গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ: পুরুলিয়ায় পোস্টমাস্টারকে ৫ বছরের জেল!

💰🤯পুরুলিয়ার পলমা-পেঁচারা ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার গোবর্ধন সহিস ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন। জেল হয়েছে ৫ বছরের। জানুন পুরো ঘটনার বিবরণ।


postmaster taka tochrup purulia

💥গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ: পোস্টমাস্টারের ৫ বছরের জেল!

পুরুলিয়া জেলার কেন্দা থানার অন্তর্গত পলমা-পেঁচারা গ্রামে 📍 অবস্থিত একটি গ্রামীণ পোস্ট অফিসে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর আর্থিক কেলেঙ্কারি 💸। 

গ্রামবাসীদের সঞ্চিত অর্থ আত্মসাতের অপরাধে পোস্টমাস্টার গোবর্ধন সহিসকে আদালত ৫ বছরের জেল দিয়েছে।


👨‍⚖️ আদালতের রায় : বিচারের বাণী নীরবে নয়, সরবে!

২০২৫ সালের ২৫ জুলাই 🗓️, পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা আদালত (দ্বিতীয়) এর বিচারক অভিযুক্ত গোবর্ধন সহিসকে দোষী সাব্যস্ত করেন দুটি ধারায়। 

এক ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অন্য ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। তবে উভয় সাজা একসাথে চলবে বলে জানা যায় আদালত সূত্রে।


💰 কীভাবে টাকা আত্মসাৎ করা হয়?

পোস্ট অফিসের সাধারণ সেভিংস একাউন্টে গ্রাহকরা টাকা জমা দিলেও 😞 সেই অর্থ কখনোই অফিসের অফিসিয়াল লেজারে রেকর্ড হয়নি। 

এর ফলে, যখন সেই গ্রাহকরা টাকা তুলতে যান, দেখা যায় তাদের একাউন্টে কোনও অর্থই জমা পড়েনি।

🧾 এরপরেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জেলার পোস্টাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে উঠে আসে পোস্টমাস্টার গ্রাহকদের টাকা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।


🕵️ তদন্তের ধাপ

২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর 📅, অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টাল সুপার কেন্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

দীর্ঘ তদন্তের পর জানা যায়, মোট ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

📂 এই অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জশিট, সাক্ষ্যপ্রমাণ, ও আইনানুগ কার্যকলাপ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২৫ সালে আদালত রায় দেয়।


😡 গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া

ঘটনার পর থেকেই গ্রামে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় 😠। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে যারা পোস্ট অফিসের ওপর নির্ভর করতেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই যখন প্রতারণা হয়, তখন অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

👵 “আমরা তো ভাবিনি এরকম কিছু হবে। নিজের জমানো টাকাটা পোস্ট অফিসে রাখলে নিরাপদ থাকবে, সেই ভরসাটাই এবার উঠে গেল,”— এক বৃদ্ধা গ্রাহকের মন্তব্য।


📢 প্রশাসনের ভূমিকা

পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় 🔍। 

এটাই প্রমাণ করে যে সরকারী দপ্তরগুলিও নিজেদের ভিতর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ✅।


🔚 উপসংহার

এই ঘটনা শুধু একটি গ্রামীণ পোস্ট অফিসের নয়, বরং পুরো সিস্টেমের স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে ❓। 

মানুষের জমানো অর্থ নিয়ে যারা প্রতারণা করে, তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, এবং তা হয়েছে — এই ঘটনাই তার উদাহরণ।

🙌 আমরা আশা করি, প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে ভবিষ্যতে আর কেউ সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে সাহস পাবে না।


📌 গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টস একনজরে

বিষয় তথ্য
অপরাধ পোস্ট অফিসে টাকা আত্মসাৎ।
স্থান পলমা-পেঁচারা, কেন্দা থানা, পুরুলিয়া।
অভিযুক্ত গোবর্ধন সহিস।
আত্মসাৎকৃত অর্থ ৩৪,০০০ টাকা।
অভিযোগ দায়ের ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬।
রায় ঘোষণা ২৫ জুলাই, ২০২৫।
সাজা ৫ ও ৪ বছরের কারাদণ্ড (একসাথে চলবে)।

🗣️ আপনার মতামত দিন!

আপনার এলাকায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে? আপনার মতামত আমাদের কমেন্টে জানান। 📝


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url