নিতুড়িয়া থানায় নব নির্মিত তিনটি কক্ষের শুভ উদ্বোধন।

🏢পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানায় পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনটি নতুন কক্ষের উদ্বোধন। সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম ও আধুনিক নজরদারির ব্যবস্থায় জোর।🚓✨

neturia thanay 3ti kakher uddhbodhon


🎉 উন্নয়নের পথে আরও এক ধাপ: নিতুড়িয়া থানায় তিনটি নতুন কক্ষের উদ্বোধন

নিরাপত্তা মানেই শুধু অস্ত্র নয়, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারও। সেই লক্ষ্যেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এক নতুন পদক্ষেপ। 

জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী থানা নিতুড়িয়া এখন আরও আধুনিক রূপে সজ্জিত। 🛡️

গত ২৫ জুলাই, শুক্রবার দুপুরে, থানা প্রাঙ্গণে তিনটি নব নির্মিত কক্ষের শুভ উদ্বোধন করেন জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) কল্যাণ সিনহা রায়, রঘুনাথপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রোহেদ শেখ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকগণ। 🎖️


🛠️ আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন: নজরদারিতে সিসিটিভির ভূমিকা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিতুড়িয়া থানা এলাকায় পুরুলিয়া - বরাকর রাজ্য সড়ক এবং সরবড়ি - পাঞ্চেৎ রাজ্য সড়কে মহেশনদী চেকপোস্ট পর্যন্ত মোট ৩৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। 🎥

👁️‍🗨️ কন্ট্রোল রুমে বসানো হয়েছে চারটি মনিটর এবং নিয়মিত নজরদারির জন্য দুইজন পুলিশ কর্মী সর্বক্ষণ সেখানে উপস্থিত থাকেন। 

যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরে আসলেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


🧠 পুলিশ সুপারের বক্তব্য: নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষায় নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন –

"পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় নিতুড়িয়া থানার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। অপরাধীদের সহজ যাতায়াত রুখতে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি একান্ত প্রয়োজন।"

🔍 এখানকার ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, একদিকে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা, অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। 

সীমান্তবর্তী এই থানাটি অপরাধীদের কাছে এক প্রবেশদ্বার হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে এনপিআর ক্যামেরা ও হাই রেজোলিউশন বুলেট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

📸 এনপিআর ক্যামেরা (Number Plate Recognition) গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করতে পারে, যা গাড়ি চুরির মতো অপরাধ দমনেও সহায়ক। আর বুলেট ক্যামেরাগুলি ক্লিয়ার ও দীর্ঘ দূরত্বে ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম।


🚦 ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান

এই নজরদারি ব্যবস্থাগুলি শুধুমাত্র অপরাধ নিয়ন্ত্রণেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও বিশেষভাবে সাহায্য করবে। 

ব্যস্ত রাজ্য সড়কগুলিতে দুর্ঘটনা এড়াতে এই ক্যামেরাগুলি দ্রুত সংকেত দেবে, ফলে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।


🧱 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: আরও বিস্তৃত নজরদারি নেটওয়ার্ক

👉 এসপি জানান, জেলা জুড়ে প্রায় ৩৮২ কিলোমিটার জুড়ে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত বিস্তৃত। এই সীমান্তে ঝাড়খণ্ডের ছয়টি জেলা পুরুলিয়ার সাথে যুক্ত। 

এর ফলে অপরাধ প্রবণতা রুখতে সীমান্তবর্তী সমস্ত থানা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।

📍 গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল গুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, এবং জেলা সদরে একটি আধুনিক সিসি টিভি কন্ট্রোল রুম গড়ে তোলা হচ্ছে যেখানে ৪৫০টি ক্যামেরার ফুটেজ নজরে রাখা হবে। 

খুব শীঘ্রই এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।


🌍 জনসাধারণের ভরসা অর্জনের পথে

পুরুলিয়া জেলার এই উদ্যোগ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, বরং জনসাধারণের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। 

প্রতিটি থানায় যদি এমন আধুনিক নজরদারির ব্যবস্থা হয়, তবে সাধারণ মানুষ পুলিশকে আরও বিশ্বাস করবে। 🤝

এই উদ্যোগ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুদৃঢ় করবে এবং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন জেলার সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞ মহল। 📊


🔚 উপসংহার

নিতুড়িয়া থানার এই আধুনিকীকরণ পুরুলিয়া জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়। 

শুধুমাত্র ভবন নির্মাণ নয়, প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রধান লক্ষ্য। 🙌

পুরুলিয়া জেলার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলার অন্যান্য জেলাগুলির কাছে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url