রঘুনাথপুরে আবারও অবৈধ মদের কারবারে ধৃত দুই।

📝রঘুনাথপুর মহকুমার আদ্রা ও পাড়া থানা এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে অবৈধ দেশি মদ মজুত ও বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানুন বিস্তারিত।😡🍾


raghunathpur oboidho moder karobar dhrito dui

📄 রঘুনাথপুর মহকুমায় ফের অবৈধ মদ উদ্ধার: গ্রেফতার দুই ব্যক্তি, এলাকায় চাঞ্চল্য 😡🍾

👉 আজকের পুরুলিয়া/রঘুনাথপুর, ২৬ জুলাই:

পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর মহকুমায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অবৈধ মদের কারবার। 

পুলিশি তৎপরতায় শুক্রবার দু’টি আলাদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ২২ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে, যাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ মদ মজুত ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। 😠🚔


📍 কোথায় কোথায় অভিযান?

এই অভিযান চালানো হয়েছে রঘুনাথপুর মহকুমার দুটি থানার অন্তর্গত এলাকা —

  1. আদ্রা থানা এলাকা: পাওয়ার হাউস সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি।

  2. পাড়া থানা এলাকা: ভাঁওরাড়ি গ্রামের একটি দোকান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি জায়গা থেকেই মদ বিক্রির কোনো বৈধ লাইসেন্স বা অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি অভিযুক্তরা।


🧴 কত পরিমাণ মদ উদ্ধার হয়েছে?

  • আদ্রা থানার অভিযানে উদ্ধার: ১০ বোতল দেশি মদ

  • পাড়া থানার অভিযানে উদ্ধার: ১২ বোতল দেশি মদ

মোট মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ২২ বোতল অবৈধ দেশি মদ, যেগুলির বাজার মূল্য হাজার খানেক টাকার বেশি হবে। তবে এসব মদের গুণমান বা উৎস সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেননি অভিযুক্তরা।


👮 পুলিশি তৎপরতা: কেমন ছিল অভিযান?

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই দুই থানার আধিকারিকরা অভিযান চালান। 

আদ্রার পাওয়ার হাউস সংলগ্ন ঝুপড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় সেখানেই রাখা আছে ১০টি দেশি মদের বোতল। 

অন্যদিকে, ভাঁওরাড়ি গ্রামে এক দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অনেকদিন ধরেই—সেই সূত্র ধরেই অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় আরও ১২ বোতল মদ।

অভিযান চলাকালীন কোনও ধরনের প্রতিরোধ বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ধৃতদের থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


😱 কে এই অভিযুক্তরা?

যদিও পুলিশ এখনও ধৃতদের নাম প্রকাশ করেনি, তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে—উভয়েই স্থানীয় বাসিন্দা এবং বহুদিন ধরেই অবৈধ মদ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। 

এলাকার লোকজন এই বিষয়টি জানলেও বহুজন মুখ খুলতে ভয় পান। কেউ কেউ বলেন, “ওরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী লোক, তাই কেউ কিছু বলতেও সাহস পায় না।”

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন—“এখন যদি পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়, তবেই এই অসৎ ব্যবসা বন্ধ হবে।” 😡🛑


📣 প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে?

পুরুলিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অবৈধ মদ বিক্রির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি থানাকে নির্দিষ্ট এলাকা ধরে নিয়মিত অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অনেক সময় স্থানীয় স্তরের লোকজন সহযোগিতা না করলে এই ধরনের চক্র ধরা সম্ভব হয় না। তাই সাধারণ মানুষের সহযোগিতার উপরেই এখন নির্ভর করছে প্রশাসনের সাফল্য। 👥📢


🧠 প্রশাসনের পরিকল্পনা ও সতর্কতা বার্তা:

  • প্রতিটি দোকান, খালি ঘর, গুদাম বা ঝুপড়ি নিয়মিত নজরদারির আওতায় আনা হবে।

  • গোপন খবরদাতাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

  • স্কুল-কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হবে।

  • পুলিশের তরফে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে যেখানে গোপনে তথ্য জানানো যাবে।

🛑 প্রশাসনের বার্তা: "আপনার পাড়া, আপনার দায়িত্ব। যদি কিছু সন্দেহজনক দেখেন, পুলিশকে জানান।"


🗣️ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া:

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,

“অনেকদিন ধরেই দেখছিলাম ওই ঝুপড়ি আর দোকানে কিছু অস্বাভাবিক চলছে। মদ বিক্রি হচ্ছিল, কিছু লোক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখতাম। কিন্তু কিছু বলার সাহস হয়নি।”

আরও একজন জানান,

“এলাকায় আমাদের ছেলেমেয়েরা আছে। এইসব মদের দোকান থাকা মানে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হওয়া। পুলিশের এই পদক্ষেপ খুবই ভালো।”

এই প্রতিক্রিয়াগুলো বোঝায়, সাধারণ মানুষ অবৈধ মদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পাশে আছে, শুধু দরকার নিরাপদভাবে তথ্য জানানোর ব্যবস্থা।


📈 সমাজে প্রভাব: কেন এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ?

অবৈধ মদ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি সমাজে—

  • অপরাধ প্রবণতা বাড়ায়

  • নারী ও শিশুর উপর প্রভাব ফেলে

  • পরিবারে অশান্তি তৈরি করে

  • নেশার প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে দেয়

তাই, এই ধরনের অসৎ ব্যবসা বন্ধ করা সমাজের জন্য যেমন জরুরি, তেমনই প্রশাসনের দায়িত্বকেও অনেকটা সহজ করে তোলে জনসচেতনতা।


✅ উপসংহার:

রঘুনাথপুর মহকুমার এই ঘটনাটি একটি বড় বার্তা বহন করে—

👉 “অবৈধ কিছুই স্থায়ী নয়, প্রশাসনের নজরদারি এবং মানুষের সতর্কতাই পারে সমাজকে সুস্থ রাখতে।”

আমরা চাই, পুলিশ যেন আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়, সাধারণ মানুষ যেন ভয় না পেয়ে সমস্ত বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে মুখ খোলে।

সবার সচেতনতাই পারে আমাদের সমাজকে মদের নেশা মুক্ত করতে। 🙏🕊️


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url