রঘুনাথপুরে জাতীয় ক্রীড়া দিবসে ফুটবল বিতরণ ও খেলাধুলা।
রঘুনাথপুরে জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপন, মহিলাদের ফুটবল বিতরণ, স্বাস্থ্য র্যালি ও ভলিবল ম্যাচ। জানুন বিস্তারিত।
📰 জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপন: রঘুনাথপুরে খেলাধুলার নতুন দিশা
রঘুনাথপুর, ২৯ আগস্ট –
🎉 জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে রঘুনাথপুরে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য ক্রীড়া উৎসব। গ্রামের মাঠে জমে উঠলো খেলাধুলার রঙিন আবহ।
এদিনের মূল আকর্ষণ ছিল তুলসীবাড়ি গ্রামের মহিলা ফুটবল দলগুলির হাতে ফুটবল বিতরণ।
এই উদ্যোগ নিয়েছে ডিভিসির রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (DVC Raghunathpur Thermal Power Station)।
✅ কেন জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালিত হয়?
জাতীয় ক্রীড়া দিবস প্রতি বছর ২৯শে আগস্ট পালিত হয়। এই দিনটি ভারতের কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় ধ্যানচাঁদ-এর জন্মবার্ষিকী।
তাঁর সম্মানে এই দিনটি খেলাধুলা ও ফিটনেস সচেতনতার প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়।
👉 এর মূল উদ্দেশ্য:
-
খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
-
যুব সমাজকে সুস্থ জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা দেওয়া।
-
মহিলা খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করা।
⚽ তুলসীবাড়ি গ্রামে মহিলাদের হাতে ফুটবল বিতরণ
🎯 প্রধান উদ্যোগ: রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ৬০টি ফুটবল বিতরণ করেছে।
📌 কে বিতরণ করলেন?
-
প্রকল্প প্রধান রবীন্দ্র কুমার সামাল নিজ হাতে ফুটবলগুলি বিতরণ করেন।
তিনি বলেন –
“গ্রামীণ এলাকায় খেলাধুলার উন্নতি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে। আমরা চাই মহিলারা আরও বেশি করে ফুটবলে অংশ নিক।”
এই মহৎ কাজে উপস্থিত ছিলেন:
-
হরিশ চন্দ্র সিং।
-
বিজয় বেহেরা।
-
নোহামুনি মার্ডি।
🏃 ‘রান ফর হেলথ অ্যান্ড ফিটনেস’ – স্বাস্থ্য সচেতনতায় দৌড় প্রতিযোগিতা
দিনের শুরুতেই আয়োজন করা হয়েছিল রান ফর হেলথ অ্যান্ড ফিটনেস নামক একটি স্বাস্থ্য র্যালি।
👥 অংশগ্রহণকারীরা:
-
ডিভিসির কর্মচারীরা।
-
সিআইএসএফ-এর কর্মীরা।
এই র্যালি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাসের সাথে রাস্তায় দৌড়ান এবং বার্তা দেন –
“ফিটনেস মানেই স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য মানেই সুখী জীবন।”
🏐 ভলিবল ম্যাচে উত্তেজনা – ডিভিসি বনাম সিআইএসএফ
🎉 বিকেলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ডিভিসি ও সিআইএসএফ খেলোয়াড়দের মধ্যে ভলিবল ম্যাচ।
🔥 ম্যাচের বিশেষ দিকগুলো:
-
খেলাধুলার মানসিকতা উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখে এই ম্যাচ।
-
খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
📢 দর্শকেরা মাঠে বসে উপভোগ করেছেন চমৎকার প্রতিযোগিতা।
✅ রঘুনাথপুরের মানুষ কী বললেন?
গ্রামের মানুষ এই উদ্যোগে দারুণ খুশি। অনেকেই বলছেন –
“এভাবে যদি নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন হয়, তবে গ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হবে।”
🌟 কেন এ উদ্যোগ মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতে মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ এখনও তুলনামূলকভাবে কম। এর মূল কারণগুলো হলো:
-
সুযোগের অভাব।
-
সামাজিক বাধা।
-
অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা।
কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তৈরি করে। ফুটবল বিতরণ কর্মসূচি মহিলাদের জন্য একটি বড় উৎসাহ।
✅ জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপনের গুরুত্ব
এই ধরনের অনুষ্ঠান কেবলমাত্র একটি দিনের জন্য নয়, বরং গ্রামীণ ক্রীড়া সংস্কৃতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।
-
খেলাধুলা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
-
গ্রামে খেলাধুলার প্রসার ঘটলে যুব সমাজ নেশা ও অসামাজিক কাজ থেকে দূরে থাকবে।
-
মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়লে সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরি হবে।
📸 ছবিতে বিশেষ মুহূর্ত
-
ফুটবল হাতে খুশির ঝলকানি।
-
স্বাস্থ্য র্যালিতে উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণকারীরা।
-
ভলিবল ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য।
রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বার্তা
রবীন্দ্র কুমার সামাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন –
“আমরা শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই নয়, সমাজের উন্নয়নেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খেলাধুলার উন্নয়নে আমাদের এই সহযোগিতা চলবে।”
✅ পাঠকের জন্য বার্তা
আপনি কি আপনার এলাকায় খেলাধুলা উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন? কমেন্টে আমাদের জানান।
👉 এই খবরটি শেয়ার করুন যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।