গান্ধী জয়ন্তীতে পুরুলিয়ায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান।

পুরুলিয়ায় গান্ধী জয়ন্তী উদযাপনে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয়রা প্রবল বৃষ্টির মাঝেও মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। 

অতিরিক্ত জেলাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠানে শহিদ বেদি ও কার্গিল বেদিতেও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়, যেখানে দেশের জন্য আত্মবলিদান করা যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষজন গান্ধীজির আদর্শ ও শিক্ষা স্মরণ করে, যা আজকের সমাজে সত্য, অহিংসা, দেশপ্রেম ও ঐক্যের বার্তা বহন করে। 

প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও শিক্ষার্থী, স্থানীয় নাগরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আবেগের সঙ্গে অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু মহাত্মা গান্ধীকে নয়, গোটা জাতিকে অনুপ্রাণিত করা হয়। 

খবরটি পাঠককে বোঝায় কীভাবে স্থানীয় মানুষ ও কর্মকর্তারা একত্র হয়ে দেশের মহান নেতাকে শ্রদ্ধা জানায় এবং তার শিক্ষা অনুসরণ করে জাতীয় ঐক্য ও শান্তির পথে এগিয়ে যায়। 🌿🇮🇳


gandhi jayanti purulia

🎉 গান্ধী জয়ন্তীতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান 🌸

প্রতি বছর ২রা অক্টোবর সমগ্র ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। 

এই দিনটি শুধু একটি জাতীয় ছুটির দিন নয়, বরং দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অমোঘ অধ্যায়কে স্মরণ করার দিন। 

গান্ধী জয়ন্তী মানেই অহিংসা, সত্যাগ্রহ ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীককে শ্রদ্ধা জানানো।

এ বছরও পুরুলিয়ার প্রশাসনিক ভবনের চত্বরে প্রবল বৃষ্টির মাঝেই গান্ধী জয়ন্তী উদযাপিত হলো।প্রশাসনিক আধিকারিকরা মহাত্মার মূর্তিতে মাল্যদান করে তাঁকে স্মরণ করেন। 

এর মাধ্যমে শুধু একজন মহান নেতাকে নয়, বরং গোটা জাতিকে অনুপ্রাণিত করা তাঁর আদর্শগুলোকেই নতুন করে সামনে আনা হলো। 🌿


🌿 পুরুলিয়ায় গান্ধী জয়ন্তীর আবেগঘন পরিবেশ

বুধবার সকালে পুরুলিয়ার আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন। প্রবল বৃষ্টির ফোঁটার পরেও জেলা প্রশাসনিক ভবনের চত্বরে ভিড় জমায় বহু মানুষ। 

সেই আবহাওয়ায় এক অন্যরকম আবেগ ছড়িয়ে পড়েছিল। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি মাল্য অর্পণ করেন।

🌸 তাঁর এই শ্রদ্ধা নিবেদন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি বার্তা – “অসত্য ও হিংসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্য ও অহিংসাই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র।”

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। প্রত্যেকে হাত জোড় করে শ্রদ্ধা জানানোর সময় তাঁদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল এক বিশেষ অনুভূতি – দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। 🙏


🇮🇳 শহিদ বেদি ও কার্গিল বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

মাল্য অর্পণের পর প্রশাসনিক কর্তারা শহিদ বেদিকার্গিল বেদিতেও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। 

এর মাধ্যমে তাঁরা শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধী নন, বরং দেশের জন্য আত্মবলিদান করা সকল শহিদ যোদ্ধাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

🕊️ স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে শুরু করে কার্গিল যুদ্ধের সাহসী সেনারা – প্রত্যেকেই দেশের গর্ব। তাঁদের স্মরণ করা মানেই তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করা যে দেশপ্রেম ও ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না।

এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল। উপস্থিত মানুষজন জাতীয় পতাকার দিকে তাকিয়ে প্রতিজ্ঞা করেন – দেশের ঐক্য, শান্তি ও অহিংসার পথে হাঁটার।


🌸 মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা ও আজকের প্রাসঙ্গিকতা

আজকের সমাজে যেখানে সহিংসতা, বিভাজন ও অবিশ্বাস বাড়ছে, সেখানে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁর মূল শিক্ষা ছিল –

  • অহিংসা (Non-violence): কোনো সমস্যার সমাধান অস্ত্র দিয়ে নয়, বরং শান্তি দিয়ে সম্ভব।

  • সত্যাগ্রহ (Satyagraha): সত্যের পথে অটল থাকাই মানুষের আসল শক্তি।

  • সরল জীবনযাপন: বিলাসিতার চেয়ে সরলতাই জীবনের শান্তি আনে।

  • দেশপ্রেম ও ঐক্য: ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যকে রক্ষা করা।

এই আদর্শগুলো শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামে নয়, বর্তমান প্রজন্মের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।

👉 পুরুলিয়ার অনুষ্ঠানে এই বার্তাই পুনরায় প্রতিধ্বনিত হলো – গান্ধীজির দেখানো পথেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে।


🎇 স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আবেগঘন হয়ে পড়েন। প্রবল বৃষ্টির মাঝেও মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানালেন। একজন বৃদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবার থেকে এসে বলেন –

“গান্ধীজি আমাদের শিখিয়েছেন, লড়াই মানেই অস্ত্র নয়, লড়াই মানে সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকা।”

অন্যদিকে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা জানায়, তাঁরা গান্ধীজির জীবনী পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং বড় হয়ে তাঁর মতো মানুষের সেবা করতে চায়। 🌿


🌏 গান্ধী জয়ন্তীর জাতীয় গুরুত্ব

গান্ধী জয়ন্তী শুধু পুরুলিয়ায় নয়, সারা দেশ জুড়ে উদযাপিত হয়। জাতিসংঘও ২রা অক্টোবরকে “আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর ফলে গোটা বিশ্বে গান্ধীজির শিক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে।

📌 পুরুলিয়ার এই ছোট্ট শহরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান তাই শুধু স্থানীয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বহন করে।


🕊️ উপসংহার

পুরুলিয়ায় গান্ধী জয়ন্তীর এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, সময় যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। 

প্রবল বৃষ্টির মাঝেও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে – সত্য, অহিংসা ও দেশপ্রেমের মন্ত্র কখনো ম্লান হয় না।

👉 মহাত্মা গান্ধীর জীবন আমাদের শেখায় – ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই বড় পরিবর্তন সম্ভব।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url