে খেলাধুলার দিকে মনোযোগী করতে হবে।”
🔹 “বিশেষত ক্যারাটে শুধু একটি খেলা নয়, এটি আত্মরক্ষার এক শক্তিশালী উপায়। ছেলে-মেয়েদের জন্য এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”
🌱 ভবিষ্যতের লক্ষ্যে অদম্য প্রত্যয়
এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশগ্রহণ করেও সাফল্য অর্জন করায়, এই তরুণ প্রতিযোগীরা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী।
তাদের লক্ষ্য –
“আগামীতে আরো বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শুধুমাত্র জেলা নয়, গোটা দেশের জন্য সাফল্য এনে দেওয়া।”
তারা চায় – ক্যারাটের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলে একদিন এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস কিংবা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে।
🎯 জেলার জন্য এটি একটি বড় অর্জন
পুরুলিয়া, যেটি সাধারণত শিল্প-সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও লোকসংগীতের জন্য পরিচিত, এবার তার এক নতুন পরিচয় পেয়েছে — "ক্রীড়া প্রতিভার ভান্ডার" হিসেবে।
সাঁওতালডির মত একটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে-মেয়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের জায়গা করে নিতে পারলে, সেটা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। এটি প্রমাণ করে –
🔹 প্রতিভা কখনোই স্থান, অর্থ বা অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে না।
🔹 ইচ্ছা, পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশই কাউকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
💬 অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক এই গল্প
এই প্রতিযোগীদের গল্প আজ শুধু ক্যারাটে নয়, গোটা যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা।
তাদের মত আরও অনেক তরুণ-তরুণী যদি খেলাধুলায় অংশ নেয়, তাহলে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারত পাবে অনেক আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ। 🇮🇳🏅
তাই এই সাফল্যকে উদযাপন করাই নয়, তাকে অনুসরণ করাও জরুরি।
🔚 উপসংহার
এই সংবাদ শুধু একটি খেলার খবর নয়, এটি একটি সামাজিক পরিবর্তনের আভাস।
যেখানে একসময় খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেওয়া হত না, আজ সেখানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদক জিতছে গ্রামের ছেলেমেয়েরা।
এই জয় হোক আরও অনেক সাফল্যের সূচনা,
এই সাফল্য ছুঁয়ে যাক প্রতিটি ঘরের সন্তানকে।
👏 আজকের পুরুলিয়া গর্বিত তোমাদের নিয়ে!
📌 আপনার মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
আপনার সন্তানেরাও যদি খেলাধুলায় আগ্রহী হয়, তাহলে আজই ক্যারাটে বা অন্য কোনো খেলাধুলায় যুক্ত করে দিন।
📢 আর এই ধরনের আরও গর্বের গল্প পড়তে চোখ রাখুন 👉 আজকের পুরুলিয়া ব্লগে।