নিতুড়িয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রগতিশীল কৃষকদের অংশগ্রহণ।

📜নিতুড়িয়া ব্লকের রায়বাঁধ কমিউনিটি হলে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হল। প্রগতিশীল কৃষকদের উপস্থিতিতে পশুপালন, টিকাকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হল।


neturia krishok prashikhan shibir


📢 নিতুড়িয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রাণীসম্পদ উন্নয়নের বার্তা

📅 রঘুনাথপুর, ২৪ জুলাই:

নিতুড়িয়া ব্লকের রায়বাঁধ কমিউনিটি হলে আজ অনুষ্ঠিত হল এক বিশেষ কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির, যেখানে প্রায় ৫০ জন প্রগতিশীল কৃষক অংশগ্রহণ করলেন। 🌾 

এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল গবাদি পশুর যত্ন, টিকাকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা।

গবাদি পশুর ঠিক ঠাক লালন পালন করতে হবে। সময়মতো টিকাকরন, ক্রিমিনাশক ঔষধ সেবন, বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক নেওয়া, গোখাদ্য উৎপাদন ও তার সঠিক ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই শিবিরে। 


🎯 শিবিরের মূল উদ্দেশ্য কী?

🔍 কৃষকদের মধ্যে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাণীসম্পদের সঠিক যত্ন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। সুস্থ গবাদি পশু মানেই বেশি দুধ, ভালো মাংস উৎপাদন এবং কৃষকের আর্থিক সুরক্ষা।


👥 শিবিরে কারা উপস্থিত ছিলেন?

✅ নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষন প্রসাদ যাদব
✅ উপ-কৃষি অধিকর্তা মহ: আনিকুল ইসলাম
✅ প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের আধিকারিক শুভঙ্কর মাহাতো
✅ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইয়াকুব
✅ প্রাণী ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ এবং রায়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমারানী মাহাত

💬 অতিথিদের বক্তব্য:
অতিথিরা জানান, “প্রাণীসম্পদের যত্ন নেওয়া এখন শুধু প্রয়োজনীয় নয়, এটি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। কৃষক বন্ধুদের সচেতনতা এবং সঠিক জ্ঞান তাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।”


📚 আলোচিত বিষয়সমূহ (বিস্তারিত)

১. প্রাণীসম্পদের গুরুত্ব

প্রাণীসম্পদ শুধু গ্রামীণ অর্থনীতির স্তম্ভ নয়, দেশের কৃষি উন্নয়নের একটি প্রধান উপাদান। দুধ, ডিম, মাংস এবং অন্যান্য প্রাণীজ পণ্য আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটায়।

২. সঠিক লালন-পালন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা

👉 গবাদি পশুর জন্য নিয়মিত টিকাকরণ
👉 ক্রিমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ
👉 প্রতিষেধক গ্রহণ – এগুলো করলে পশুর রোগের সম্ভাবনা কমে এবং উৎপাদন বাড়ে।

৩. গোখাদ্য উৎপাদন ও সঠিক ব্যবহার

গবাদি পশুর জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য। শিবিরে দেখানো হয়েছে কীভাবে স্থানীয়ভাবে গোখাদ্য তৈরি করা যায় এবং তা কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে পশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


💡 কৃষকদের জন্য বিশেষ পরামর্শ

✔ টিকাকরণ ও ঔষধ প্রয়োগের সময়সূচি মানুন।
✔ পশুর বাসস্থান পরিষ্কার রাখুন।
✔ গোখাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি সবুজ ঘাসের চাষ করুন।
✔ নিয়মিত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


📈 কেন এই প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ বাংলার অধিকাংশ কৃষক গবাদি পশু নির্ভরশীল, এবং এই খাতে জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকরা জানালেন, এই ধরনের শিবির তাদের জীবনে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।


📌 সরকারি প্রকল্প ও সুবিধা (সংক্ষেপে)

🔹 পশুসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প
🔹 গবাদি পশু টিকাকরণ কর্মসূচি
🔹 দুধ উৎপাদন বাড়াতে সরকারি ভর্তুকি
🔹 পশুপালন ঋণ ও সহায়তা


🙋 সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

প্রশ্ন ১: কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির কেন দরকার?
👉 কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ও সঠিক পদ্ধতি শেখাতে।

প্রশ্ন ২: গবাদি পশুর জন্য কোন টিকাগুলো জরুরি?
👉 ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD), হেমোরেজিক সেপটিসেমিয়া, ব্ল্যাক কোয়ার্টার ইত্যাদি রোগের টিকা।

প্রশ্ন ৩: গোখাদ্য তৈরির সহজ উপায় কী?
👉 স্থানীয় শস্য, খুদ, ঘাস ও ভিটামিন মিশিয়ে গোখাদ্য তৈরি করা যায়।


💬 কৃষকদের প্রতিক্রিয়া

অনেক কৃষক জানান, এই প্রশিক্ষণ তাদের জন্য “অমূল্য সুযোগ”। তারা নতুন কৌশল শিখে নিজেদের পশুপালন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারবেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url