ঝালদা ডোমপাড়া ছট ঘাট সংস্কারে আশ্বাস সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর।
ঝালদা ডোমপাড়া ছট ঘাটে হঠাৎ সফরে হাজির হয়ে ভক্তদের মুখে হাসি ফোটালেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
সূর্যদেবের আরাধনায় অংশ নিয়ে তিনি জেলার শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।
ঘাটের পরিকাঠামোগত ঘাটতি, আলোর অভাব ও নিরাপত্তা সমস্যা খতিয়ে দেখে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দেন সাংসদ।
প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনাও নির্ধারণ করেন তিনি।
সাংসদের এই মানবিক উদ্যোগে ভক্তদের মনে জেগেছে নতুন আশা ও আস্থার আলো 🌅🙏।
🌅 ঝালদা ডোমপাড়া ছট ঘাট সংস্কারে আশ্বাসে ভক্তদের মুখে নতুন হাসি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো
পুরুলিয়া জেলার ঝালদা শহরে ছট পুজোর সকালে ছিল এক বিশেষ উত্তেজনা ও আনন্দের পরিবেশ।
বহু বছর ধরে এই এলাকার মানুষ সূর্যদেবের আরাধনা করে আসছেন ডোমপাড়া ছট ঘাটে, কিন্তু এ বছর ছিল ভিন্ন।
কারণ হঠাৎই সেখানে উপস্থিত হলেন জেলার জনপ্রিয় সাংসদ এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
তাঁর আগমনে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয় এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস ও গর্বের আবহ। স্থানীয়রা ছুটে আসেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, কেউ নিজের সমস্যা জানান, কেউ আবার শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রণাম করেন।
এই সফর কেবল রাজনৈতিক নয়—এটি ছিল মানুষের সঙ্গে এক মানসিক সংযোগের মুহূর্ত।
সাংসদ ঘাটে পৌঁছে প্রথমেই সূর্যদেবের আরাধনা করেন এবং জেলার শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন 🌞।
তাঁর মুখে আন্তরিকতার হাসি, চোখে ছিল মানুষের কল্যাণের প্রত্যাশা। এই দৃশ্য দেখে অনেকেরই চোখ ভিজে যায়, কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন—তাঁদের দাবি, তাঁদের কষ্ট এখন সত্যিই কেউ শুনছে।
এই দিনটি ডোমপাড়া ছট ঘাটের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হয়ে থাকবে।
🪔 ছট পুজোর সকালে সাংসদের জনসংযোগে ভক্তদের উচ্ছ্বাস
সোমবারের ভোরবেলা থেকেই ঝালদা শহর জেগে উঠেছিল ভক্তি আর বিশ্বাসের সুরে। সূর্যোদয়ের আগে থেকেই হাজারো নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা নদীর ঘাটে ভিড় জমায়।
হাতে দুধ, গঙ্গাজল, ফলমূল, ধূপ ও প্রদীপ—সব মিলিয়ে এক অনন্য পরিবেশ।
ঠিক এই সময়ই পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো হাজির হন প্রথমে সাহেব বাঁধের ঘাটে, তারপর কাঁসাই নদীর ঘাটে, আর শেষে বিকেলের দিকে চমকপ্রদভাবে এসে পৌঁছান ডোমপাড়া ছট ঘাটে। তাঁর উপস্থিতি যেন ভক্তদের মনকে আরও আলোয় ভরিয়ে দেয়।
ভক্তরা বলেন—“আমাদের সাংসদ নিজের চোখে আমাদের ঘাট দেখলেন, আমাদের কথা শুনলেন—এটাই সবচেয়ে বড় দান।” 🌟
সাংসদ নিজে ঘাটের প্রতিটি অংশ ঘুরে দেখেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আলো, ও সাজসজ্জা পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি প্রতিটি দিক মনোযোগ দিয়ে খতিয়ে দেখেন যাতে আগামী বছর ভক্তরা আরও নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে পুজো করতে পারেন।
উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মীদের তিনি পরামর্শ দেন ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান তাঁদের উদ্যোগের জন্য।
☀️ সূর্যদেবের আরাধনায় ভক্তি ও ঐক্যের বার্তা
ডোমপাড়া ঘাটে পা রেখেই সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সূর্যদেবের পূজা দিয়ে নিজের সফর শুরু করেন।
তাঁর হাতে তখন একটি প্রদীপ, চোখে ভক্তির দীপ্তি। সেই দৃশ্য দেখে ভক্তরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সূর্যদেবের উদ্দেশে প্রণাম জানিয়ে তিনি বলেন,
“ছট পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক ঐক্যের প্রতীক। এখানে কারও যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেটাই আমাদের কর্তব্য।”
তাঁর এই বক্তব্যে উপস্থিত জনতার মধ্যে এক বিশেষ আবেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলেন, “সাংসদ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেন, সেটাই বড় কথা।” 🌄
তিনি সূর্যদেবের আরাধনার পর স্থানীয়দের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান, তাঁদের সঙ্গে হাসেন, কথা বলেন, ছোট বাচ্চাদের আশীর্বাদ করেন।
