বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫: পুরুলিয়ার সেরা পুজো ও প্রতিমা কমিটি।

পুরুলিয়ার পুজো কমিটিগুলো পেল বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫! ঝালদা, নিতুড়িয়া, চকবাজার, রঘুনাথপুর, মানবাজারসহ জেলার সেরা পুজো, প্রতিমা, মণ্ডপ ও সমাজ সচেতন কমিটিগুলো এবার বিশেষভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। 

শিল্পকলার ছোঁয়া, অভিনব নকশা এবং স্থানীয় ঐতিহ্য তুলে ধরা এই কমিটিগুলোর উদ্যম দর্শক ও সমাজের নজর কাড়েছে। 

পুরস্কার প্রাপ্ত কমিটিগুলো উৎসবের আনন্দ, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

পুজোর আনন্দকে আরও উজ্জ্বল করে তোলার পাশাপাশি এই সম্মান কমিটিগুলোর নতুন উদ্যম এবং সৃজনশীলতাকে প্রেরণা জোগাবে। 🎉🙏


bishwo bangla sharod samman 2025

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫: পুরুলিয়ার পুজো কমিটিগুলোর গৌরবের মুহূর্ত 🎊

পুজোর আনন্দ আর উৎসবের আবহেই এবার পুরুলিয়া জেলা উদযাপন করল ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫’। 

জেলার বিভিন্ন পূজা কমিটি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সমাজ সচেতনতার প্রমাণ দিয়েছে। 

প্রতিটি কমিটি পুজোর আয়োজনকে শুধুমাত্র দর্শকপ্রিয় ও মনোমুগ্ধকর নয়, বরং এটি যেন স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং শিল্পকলার সমৃদ্ধিও প্রতিফলিত করে। 

চারটি প্রধান বিভাগে পুরস্কৃত কমিটিগুলো এই উৎসবকে আরও উজ্জ্বল করেছে এবং স্থানীয় সমাজে আনন্দ ও উদ্যম ছড়িয়ে দিয়েছে। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত কমিটিগুলোর হাতে সম্মান তুলে দেওয়ার মাধ্যমে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। 

এই সম্মান শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং কমিটিগুলোর প্রতি দর্শক ও সমাজের ভালোবাসার প্রতীক, যা ভবিষ্যতে তাদের আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।


🏆 সেরা পুজো: ঝালদা, নিতুড়িয়া ও চকবাজারের গৌরব

সেরা পুজো-র খেতাব পেয়েছে ঝালদা নামোপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি, নিতুড়িয়া দুবেশ্বরী কোলিয়ারী সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি এবং পুরুলিয়া সদর মহকুমার ঐতিহ্যবাহী চকবাজার ষোলোআনা। 

এই কমিটিগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করেছে তাদের সৃজনশীলতা, নকশা এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণের মাধ্যমে। 

ঝালদা নামোপাড়া কমিটির পুজোতে ব্যবহৃত কারুকাজ, আলোকসজ্জা এবং মঞ্চ বিন্যাস দর্শককে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা দিয়েছে। 

নিতুড়িয়া দুবেশ্বরী কোলিয়ারী কমিটি তাদের মন্ডপ ও প্যান্ডেলের নকশা এবং প্রতিমার ভাস্কর্যর মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে। 

চকবাজার ষোলোআনা কমিটি ঐতিহ্যবাহী উপকরণ ও স্থানীয় শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করেছে। 

এই সমস্ত কমিটি শুধু উৎসবের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেনি, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করেছে। 

দর্শকরা পুজোর প্রথম দিন থেকেই এই কমিটিগুলোর সৃজনশীলতা এবং আয়োজনের বিশেষত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। 

এছাড়া কমিটিগুলোর উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পীরা সুযোগ পেয়ে তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে। 

সেরা পুজো পুরস্কার প্রাপ্ত কমিটিগুলো প্রমাণ করেছে যে উৎসব কেবল আনন্দ ও ভক্তি প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং এটি স্থানীয় সমাজে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। 🎉🙏


🎨 সেরা প্রতিমা: রঘুনাথপুর, নিতুড়িয়া ও মানবাজারের সৃজনশীলতা

সেরা প্রতিমা-র খেতাব পেয়েছে রঘুনাথপুর তাঁতীপাড়া ষোলোআনা দুর্গা পূজা কমিটি, নিতুড়িয়ার সরবড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবং মানবাজার মহকুমার ইন্দকুড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। 

এই কমিটিগুলো শিল্পীর সূক্ষ্ম ও মনমোহন স্পর্শে তৈরি প্রতিমা প্রদর্শন করেছে, যা দর্শকের নজর প্রথম দিন থেকেই কাড়ে। 

প্রতিটি প্রতিমা একেকটি গল্প বলে, যা ভক্তি, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীলতার সঙ্গে মিলিত। রঘুনাথপুর তাঁতীপাড়া কমিটির প্রতিমা স্থানীয় কারুশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী নকশার সংমিশ্রণ, যা দর্শককে এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। 

নিতুড়িয়া সরবড়ি কমিটির প্রতিমায় ব্যবহৃত উপকরণ ও ভাস্কর্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা দর্শকের চোখে এক অন্যরকম আনন্দ এবং আবেগের সঞ্চার ঘটায়। 

মানবাজার ইন্দকুড়ি কমিটির প্রতিমা শিল্পীর নিখুঁত কারুকাজ এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক উপাদান প্রদর্শন করে। 

