ছাঁট তামা ও লোহা পাচার রুখল রঘুনাথপুর পুলিশ।

রঘুনাথপুরে পুলিশি অভিযানে ছাঁট তামা ও লোহা পাচার আটক। ২ অভিযুক্ত গ্রেফতার, ১০০ কেজি তামা ও ৫ টন লোহা বাজেয়াপ্ত। জানুন বিস্তারিত।


raghunathpur tama loha pachar

📰 ছাঁট তামা ও লোহা পাচারের আগেই গ্রেফতার ২ 🚔

পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে পুলিশের তৎপরতায় আটক হলো এক বড় পাচার চক্র। রাতের অন্ধকারে যখন সব ঘুমিয়ে, তখন সক্রিয় ছিল পাচারকারীরা। 

কিন্তু পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে পালানো গেল না। শনিবার রাতে বিশেষ অভিযানে ছাঁট তামা ও লোহা সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রঘুনাথপুর থানা পুলিশ।


🔍 ঘটনার সারসংক্ষেপ

  • স্থান: রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া। 

  • তারিখ: ৩১ আগস্ট (শনিবার রাত)। 

  • ধৃত: শ্যামসুন্দর বাস্কে ও সামিরুল খান (বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার বাসিন্দা)। 

  • উদ্ধার: প্রায় ১০০ কেজি ছাঁট তামা৫ টন ছাঁট লোহা। 

  • যানবাহন: একটি চারচাকা গাড়ি। 

  • অভিযান: পুলিশের টহলদারি ও বিশেষ সূত্রের খবরের ভিত্তিতে। 


কিভাবে ধরা পড়ল পাচারকারীরা?

শনিবার রাতে রঘুনাথপুর পুলিশ রুটিন টহল দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিশেষ সূত্র থেকে খবর আসে যে দুবড়া দিক থেকে রঘুনাথপুরের দিকে একটি গাড়িতে ছাঁট তামা ও লোহা পাচার করা হচ্ছে।

এই তথ্য পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের সালকার কাছে গাড়িটিকে দেখতে পায় পুলিশ। এরপর তারা গাড়ি আটক করে এবং তল্লাশি শুরু করে।

তল্লাশিতে চমক!

গাড়ির ভেতর থেকে পাওয়া গেল প্রচুর পরিমাণে ছাঁট তামা ও লোহা। যার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি চালক।

📦 বাজেয়াপ্ত সামগ্রী:

  • ছাঁট তামা: প্রায় ১০০ কেজি। 

  • ছাঁট লোহা: প্রায় ৫ টন। 

পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি জব্দ করে এবং গাড়ির চালক ও খালাসীকে গ্রেফতার করে।


🧑‍⚖️ ধৃতদের পরিচয় ও আইনানুগ পদক্ষেপ

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির নাম:

শ্যামসুন্দর বাস্কে। 
সামিরুল খান। 

দুজনের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার এলাকায়। রবিবার তাদের রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়, যেখানে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এই ঘটনার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কেন বাড়ছে ধাতু পাচার?

বর্তমান সময়ে তামা ও লোহা বাজারে দারুণ চাহিদার কারণে পাচারের প্রবণতা বাড়ছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকায় ছাঁট ধাতু চুরি ও পাচারের ঘটনা নতুন নয়।

পুলিশের মতে, অন্য রাজ্যে পাঠানোর জন্য এই ধাতু গুলি বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো কালোবাজারে বিক্রি হয় এবং বড় চক্রের মাধ্যমে কোটির টাকার ব্যবসা চলে।


পুলিশের তৎপরতা প্রশংসনীয় 👏

রঘুনাথপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে দ্রুততার সঙ্গে পাচার আটক করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। এই ধরণের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে পাচারকারীদের জন্য কড়া বার্তা হিসেবে কাজ করবে।

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তার পুরো তথ্য বের করা হবে। যদি বড় কোনো চক্রের সন্ধান মেলে, তাহলে আরও গ্রেফতার হতে পারে।


🛑 পাচার প্রতিরোধে পুলিশের পরিকল্পনা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে:

  • রাতে টহলদারি আরও বাড়ানো হবে। 

  • সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি কঠোর করা হবে। 

  • পাচারচক্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলবে। 


💡 পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

আমরা সকলকে অনুরোধ করবো, এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ দেখলে পুলিশের কাছে তথ্য দিন। সমাজের নিরাপত্তা রক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।


📌 ঘটনার মূল পয়েন্ট এক নজরে:

✔️ রঘুনাথপুরে পুলিশি তৎপরতায় বড় পাচার আটক। 
✔️ ১০০ কেজি তামা ও ৫ টন লোহা বাজেয়াপ্ত। 
✔️ বাঁকুড়ার দুই যুবক গ্রেফতার। 
✔️ আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ। 
✔️ পুলিশের তদন্ত অব্যাহত। 


শেষ কথা ✍️

রঘুনাথপুরে পুলিশের এই সফল অভিযান আবারও প্রমাণ করল যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা সতর্ক।  

রাতের অন্ধকারে বেআইনি ধাতু পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হলো পুলিশের দক্ষতায়। ১০০ কেজি তামা ও ৫ টন লোহা বাজেয়াপ্ত হওয়া কেবলমাত্র একটি পাচারের ঘটনা আটক নয়, বরং এটি একটি বড় চক্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও নাম সামনে আসতে পারে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থেকে পুলিশের কাজে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

👉 আমাদের সবার দায়িত্ব সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখা। তাই কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় খবর দিন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url