১৩ দফা দাবিতে অঙ্গনবাড়ি কর্মীদের ডেপুটেশন।

🧾অঙ্গনবাড়ি কর্মীদের ১৩ দফা দাবিতে ডেপুটেশন জমা পড়ল ঝালদা ১ ব্লকে। CDPO দিলেন দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস। জানুন বিস্তারিত প্রতিবেদন এইখানে।🌼✊


13 dofa dabite angonbari kormider deputation jhalda

📢 ১৩ দফা দাবিতে অঙ্গনবাড়ি কর্মীদের জোরালো পদক্ষেপ!

🧕 ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের অঙ্গনবাড়ি কর্মীরা এবার রাস্তায় নামলেন তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। 

হাটতলা ময়দান থেকে এক বিশাল মিছিল করে তাঁরা পৌঁছালেন ব্লক শিশু বিকাশ প্রকল্প দপ্তরে, হাতে ছিল দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড আর মনে ছিল পরিবর্তনের আশা।


📄 ডেপুটেশনের মূল দাবি কী কী ছিল?

👉 অঙ্গনবাড়ি কর্মীরা তাঁদের ১৩ দফা দাবি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন CDPO সৌকত ভট্টাচার্যের কাছে। দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো:

🚩 ক্রম দাবি
E-KYC এর জন্য বাধ্যতামূলক মোবাইল সরবরাহ।
আধুনিক প্রযুক্তিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।
মোবাইল কেনার জন্য প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ₹১৫,০০০।
খোলা আকাশের নিচে চলা সেন্টারগুলির স্থায়ী সমাধান।
একজন কর্মীর ওপর একাধিক সেন্টারের দায়িত্ব না দেওয়া।
বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিম, সবজি, জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি।
কম ওজনের চাল-ডালের বদলে পূর্ণ ২৫ কেজির বস্তা সরবরাহ।
৮-১৩ অন্যান্য পরিকাঠামো ও কর্মপরিসরের উন্নয়ন সম্পর্কিত দাবি।

🗣️ কর্মীদের বক্তব্যে ক্ষোভ ও আশার মিশেল

👩‍⚕️ কর্মী রেখা মণ্ডল বলেন –
“আমরা দিন দিন বেশি কাজ করছি, কিন্তু কোনো প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছি না। E-KYC চালু হলেও মোবাইল দেওয়া হয়নি। কিভাবে কাজ করবো?”

👩‍💼 রেবা চক্রবর্তী জানান –
“আমাদের সেন্টার অনেক সময় অন্যের বাড়িতে চলছে, বা খোলা জায়গায়। এটা কি শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশ? সরকারকে এগুলো দেখতে হবে।”

এই কথাগুলোর মাঝে যে আবেগ এবং বঞ্চনার অনুভূতি লুকিয়ে আছে, তা সহজেই স্পষ্ট। তাঁদের একটাই দাবি – উপযুক্ত সম্মান এবং সুবিধা। 😔📢


📍 বর্তমান সমস্যা গুলির বাস্তব চিত্র

🧱 বহু অঙ্গনবাড়ি সেন্টার এখনও চলে খোলা আকাশের নিচে, অথবা কোনো বাড়ির একটা ঘরে। এইরকম পরিকাঠামোতে শিশুদের নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

📲 এছাড়া প্রযুক্তি-নির্ভর কাজের জন্য মোবাইল প্রয়োজন হলেও সরকারিভাবে তা সরবরাহ করা হয়নি। অনেক কর্মী নিজের মোবাইলেই কাজ করছেন, যার ফলে ব্যক্তিগত ডেটা এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।

📦 খাদ্যসামগ্রী যেমন চাল, ডাল, ডিম, সবজি – এগুলির পরিমাণ ও গুণমান নিয়েও তাঁদের অভিযোগ রয়েছে। কম ওজনের প্যাকেট, নিম্নমানের দ্রব্য সরবরাহ – এই বিষয়গুলিরও স্থায়ী সমাধান চাইছেন তাঁরা।


⚖️ CDPO-র প্রতিক্রিয়া: আশ্বাস মিলেছে

CDPO সৌকত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন –
“যেসব বিষয় আমাদের অফিসের অধীন, তা দ্রুত সমাধান করা হবে। আর অন্যান্য বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

💬 তাঁর এই বক্তব্যে কর্মীরা কিছুটা আশার আলো দেখলেও, তাঁদের স্পষ্ট বার্তা –
“দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে হবে।” 🚩🔥


🤝 আমাদের মূল্যবান অঙ্গনবাড়ি কর্মীরা কেন এত অবহেলিত?

👩‍👧‍👦 অঙ্গনবাড়ি কর্মীরা সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তরের সঙ্গে যুক্ত – মা ও শিশু। তাঁদের কাজের মধ্যে আছে শিশুর পুষ্টি, শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি গঠন এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

📊 অথচ সরকারি উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাঁরা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন। না আছে ঠিকমতো সম্মান, না আছে পর্যাপ্ত মজুরি বা সুযোগ-সুবিধা।


💡 সমাধান কি হতে পারে?

সরকারের পক্ষ থেকে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি:

  1. 🎯 মোবাইল বা ট্যাব সরবরাহ, না হলে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার।

  2. 🏠 প্রতিটি সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট বিল্ডিং বরাদ্দ।

  3. 🍳 পুষ্টিকর খাবারের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ।

  4. 🧑‍🏫 আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

  5. 💰 কাজের পরিমাণ ও মান অনুসারে উপযুক্ত ভাতা নির্ধারণ।


❤️ শেষ কথাঃ আন্দোলন নয়, প্রয়োজন সম্মান

🌼 অঙ্গনবাড়ি কর্মীদের এই দাবিগুলি শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুষ্টি ও শিক্ষার জন্য।

একজন মা যেমন নিজের সন্তানের ভালোর জন্য লড়ে যান, তেমনি এই কর্মীরাও সমাজের সন্তানদের ভালো রাখতে এই লড়াই করছেন।

🤲 সরকারের উচিত এই সমস্যাগুলিকে অগ্রাধিকারে রাখা এবং দ্রুত সমাধান করে তাঁদের কাজের প্রেরণাকে আরো শক্তিশালী করা।


📌 এই প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং অঙ্গনবাড়ি কর্মীদের পাশে দাঁড়ান! 🙏💬


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url