প্রতিমাগুলো কেবল ভক্তি প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং এটি স্থানীয় শিল্পকলার সমৃদ্ধি এবং সৃজনশীলতার এক পূর্ণাঙ্গ পরিচয়। 

দর্শকরা প্রতিমাগুলো দেখার সময় না শুধু আনন্দ পান, বরং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি গর্ববোধও অনুভব করেন। 

সেরা প্রতিমা পুরস্কার প্রাপ্ত কমিটিগুলো প্রমাণ করেছে যে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা মিলে একটি পুজোর সৌন্দর্যকে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে। 🎨💖


bishwo bangla sharod samman 2025 purulia

🏛️ সেরা মণ্ডপ: সুভাষপল্লী, মানবাজার ও আমলাপাড়া

সেরা মণ্ডপ-র খেতাব পেয়েছে সুবাষপল্লী (সিন্দারপট্টি) সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, মানবাজার গ্রাম্য যোগাশ্রম সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি এবং আমলাপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি। 

এই মণ্ডপগুলো অভিনব নকশা, কারুকাজ এবং স্থানীয় শিল্পকলার সংমিশ্রণের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছে। 

সুবাষপল্লী কমিটি তাদের মণ্ডপে আলোকসজ্জা, কারুশিল্প এবং সাংস্কৃতিক উপাদান একত্রিত করে দর্শককে এক দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে। 

মানবাজার যোগাশ্রম কমিটি তাদের মণ্ডপে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও স্থানীয় শৈল্পিক উপাদানের সংমিশ্রণ দেখিয়েছে, যা দর্শকের চোখে স্বতন্ত্রতা এবং উদ্ভাবনী ভাবনা ফুটিয়ে তোলে। 

আমলাপাড়া কমিটি অভিনব নকশা ও কারুশিল্পের মাধ্যমে দর্শকের জন্য মণ্ডপকে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরেছে। 

মণ্ডপগুলি শুধু পুজোর আয়োজন নয়, এটি স্থানীয় সমাজে ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ প্রদর্শনের এক মাধ্যম। 

দর্শকরা এই মণ্ডপগুলো দেখার সময় শুধু চোখের আনন্দই পান না, বরং স্থানীয় শিল্পকলার প্রতি নতুন উৎসাহও জন্মায়। 

সেরা মণ্ডপ পুরস্কার প্রাপ্ত কমিটিগুলো প্রমাণ করেছে যে সৃজনশীলতা এবং ঐতিহ্যবাহী নকশার মেলবন্ধন একে শুধুমাত্র দর্শনীয় নয়, বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষার মাধ্যমও করে তোলে। 🌟🎊


🌱 সেরা সমাজ সচেতনতা: রেনী রোড, নর্থলেক ও তেলকলপাড়া

সেরা সমাজ সচেতনতা-র খেতাব পেয়েছে রেনী রোড দেবীমালা সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি, নর্থলেক রোড জয়তারা কমিটি এবং তেলকলপাড়া ষোলোআনা দুর্গা পূজা কমিটি। 

এই কমিটিগুলো শুধু পূজা আয়োজন নয়, বরং সমাজ সচেতনতা ও জনমুখী কর্মসূচিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। 

রেনী রোড কমিটি তাদের প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে, যা দর্শক ও স্থানীয় জনগণকে সচেতন করেছে। 

নর্থলেক রোড জয়তারা কমিটি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে কাজ করেছে। 

তেলকলপাড়া কমিটি স্থানীয় জনমতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজ সচেতনতা ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। 

এই কমিটিগুলোর কাজ প্রমাণ করে যে উৎসব শুধু আনন্দের মাধ্যম নয়, বরং সমাজের উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। 

স্থানীয় মানুষ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে এবং কমিটিগুলো ভবিষ্যতে আরও উদ্যমী হওয়ার অঙ্গীকার করেছে। 🌍❤️


🎉 পুরস্কার বিতরণ: উৎসবের আনন্দের বহুগুণ

জেলার পুজো কমিটিগুলোর হাতে এই বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে উৎসবের আনন্দ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

পুরস্কার প্রাপ্ত কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই সম্মান ভবিষ্যতে তাদের উদ্যম ও সৃজনশীলতা আরও বাড়াবে। 

পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্তে কমিটির সদস্যরা অভিভূত ও আনন্দিত। দর্শকের প্রশংসা, সামাজিক স্বীকৃতি এবং কমিটিগুলোর একাগ্র প্রচেষ্টা মিলিত হয়ে এই উৎসবকে আরো মনোমুগ্ধকর করেছে। 

এটি প্রমাণ করে যে উৎসব শুধুমাত্র ভক্তি এবং আনন্দের উৎস নয়, বরং সমাজে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণেরও একটি মাধ্যম। 

প্রতিটি পুরস্কারপ্রাপ্ত কমিটি তাদের পরিশ্রম, উদ্যম এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে স্থানীয় সমাজে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। 🎊🙏


📌 উপসংহার

পুরুলিয়া জেলার পুজো কমিটিগুলো এবার সত্যিই গৌরবের মুহূর্ত তৈরি করেছে। চারটি বিভাগের পুরস্কারপ্রাপ্ত কমিটিগুলো তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সমাজ সচেতনতার মাধ্যমে সকলের হৃদয় জয় করেছে। 

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫ শুধুই একটি স্বীকৃতি নয়, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি, শিল্পকলার সমৃদ্ধি এবং সমাজ সচেতনতার বার্তার প্রতীক। 

আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও এই কমিটিগুলো একই উদ্যম ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে পুজোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং সমাজে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে। 🎊💖


Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url