শিক্ষকের অভাবে ধাদকা হাই স্কুলে তালাবন্দি!
📰পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ধাদকা হাই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের সংকট চলছে। তার প্রতিবাদে পড়ুয়ারা স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করল। জানুন কেন এই ঘটনা ঘটল ও সমাধান কোথায়।
📍 ঘটনার স্থান ও সময়
📌 পুরুলিয়া, ২৪ জুলাই –
স্কুলের গেটে তালা পড়ুয়াদের।স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, হয় না নিয়মিত ক্লাস এরেই প্রতিবাদে স্কুল গেটে তালা দিয়ে ও হাতে প্লে কার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখালো স্কুলের পড়ুয়ারা।
ঘটনা বান্দোয়ানের ধাদকা আঞ্চলিক হাই স্কুলের।বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা।
পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যার ছবি ফের সামনে এলো। বান্দোয়ান ব্লকের ধাদকা আঞ্চলিক হাই স্কুলে শিক্ষকের অভাব দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
📚 বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড – “শিক্ষক চাই”, “আমাদের অধিকার চাই”।
❓ কেন এই বিক্ষোভ?
👉 ধাদকা হাই স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। কিন্তু—
-
অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান এবং ভূগোলের কোনো শিক্ষক নেই।
-
জীবনবিজ্ঞান বাদে সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শূন্য।
-
প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে স্থায়ী শিক্ষক মাত্র ৮ জন।
-
প্যারা-টিচার রয়েছেন মাত্র একজন।
📢 ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য—
“বছরের পর বছর শিক্ষক নেই। ক্লাস হয় না, পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নেব?”
😠 অভিভাবকরাও প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ।
🔍 বিক্ষোভের চিত্র
📷 গেটের তালা, হাতে প্ল্যাকার্ড, রোদে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।
🔥 প্রতিবাদে যোগ দেন স্থানীয়রা।
তাদের স্লোগান:
👉 “আমাদের শিক্ষক চাই, শিক্ষা অধিকার চাই।”
👮 প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
ঘটনার খবর পেয়ে বান্দোয়ান থানার পুলিশ এবং বান্দোয়ান-২ নং চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলে পৌঁছান।
✅ তারা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
✅ সাময়িক সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
🕒 তিন ঘণ্টা পরে তালা খোলা হয়।
🗣️ প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক সিংহ মহাপাত্র জানান—
-
“স্কুলে প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
-
স্থায়ী শিক্ষক মাত্র ৮ জন, প্যারা টিচার একজন।
-
বর্তমানে অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান ও ভূগোলের শিক্ষক নেই।
-
তিনজন চাকরিহারা শিক্ষক রয়েছেন, তারা অনিয়মিত আসেন।”
📌 তিনি স্বীকার করেছেন – প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগের সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
📢 শিক্ষকের অভাবের কারণ
✔️ সরকারি নিয়োগে বিলম্ব – দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ধীর।
✔️ চাকরিহারা শিক্ষকের অনিয়মিত উপস্থিতি – অনেক শিক্ষক আইনি সমস্যায় চাকরি হারিয়েছেন।
✔️ প্রত্যন্ত এলাকার অবকাঠামো সমস্যা – যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল, থাকার সুবিধা নেই, তাই শিক্ষকরা আসতে চান না।
❓ এর প্রভাব কী?
1️⃣ পড়াশোনার মান কমছে – ক্লাসে শিক্ষক না থাকায় সিলেবাস অসম্পূর্ণ।
2️⃣ পরীক্ষার ফল খারাপ হবে – বিজ্ঞান ও গণিতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষক নেই।
3️⃣ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত গ্রামীণ ছাত্রছাত্রী – দীর্ঘদিন চললে ড্রপআউটের ঝুঁকি বাড়বে।
✅ সমাধান কীভাবে সম্ভব?
✔️ অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ – যতক্ষণ না নিয়মিত শিক্ষক আসছে, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ জরুরি।
✔️ ডিজিটাল ক্লাস চালু করা – অনলাইনে শহরের শিক্ষকদের ক্লাস করানো যেতে পারে।
✔️ গ্রামীণ স্কুলে ইনসেনটিভ – প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষক পাঠালে ভাতা দেওয়া দরকার।
⚠️ গ্রামীণ শিক্ষার বড় প্রশ্ন
এই ঘটনা প্রমাণ করছে, গ্রামীণ শিক্ষায় বৈষম্য আজও দূর হয়নি। শহরের স্কুলে যেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, সেখানে গ্রামের ছাত্রছাত্রী আজও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
📢 প্রশ্ন হচ্ছে—কবে মিলবে সমাধান?