শহীদ দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপ স্মরণ সভা।
🙏শহীদ দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপের স্মরণে ঘাগরায় সভা। বিজেপি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও আবেগঘন মুহূর্ত জানুন বিস্তারিত।
শহীদ দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপের স্মরণ সভা: ঘাগরায় আবেগঘন মুহূর্ত
🙏 আজকের দিনটি ইতিহাসে অমলিন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরের সেই রক্তাক্ত দিন এখনও মানুষের মনে তাজা।
২৭ আগস্ট দিনটি বিজেপি পরিবারে শোকের দিন, কারণ এই দিনেই ঘাগরায় দুজন নির্ভীক যোদ্ধা তাঁদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন গণতন্ত্রের লড়াইয়ে।
📜 কী ঘটেছিল সেই দিন?
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষে ঘাগরা অঞ্চলে পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। অভিযোগ ওঠে, জয়পুর বিধানসভার ঘাগরা এলাকায় বিজেপি বোর্ড গঠন আটকাতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়।
👉 পুলিশের গুলিতে শহীদ হন দুই বিজেপি কর্মী –
-
দামোদর মণ্ডল।
-
নিরঞ্জন গোপ।
এই ঘটনার পর সমগ্র পুরুলিয়া জেলায় নেমে আসে শোকের ছায়া। রাজনৈতিক হিংসার এই কালো অধ্যায় এখনও মানুষের মনে দাগ কেটে আছে।
🕯️ আজকের স্মরণ সভার তাৎপর্য
ঘাগরা গ্রামে আজ অনুষ্ঠিত হলো শহীদ স্মরণ সভা। বিজেপি পরিবার ও স্থানীয় মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁদের প্রিয় দুই যোদ্ধাকে স্মরণ করলেন। এই সভা শুধুমাত্র স্মরণ নয়, এটি গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকারের দিন।
🎤 সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও স্থানীয় নেতারা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
-
জেলা সভাপতি সম্মানীয় শংকর মাহাতো মহাশয়।
-
সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
-
বিধায়ক নরহরী মাহাতো।
-
আরও অনেক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কার্যকর্তারা।
নেতারা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন।
💬 নেতাদের বক্তব্যে আবেগ ও প্রতিজ্ঞা
স্মরণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে নেতারা অতীতের সেই কালো দিনের কথা উল্লেখ করেন। বক্তব্যে উঠে আসে –
✅ শহীদদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।
✅ গণতন্ত্রের লড়াই চলবে।
✅ জনগণের অধিকার রক্ষায় সব সময় বিজেপি মানুষের পাশে থাকবে।
একজন নেতা আবেগঘন কণ্ঠে বলেন:
"দামোদরদা, নিরঞ্জনদা শুধু নাম নয়, এরা একেকটা প্রেরণার নাম। তাঁদের রক্তে সিঞ্চিত এই ভূমি আমাদের গণতন্ত্রের লড়াইয়ে চিরকাল পথ দেখাবে।"
📅 কেন ২৭ আগস্ট বিশেষ?
এই দিনটি শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়। এটি ত্যাগের প্রতীক, এটি গণতন্ত্রের শক্তি।
২০১৮ সালের সেই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি এই দিনটি পালন করে আসছে শহীদ স্মরণ দিবস হিসেবে।
🏞️ ঘাগরা অঞ্চলের মানুষের অনুভূতি
ঘাগরার সাধারণ মানুষও আজকের স্মরণ সভায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। অনেকে তাঁদের চোখের জল আটকাতে পারেননি।
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা বলেন –
"আমরা সেদিনের আতঙ্ক ভুলিনি। কিন্তু আজ যখন দেখি এত মানুষ শহীদদের স্মরণ করছে, তখন মনে হয় তাঁরা বৃথা যাননি।"
🕊️ দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপ – দুই সাহসী যোদ্ধা
এই দুই শহীদের নাম পুরুলিয়া তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
-
তাঁরা ছিলেন সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ।
-
রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা।
-
তাঁরা জানতেন পথ সহজ নয়, তবু পিছিয়ে যাননি।
তাঁদের আত্মত্যাগ বিজেপি কর্মীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার আলো।
🔍 ঘটনার পরিণতি ও রাজনৈতিক প্রভাব
এই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিজেপি নেতৃত্ব তৎকালীন শাসকদল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়।
মামলা-মোকদ্দমা চলেছে, রাজনৈতিক বিবাদ বেড়েছে, কিন্তু শহীদদের পরিবার আজও ন্যায়ের অপেক্ষায়।
📣 সভা থেকে বার্তা – গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চলবে
সভায় নেতারা একবাক্যে জানান –
"আমরা ভয় পাই না। শহীদদের ত্যাগ আমাদের সাহসী করে তোলে। গণতন্ত্রের জন্য এই লড়াই থামবে না।"
তরুণ কর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হয় –
👉 ঐক্যবদ্ধ হও।
👉 জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে এসো।
👉 শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করো।
🏆 স্মরণ সভার আবেগঘন মুহূর্ত
সভায় শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, মোমবাতি প্রজ্বলন, এবং নীরবতা পালন করা হয়। উপস্থিত সবাই একসাথে শপথ নেন –
"শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা রক্ষার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব।"
✅ শেষকথা
২৭ আগস্ট শুধুমাত্র একটি দিন নয়। এটি সাহসের ইতিহাস, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রেরণা।
দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপের নাম চিরকাল মানুষের হৃদয়ে অমলিন থাকবে। তাঁদের আত্মত্যাগ প্রমাণ করে দিয়েছে –
“গণতন্ত্রের লড়াই প্রাণ দিয়ে হলেও থামে না।”
🔍 মূল পয়েন্টগুলো এক নজরে
✔️ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ঘাগরায় পুলিশ গুলি চালায়।
✔️ শহীদ হন দুই বিজেপি কর্মী – দামোদর মণ্ডল ও নিরঞ্জন গোপ।
✔️ আজ তাঁদের স্মরণে অনুষ্ঠিত হলো আবেগঘন সভা।
✔️ বিজেপি নেতারা শপথ নিলেন গণতন্ত্র রক্ষার।