সারা ভারত কৃষক সভার ১৫তম সম্মেলন রায়বাঁধে।
🌾নিতুড়িয়া ব্লক কমিটির ১৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রায়বাঁধে। কৃষক নেতা ও জেলা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নতুন সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। জানুন বিস্তারিত।
🌾 সারা ভারত কৃষক সভা – নিতুড়িয়ার গর্বের মুহূর্ত 🎉
আজকের পুরুলিয়া | নিতুড়িয়া | ৯ আগস্ট ২০২৫:
সারা ভারত কৃষক সভা (AIKS) দীর্ঘদিন ধরে দেশের কৃষক সমাজের অধিকার, ন্যায্য দাম, জমির সুরক্ষা ও কৃষকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে।
সেই ধারাবাহিকতায়, নিতুড়িয়া ব্লক কমিটির ১৫তম সন্মেলন গতকাল অনুষ্ঠিত হল রায়বাঁধ পার্টি অফিসে।
🚩 উদ্বোধনী অনুষ্ঠান – পতাকা উত্তোলন ও ঐক্যের বার্তা
সকালে শুরু হয় সম্মেলন। সুকুমার মুর্মু গর্বের সঙ্গে সারা ভারত কৃষক সভার লাল পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কৃষক সমাজের ঐক্য, সংগ্রাম ও ন্যায়ের লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়।
উপস্থিত কৃষক ও নেতারা “কৃষকের একতা জিন্দাবাদ” স্লোগানে মঞ্চ প্রকম্পিত করে তোলেন।
👥 বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতি
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—
-
কাশিনাথ ব্যানার্জি – সারা ভারত কৃষক সভা, পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক।
-
রাজেশ বাউরি – জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।
-
মদন মোহন মন্ডল – জেলা নেতৃত্ব।
-
সোমনাথ মিশ্র – অভিজ্ঞ সংগঠক।
প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেন। প্রত্যেকেই তাদের ব্লকের সমস্যাগুলি, কৃষকদের দাবি এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
🗳️ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন
সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ব্লক কমিটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচিত হন—
-
কমরেড দীনেশ বাউরী – ব্লক সম্পাদক (পুনঃনির্বাচিত)।
-
কমরেড রোহিত ভান্ডারী – সভাপতি (নতুন)।
নতুন নেতৃত্বের প্রতি কৃষকদের প্রত্যাশা, তারা আরও শক্তিশালীভাবে কৃষকদের অধিকার আদায়ে কাজ করবেন।
🌱 কৃষকদের মূল সমস্যা নিয়ে আলোচনা
সম্মেলনে কৃষকরা তাদের দৈনন্দিন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন। প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল—
-
ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা।
-
সেচ ও জলসংকট সমাধান।
-
সার ও বীজের সময়মতো সরবরাহ।
-
কৃষিজমি অধিগ্রহণ রোধ।
-
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন।
প্রতিনিধিরা জানান, কৃষি খাত বাঁচাতে হলে সরকারের নীতি পরিবর্তন জরুরি।
📜 ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও অঙ্গীকার
এই সম্মেলন থেকে ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—
-
কৃষকদের জন্য রেশন ও ভর্তুকি নিশ্চিত করতে আন্দোলন।
-
সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ফসল বিক্রির জন্য সরাসরি কৃষকদের সুযোগ।
-
স্থানীয় ব্লক ও গ্রাম স্তরে সভা ও প্রচার অভিযান।
নেতৃত্বের বার্তা ছিল স্পষ্ট—
"আমাদের সংগ্রাম কেবল কৃষকদের নয়, সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও।"
💬 আবেগ ও ঐক্যের ডাক
সম্মেলনে উপস্থিত কৃষক ও নেতাদের কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা ও আশার সুর। কেউ বললেন, “আমরা একসাথে থাকলে কেউ আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।” আবার কেউ বললেন, “কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে।”