এই মুহূর্তগুলো প্রমাণ করে যে রাজনীতি শুধু বক্তৃতা নয়, এটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার এক শিল্প। তাঁর এই সফর ছিল মানবিকতা ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
🌊 ঘাটের সমস্যাগুলি সরেজমিনে পর্যালোচনা ও প্রতিশ্রুতি
ডোমপাড়া ঘাটের সৌন্দর্য্য ও ভক্তিময় পরিবেশ সত্ত্বেও বাস্তবতা ছিল কঠিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এখানে ছট পালন করতে আসেন, কিন্তু পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল।
ঘাটের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, আলো কম, স্যানিটেশন সুবিধা নেই বললেই চলে। রাতে ভক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যায়।
কাদা ও পিচ্ছিল মাটিতে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। সাংসদ নিজে সব সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন,
“ছট মানে পবিত্রতা, ছট মানে মিলন। এই ঘাটে কেউ যেন কষ্ট না পায়, আমি সেই দিকেই নজর রাখব।”
তিনি আশ্বাস দেন যে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন এলে দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘোষণায় ভক্তদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “এতদিন কেউ আমাদের ঘাটের দিকে তাকায়নি, এবার আশার আলো জ্বলেছে।”
তাঁর সফরের পর অনেকেই ঘাট পরিষ্কারে স্বেচ্ছায় যুক্ত হন, যা প্রমাণ করে যে মানুষের মনে নতুন উদ্দীপনা এসেছে। 🌿
🤝 প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের সঙ্গে আলোচনা ও পরিকল্পনা
ঘাটে সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার। দুজনের মধ্যে হয় প্রায় আধঘণ্টার বিশদ আলোচনা। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য—ঘাটের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা।
তাঁরা একমত হন যে এই জনপ্রিয় ঘাটটিকে শুধু সংস্কার নয়, পূর্ণাঙ্গভাবে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।
আলোচনায় উঠে আসে—আলোর সংখ্যা বাড়ানো, স্থায়ী পাথরের সিঁড়ি তৈরি, শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ, এবং পুজোর সময় মেডিক্যাল ও নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন।
প্রদীপবাবু জানান, “আমরা চাই আগামী বছর থেকেই এই ঘাট নতুন রূপে ভক্তদের স্বাগত জানাক।” সাংসদও বলেন,
“এই সংস্কার শুধু ইট-পাথরের কাজ নয়, এটি ভক্তির পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ।”
তাঁর এই মানবিক মন্তব্যে উপস্থিত মানুষরা হাততালি দেন। সত্যিই, যখন রাজনৈতিক নেতারা মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিকে গুরুত্ব দেন, তখন উন্নয়নও হয় আরও অর্থবহ 🌸।
💬 মানুষের প্রতিক্রিয়া ও আশার সঞ্চার
সাংসদের এই সফর যেন ডোমপাড়ার মানুষের মনে এক নতুন আশার আলো জ্বেলে দিয়েছে। এক প্রবীণ ভক্ত বলেন, “ছট মানে কষ্টের মধ্যে বিশ্বাস। কিন্তু আজ সাংসদকে দেখে মনে হচ্ছে এবার বিশ্বাসের সঙ্গে স্বস্তিও ফিরে আসবে।” 🌞
অন্য এক মহিলা বলেন, “প্রতি বছর ঘাটে আলো না থাকায় খুব অসুবিধা হত, কিন্তু এবার মনে হচ্ছে পরের বছর আলোর উৎসব হবে।”
মানুষের এই প্রতিক্রিয়া বোঝায় যে তাঁরা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি চান না, তাঁরা চান সহানুভূতি ও বাস্তব পদক্ষেপ।
সাংসদের এই আন্তরিক আচরণ তাঁদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। অনেকেই বলেন, “আমাদের ঘাট, আমাদের গর্ব—এখন সেটি আরও সুন্দর হবে।”
এই আশাই ডোমপাড়ার প্রতিটি মানুষকে নতুনভাবে উদ্দীপ্ত করেছে।
🌠 ভবিষ্যতের স্বপ্ন উন্নত ও নিরাপদ ছট ঘাট
সাংসদের আশ্বাস ও প্রশাসনিক সহযোগিতায় এখন ডোমপাড়া ছট ঘাটের উন্নয়ন এক নতুন গতি পেতে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে।
ভবিষ্যতে ঘাটে আধুনিক আলোর ব্যবস্থা, নিরাপদ স্নানঘাট, মেডিক্যাল টিম, এবং বিশ্রামাগার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তবে ডোমপাড়া ঘাট হবে দক্ষিণ বাংলার অন্যতম আদর্শ ছট পুজো কেন্দ্র। 🌅 সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানান,
“আমার স্বপ্ন, আগামী বছর পুরুলিয়ার প্রতিটি ঘাটে ভক্তরা যেন গর্বের সঙ্গে ছট পালন করতে পারেন। ডোমপাড়া হবে সেই পরিবর্তনের প্রতীক।”
এই বার্তা আজ ভক্তদের মনে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। কারণ উন্নয়ন শুধু রাস্তায় বা ঘাটে নয়, এটি মানুষের আশা ও বিশ্বাসে তৈরি হয়। আজ ডোমপাড়ার ঘাটে সেই বিশ্বাসের বীজ বপন হয়েছে।
